০৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

কৌতূহল বাড়াচ্ছে তীরে ভেসে আসা ‘ভুতুড়ে’ জাহাজটি

প্রতিনিধির নাম

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার সেন্টমার্টিনের ছেড়া দ্বীপে ভেসে আসা মানুষবিহীন একটি জাহাজ নিয়ে রীতিমতো রহস্য তৈরি হয়। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এটি জাহাজ নয়। এটি মূলত সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী একটি বার্জ। মেরিনা টোয়েজ প্রাইভেট লিমিটেডের মালিকানাধীন বার্জটি ১১০.৬ মিটার দীর্ঘ এবং ৩০ মিটার চওড়া।

বার্জ হলো মালবাহী নৌযান, যেটিকে অন্য কোনো নৌযান বা টাগবোট দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। বার্জের সাধারণত নিজস্ব ইঞ্জিন থাকে না।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তালিকা থেকে জানা যায়, জার ওয়ার্ল্ড লজিস্টিকস নামের একটি স্থানীয় এজেন্ট বার্জটিকে ভাড়া করে বাংলাদেশে এনেছিল।

জার ওয়ার্ল্ড লজিস্টিকসের কর্মকর্তা জিন্নাত আলী জানান, মালামাল খালাস করে ক্যাপ্টেন এবং ক্রুসহ জাহাজটি দুদিন আগে চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে চলে গেছে। বন্দর ছেড়ে চলে যাওয়ার পর কী হয়েছে সেটা আমাদের জানা নেই।

এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বার্জটি চলতি বছর একাধিকবার বাংলাদেশে এসেছে। এটি মালয়েশিয়ার বন্দর থেকে ৯ হাজার টনের বেশি পাথর বহন করে বাংলাদেশে এনেছে।

এর আগে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা জানান, সোমবার দুপুরে সাগর থেকে জাহাজটি ধীরে ধীরে তীরের দিকে ভেসে আসে। এতে অনেক কন্টেইনার ও অন্যান্য মালামাল রয়েছে।

দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুল আজিজ বলেন, প্রথমে এটিকে পর্যটকবাহী মনে করেছিলাম। পরে কাছে গিয়ে দেখি, এটি কন্টেইনারবোঝাই জাহাজ। সেখানে কোনো মানুষের দেখা মেলেনি। পরে আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজির আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার জাহাজটিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কয়েকজন বিদেশি মানুষ এসেছে। তারা জানিয়েছেন, এটি মালামাল পরিবহনের জাহাজ। মালামাল রেখে ফেরত যাওয়ার সময় ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে সেন্টমার্টিন তীরে ভেসে আসে।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৮:১৭:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২
১৮৬ বার পড়া হয়েছে

কৌতূহল বাড়াচ্ছে তীরে ভেসে আসা ‘ভুতুড়ে’ জাহাজটি

আপডেট : ০৮:১৭:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার সেন্টমার্টিনের ছেড়া দ্বীপে ভেসে আসা মানুষবিহীন একটি জাহাজ নিয়ে রীতিমতো রহস্য তৈরি হয়। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এটি জাহাজ নয়। এটি মূলত সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী একটি বার্জ। মেরিনা টোয়েজ প্রাইভেট লিমিটেডের মালিকানাধীন বার্জটি ১১০.৬ মিটার দীর্ঘ এবং ৩০ মিটার চওড়া।

বার্জ হলো মালবাহী নৌযান, যেটিকে অন্য কোনো নৌযান বা টাগবোট দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। বার্জের সাধারণত নিজস্ব ইঞ্জিন থাকে না।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তালিকা থেকে জানা যায়, জার ওয়ার্ল্ড লজিস্টিকস নামের একটি স্থানীয় এজেন্ট বার্জটিকে ভাড়া করে বাংলাদেশে এনেছিল।

জার ওয়ার্ল্ড লজিস্টিকসের কর্মকর্তা জিন্নাত আলী জানান, মালামাল খালাস করে ক্যাপ্টেন এবং ক্রুসহ জাহাজটি দুদিন আগে চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে চলে গেছে। বন্দর ছেড়ে চলে যাওয়ার পর কী হয়েছে সেটা আমাদের জানা নেই।

এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বার্জটি চলতি বছর একাধিকবার বাংলাদেশে এসেছে। এটি মালয়েশিয়ার বন্দর থেকে ৯ হাজার টনের বেশি পাথর বহন করে বাংলাদেশে এনেছে।

এর আগে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা জানান, সোমবার দুপুরে সাগর থেকে জাহাজটি ধীরে ধীরে তীরের দিকে ভেসে আসে। এতে অনেক কন্টেইনার ও অন্যান্য মালামাল রয়েছে।

দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুল আজিজ বলেন, প্রথমে এটিকে পর্যটকবাহী মনে করেছিলাম। পরে কাছে গিয়ে দেখি, এটি কন্টেইনারবোঝাই জাহাজ। সেখানে কোনো মানুষের দেখা মেলেনি। পরে আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজির আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার জাহাজটিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কয়েকজন বিদেশি মানুষ এসেছে। তারা জানিয়েছেন, এটি মালামাল পরিবহনের জাহাজ। মালামাল রেখে ফেরত যাওয়ার সময় ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে সেন্টমার্টিন তীরে ভেসে আসে।