০৬:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

প্রধানমন্ত্রীর গৃহ প্রদান কার্যক্রম ভবিষ্যতেএক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী  কার্যালয়ের পরিচালক প্রশাসন একে এম মনিরুজ্জামান!

প্রতিনিধির নাম
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম মনিরুজ্জামান বলেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে  ভূমিহীন ও গৃহহীনদের  ভূমিসহ গৃহ নির্মাণ করে দিয়ে উন্নয়নের যে মডেল তৈরি করেছেন ভবিষ্যতে এটা পাঠ্য বইয়ে স্থান করে নেবে  এই দেশের  মানুষের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয় থাকবে।  তিনি আরও বলেন, আমি তিন বিষয়ে মাস্টার্স করেছি। বহু পড়াশোনা করেছি।  আমার জানা মতে, উন্নয়নের যত থিওরি আছে সকল কিছুর উর্ধ্বে ওঠে তিনি উন্নয়নের এ দৃষ্টান্ত  স্থাপন করেছেন।  অন্যান্য দেশে দেখা যায়, ফিফটি পার্সেন্ট সরকার আর ফিফটি পার্সেন্ট উপকারভোগী নিজে দিয়ে এ ধরনের উন্নয়ন কাজ হয় কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী কারো নিকট থেকে একটি টাকাও না নিয়ে যেভাবে ঘর ও জমি দান করেছেন এটা পৃথিবীতে নজিরবিহীন। মানুষকে একটা ডিগনিটি দেওয়া, একটা ঘর করে দেওয়ার মাধ্যমে তিনি যেন সম্মানসূচক একটা জীবন দান করেছেন। এরপর যা করার আছে তা তিনি নিজেও করে নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আমাদের এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কিছু কার্যক্রম ছিল আর তা আমরা করেছি। যৌথ সভা করেছি। তার আগে টাস্কফোর্সের সভা করেছি।গত শুক্রবার (১০ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায়  ফুলপুর  উপজেলা মিলনায়তনে আয়োজিত   মুজিববর্ষে ক- শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে চলমান গৃহ নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। এরপর  তিনি বলেন, এখন  ফুলপুরকে ক- শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করার আগে নিশ্চিত হতে চাই যে,  আরও কোন ক- শ্রেণির লোক আছে কি না? বা কেহ বাদ পড়েছে কি না? এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা ‘নেই’ বলে জানান। পরে তারা খ- শ্রেণির প্রচুর পরিবার আছে উল্লেখ করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপির এলাকায় এ ব্যাপারে একটু বেশি বরাদ্দের দাবি তুলে ধরেন। সবার পক্ষ থেকে একই ধরনের দাবি শুনে এ কে এম মনিরুজ্জামান বলেন, ভয়েস অব দ্যা পীপল ইজ দ্যা ভয়েস অব গড। তাই আমি মনে করি, এটা জাসটিফাইড। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট খ- শ্রেণির ঘর বাড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে  আপনাদের দাবি পৌঁছাতে আমি আমার চ্যানেলে বলবো। এছাড়া ভাইটকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে ইউপি চেয়ারম্যানদের প্রশিক্ষণেরও আশ্বাস দেওয়া হয়। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, তাহলে কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফুলপুরকে ভূমিহীন ও গৃহহীন ঘোষণা করতে পারেন? তখন সমস্বরে উপস্থিত সবাই ‘হ্যাঁ’ বলে সম্মতি প্রদান করেন। এর আগে সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীতেষ চন্দ্র সরকার তিন ধাপে ১৬৭টি গৃহ প্রদান করা হয়েছে বলে জানান। এছাড়া চতুর্থ ধাপে হস্তান্তরের জন্য আরও ১০টি ঘর প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল করিম রাসেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মেয়র শশধর সেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া পারভীন লাকি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন সরকার,   ভাইটকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন, রূপসী ইউপি চেয়ারম্যান শাহ সুলতান চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর মুকুল, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার  সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারএন্ড ডিভিশনাল চীফ ময়মনসিংহ  রফিকুল ইসলাম, এটিম রবিউল করিম  প্রমুখ। এসময় উপজেলা টাস্ক ফোর্স কমিটির সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দসহ উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পারভেজুর রহমান, রেভিনিউ ডে সবশেষে তারা উপজেলার রূপসীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের  ঘরগুলো পরিদর্শন করেন।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৯:৩৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জুন ২০২২
২৩৯ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রীর গৃহ প্রদান কার্যক্রম ভবিষ্যতেএক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী  কার্যালয়ের পরিচালক প্রশাসন একে এম মনিরুজ্জামান!

আপডেট : ০৯:৩৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জুন ২০২২
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম মনিরুজ্জামান বলেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে  ভূমিহীন ও গৃহহীনদের  ভূমিসহ গৃহ নির্মাণ করে দিয়ে উন্নয়নের যে মডেল তৈরি করেছেন ভবিষ্যতে এটা পাঠ্য বইয়ে স্থান করে নেবে  এই দেশের  মানুষের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয় থাকবে।  তিনি আরও বলেন, আমি তিন বিষয়ে মাস্টার্স করেছি। বহু পড়াশোনা করেছি।  আমার জানা মতে, উন্নয়নের যত থিওরি আছে সকল কিছুর উর্ধ্বে ওঠে তিনি উন্নয়নের এ দৃষ্টান্ত  স্থাপন করেছেন।  অন্যান্য দেশে দেখা যায়, ফিফটি পার্সেন্ট সরকার আর ফিফটি পার্সেন্ট উপকারভোগী নিজে দিয়ে এ ধরনের উন্নয়ন কাজ হয় কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী কারো নিকট থেকে একটি টাকাও না নিয়ে যেভাবে ঘর ও জমি দান করেছেন এটা পৃথিবীতে নজিরবিহীন। মানুষকে একটা ডিগনিটি দেওয়া, একটা ঘর করে দেওয়ার মাধ্যমে তিনি যেন সম্মানসূচক একটা জীবন দান করেছেন। এরপর যা করার আছে তা তিনি নিজেও করে নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আমাদের এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কিছু কার্যক্রম ছিল আর তা আমরা করেছি। যৌথ সভা করেছি। তার আগে টাস্কফোর্সের সভা করেছি।গত শুক্রবার (১০ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায়  ফুলপুর  উপজেলা মিলনায়তনে আয়োজিত   মুজিববর্ষে ক- শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে চলমান গৃহ নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। এরপর  তিনি বলেন, এখন  ফুলপুরকে ক- শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করার আগে নিশ্চিত হতে চাই যে,  আরও কোন ক- শ্রেণির লোক আছে কি না? বা কেহ বাদ পড়েছে কি না? এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা ‘নেই’ বলে জানান। পরে তারা খ- শ্রেণির প্রচুর পরিবার আছে উল্লেখ করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপির এলাকায় এ ব্যাপারে একটু বেশি বরাদ্দের দাবি তুলে ধরেন। সবার পক্ষ থেকে একই ধরনের দাবি শুনে এ কে এম মনিরুজ্জামান বলেন, ভয়েস অব দ্যা পীপল ইজ দ্যা ভয়েস অব গড। তাই আমি মনে করি, এটা জাসটিফাইড। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট খ- শ্রেণির ঘর বাড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে  আপনাদের দাবি পৌঁছাতে আমি আমার চ্যানেলে বলবো। এছাড়া ভাইটকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে ইউপি চেয়ারম্যানদের প্রশিক্ষণেরও আশ্বাস দেওয়া হয়। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, তাহলে কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফুলপুরকে ভূমিহীন ও গৃহহীন ঘোষণা করতে পারেন? তখন সমস্বরে উপস্থিত সবাই ‘হ্যাঁ’ বলে সম্মতি প্রদান করেন। এর আগে সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীতেষ চন্দ্র সরকার তিন ধাপে ১৬৭টি গৃহ প্রদান করা হয়েছে বলে জানান। এছাড়া চতুর্থ ধাপে হস্তান্তরের জন্য আরও ১০টি ঘর প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল করিম রাসেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মেয়র শশধর সেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া পারভীন লাকি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন সরকার,   ভাইটকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন, রূপসী ইউপি চেয়ারম্যান শাহ সুলতান চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর মুকুল, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার  সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারএন্ড ডিভিশনাল চীফ ময়মনসিংহ  রফিকুল ইসলাম, এটিম রবিউল করিম  প্রমুখ। এসময় উপজেলা টাস্ক ফোর্স কমিটির সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দসহ উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পারভেজুর রহমান, রেভিনিউ ডে সবশেষে তারা উপজেলার রূপসীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের  ঘরগুলো পরিদর্শন করেন।