০৪:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

ভয়াবহ বর্ণনা দিলেন রুশ বন্দিদশা থেকে ফেরা ইউক্রেন সেনা

প্রতিনিধির নাম

মারিউপোলের আজভস্তাল স্টিলওয়ার্ক কারখানায় আটকেপড়া আত্মসমর্পণকারী ইউক্রেনীয় সেনাদের অমানবিক পরিবেশে রেখেছিলেন রুশ সেনারা।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানিয়েছেন ইউক্রেনের সেনা লেফটেন্যান্ট ইলিয়া সামোইলেঙ্কো।তিনিও ওই স্টিল কারখানায় আটকে পড়েছিলেন।

তিনি রাশিয়ার সেই বন্দিশালায় ১২০ দিন ধরে বন্দি ছিলেন এবং শঙ্কা করছিলেন যে কখনই হয়তো তার বাড়ি ফেরা হবে না।

ইলিয়া জানিয়েছেন, রাশিয়ার সেনারা আটকের পর তার কৃত্রিম হাত খুলে নেয়। গেল মাসে তারা বন্দিবিনিময়ের আওতায় রাশিয়ার কাছ থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

২৮ বছর বয়সি ইলিয়া ওই খানে বিস্ফোরণে তার ডান চোখ ও বাম বাহু হারান। বন্দিদশা থেকে ফিরে তিনি বলেন, ‘আমার জন্য যারা অপেক্ষা করছিলেন, তাদের দেখে আমার খুব ভালো লেগেছিল। তাদের চোখে আনন্দ অশ্রু ঝরছিল, মুখে ছিল হাসি।’

যদিও রাশিয়া আজভস্তালে আটকেপড়া ইউক্রেনীয় সেনাদের নির্যাতন করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। ইলিয়াও বলেন, ‘আমাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি।’ ‘তবে অন্য জায়গায় মানুষদের নির্যাতনের খবর তিনি শুনেছেন।’

তিনি জানিয়েছেন, অন্য জায়গায় যাদের পাঠানো হয়েছিল তাদের চেহারার অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। তিনি আরও জানিয়েছেন, গেল মাসে মুক্তি পাওয়া অনেকেই তাকে বলেছে যে তাদের ঠিকমতো পানি দেওয়া হয়নি এবং সেখানে যথেষ্ট পুষ্টিহীনতাও ছিল।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৪:০১:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২
১৯৪ বার পড়া হয়েছে

ভয়াবহ বর্ণনা দিলেন রুশ বন্দিদশা থেকে ফেরা ইউক্রেন সেনা

আপডেট : ০৪:০১:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২

মারিউপোলের আজভস্তাল স্টিলওয়ার্ক কারখানায় আটকেপড়া আত্মসমর্পণকারী ইউক্রেনীয় সেনাদের অমানবিক পরিবেশে রেখেছিলেন রুশ সেনারা।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানিয়েছেন ইউক্রেনের সেনা লেফটেন্যান্ট ইলিয়া সামোইলেঙ্কো।তিনিও ওই স্টিল কারখানায় আটকে পড়েছিলেন।

তিনি রাশিয়ার সেই বন্দিশালায় ১২০ দিন ধরে বন্দি ছিলেন এবং শঙ্কা করছিলেন যে কখনই হয়তো তার বাড়ি ফেরা হবে না।

ইলিয়া জানিয়েছেন, রাশিয়ার সেনারা আটকের পর তার কৃত্রিম হাত খুলে নেয়। গেল মাসে তারা বন্দিবিনিময়ের আওতায় রাশিয়ার কাছ থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

২৮ বছর বয়সি ইলিয়া ওই খানে বিস্ফোরণে তার ডান চোখ ও বাম বাহু হারান। বন্দিদশা থেকে ফিরে তিনি বলেন, ‘আমার জন্য যারা অপেক্ষা করছিলেন, তাদের দেখে আমার খুব ভালো লেগেছিল। তাদের চোখে আনন্দ অশ্রু ঝরছিল, মুখে ছিল হাসি।’

যদিও রাশিয়া আজভস্তালে আটকেপড়া ইউক্রেনীয় সেনাদের নির্যাতন করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। ইলিয়াও বলেন, ‘আমাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি।’ ‘তবে অন্য জায়গায় মানুষদের নির্যাতনের খবর তিনি শুনেছেন।’

তিনি জানিয়েছেন, অন্য জায়গায় যাদের পাঠানো হয়েছিল তাদের চেহারার অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। তিনি আরও জানিয়েছেন, গেল মাসে মুক্তি পাওয়া অনেকেই তাকে বলেছে যে তাদের ঠিকমতো পানি দেওয়া হয়নি এবং সেখানে যথেষ্ট পুষ্টিহীনতাও ছিল।