০৭:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

মাগুরায় চিকিৎসকদের প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান

মন্নুজান, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি :

মাগুরায় চিকিৎসকগণ তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা ও হয়রাণির প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করেন, আজ ৩০শে এপ্রিল বেলা ১১.৩০ মিঃ সময়ে মাগুরা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর ও দুপুর ২.৩০ মিঃ  জেলা প্রশাসক বরাবর ,বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর আয়জনেস্বারক লিপি প্রদান করা হয় ।

মূলত মাগুরায় চিকিৎসকগণ তাদের বিরুদ্ধে আনিত সাম্প্রতিক মামলা (উপজেলা- মাগুরা সদর, নং- ২০/১৪৭) সংক্রান্ত স্মারকলিপি। মাগুরা জেলার নিম্নস্বাক্ষরিত সর্বস্তরের চিকিৎসকবৃন্দ, সিজারিয়ান অপারেশনের পরে একজন প্রসূতি মায়ের মৃত্যু সংক্রান্ত ঘটনায় তাদের কয়েকজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দায়ের করা সাম্প্রতিক মামলা (ধারা: 304 (Part-2)/34, The Penal Code, 1860;] সম্পর্কে তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সবিনয়ে লিখেন।

জানা যায় বিগত ৪ ঠা এপ্রিল ২০২৪ ইং প্রসূতি মা শায়লা রহমান সেতুকে পরিবারের লোকজন মাগুরা শহরের লাইফ কেয়ার ক্লিনিকের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. জাফরিন আক্তারের নিকট আনেন এবং জরুরি সিজার অপারেশনের জন্য অনুরোধ করেন এবং অপারেশনের সম্ভাব্য জটিলতা সম্পর্কে পূর্ণ অবহিত হয়ে লিখিতভাবে সম্মতি দেন। সেই মোতাবেক এনেস্থেটিস্ট ডা. অরুণ কান্তি ঘোষ-এর সহায়তায় ডা. জাফরিন আক্তার যথাযথভাবে অপারেশন সম্পন্ন করেন। পরদিন ভোর অনুমান ৬টায় রোগির জটিলতা (PPH) দেখা দিলে রোগীকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানে সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. শফিউর রহমানের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালের চিকিৎসকদল পুনরায় অপারেশন করেন। মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় অপারেশনের পর আইসিইউ-এর প্রয়োজনে রোগিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হলেও রোগির স্বজনেরা প্রশুতিকে ঢাকার বেসরকারি পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করান, যেখানে ৫ ই এপ্রিল রাত ১০-৩৬ মিনিটে বিভিন্ন জটিলতায় রোগি মৃত্যুবরণ করেন (ডেথ সার্টিফিকেট সংযুক্ত)। সমাজের দায়িত্বশীল প্রতিনিধি হিসাবে এই অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর ঘটনায় তারা রোগীর শোকাহত পরিবারের কাছে শোক অনুভূতি প্রকাশ করেন। তারা বলেন যে মামলায় ডাক্তারদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ কেবল উদ্দেশ্য প্রণোদিতই নয় বরং ভয়ঙ্কর বানোয়াট এবং সত্যের ভুল উপস্থাপনা।

সিজারিয়ান অপারেশন একটি জটিল চিকিৎসা পদ্ধতি, এবং চিকিৎসকদের সর্বোত্তম প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, অপ্রত্যাশিত জটিলতা হতে পারে যা দুঃখজনকভাবে একজন রোগীর ক্ষতির কারণ হতে পারে। এই সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে, আমাদের সহকর্মীরা তাঁদের চিকিৎসা দক্ষতা এবং প্রশিক্ষণ অনুযায়ী শিশুর জন্ম দিতে এবং মায়ের জীবন বাঁচাতে কাজ করেছেন। মামলার নিম্নলিখিত দিকগুলি নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন তারা।

বানোয়াট অপারেশনের কাহিনী: মামলার এজাহার অনুযায়ী, ৪ এপ্রিল রাত ১টায় ও পুনরায় ভোররাতে ডাক্তাররা অজ্ঞান করিয়া রোগির তলপেট, বুক, বগলের নিচে ও কোমরে কোন কারণ ছাড়া জখম করিয়া গুরুতর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। প্রকৃতপক্ষে উল্লেখিত সময়ে উক্ত ক্লিনিকে কোনও অপারেশন-ই হয়নি বলে জানান। ডাক্তারদের সহকর্মীদের বিরুদ্ধে রোগিকে বানোয়াট জখমের গল্প বানানো হয়েছে- এটি তাদের সহকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা নিয়ে আরও উদ্বেগ জাগায়।
ভুল উপস্থাপন: প্রশুতির পরিবার অভিযোগ করেন যে, ব্যবসায়িক স্বার্থে ডাক্তাররা রোগীকে ঢাকার
একটি বেসরকারি হাসপাতালে (পপুলার হাসপাতাল) রেফার করেছেন, যেখানে নথিপত্রে স্পষ্টভাবে সরকার পরিচালিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কথা উল্লেখ আছে (ডিসচার্জ সার্টিফিকেট সংযুক্ত)। এই অসঙ্গতি থেকে বোঝা যায় যে তারা মিথ্যা দাবি।
পোস্ট-মর্টেম প্রত্যাখ্যান: রোগীর পরিবার মৃত লাশ ময়না-তদন্ত করতে দিতে অস্বীকার করেছে বলে জানা গেছে, যা মৃত্যুর কারণ নির্ধারণে সহায়ক গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা প্রমাণ দিতে পারত। তাদের এই অস্বীকৃতি তাদের উদ্দেশ্য এবং সঠিক তদন্ত বাঁধা প্রদানের সম্ভাব্য অপচেষ্টা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতামতের অভাব: পেশাদার ব্যক্তিদের, যেমন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া বিধেয়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে সচেতনভাবেই কোনও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের মত নেওয়া হয়নি- যা তাদের হীন উদ্দেশ্যকে সমর্থন করে। চিকিৎসা-বিজ্ঞানে জড়িত চিকিৎসা জটিলতা এবং পরিবারের দাবির অসঙ্গতিসমূহ বিবেচনায় নিয়ে এই মামলায় একটি সুষ্ঠু ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত পরিচালনাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানান । এ ছাড়া, তারা অনুরোধ করেন যে তদন্তে অপরাধমূলক অন্যায়ের কোনও প্রমাণ না পাওয়া গেলে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক জামিন অযোগ্য মামলা প্রত্যাহার করা হোক। এই ধরনের কর্ম সামগ্রিক চিকিৎসা পেশার উপর একটি বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এবং ডাক্তারদের মাগুরার মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসাসেবা প্রদানে নিরুৎসাহিত করতে পারে।

মাগুরা জেলার অন্যান্য ডাক্তারেরা, সহকর্মীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন , তদন্তের সাথে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে সদা প্রস্তুত তারা ,
নিবেদনে, মাগুরা জেলার সর্বস্তরের চিকিৎসকগণ ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) মাগুরা জেলা শাখা সভাপতি ডাঃ কাজী তারিফুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ জয়ন্ত কুন্ডু, সার্জিক্যাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ অখিল রঞ্জন বিশ্বাস, জাহান ক্লিনিক প্রাঃ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ মাসুদুল হক,
প্রাক্তন বিভাগী প্রধান গাইনী বিভাগ মাগুরা মেডিকেল কলেজ ডাঃ তপন কুমার রায়, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ আ.ত.ম আব্দুল্লাহেল কাফী মাগুরা মেডিকেল কলেজ, এমও সদর হাসপাতাল ডাঃ অরুণ কান্তি ঘোষ, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আফজাল হোসেন, মাগুরা মেডিকেল কলেজ লেকচারার ডাঃ রাজিয়া সুলতানা মাহমুদ, পিয়ারলেস ও ল্যাব এইড গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ শবনম মোস্তারী, গ্রামীণ ল্যাব গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ দিলারা আক্তার লাবনী, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ শামসুন্নাহার, সিনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ডাঃ মোঃ শফিউর রহমান সহ প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ডাক্তার বৃন্দগণ স্মারক লিপি তুলে দেন মাগুরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ ও মাগুরা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদ্দৌলা রেজা পিপিএম বার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব কলিমুল্লাহ স্যারের হাতে।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৪:০৬:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪
৩৪ বার পড়া হয়েছে

মাগুরায় চিকিৎসকদের প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান

আপডেট : ০৪:০৬:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

মাগুরায় চিকিৎসকগণ তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা ও হয়রাণির প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করেন, আজ ৩০শে এপ্রিল বেলা ১১.৩০ মিঃ সময়ে মাগুরা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর ও দুপুর ২.৩০ মিঃ  জেলা প্রশাসক বরাবর ,বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর আয়জনেস্বারক লিপি প্রদান করা হয় ।

মূলত মাগুরায় চিকিৎসকগণ তাদের বিরুদ্ধে আনিত সাম্প্রতিক মামলা (উপজেলা- মাগুরা সদর, নং- ২০/১৪৭) সংক্রান্ত স্মারকলিপি। মাগুরা জেলার নিম্নস্বাক্ষরিত সর্বস্তরের চিকিৎসকবৃন্দ, সিজারিয়ান অপারেশনের পরে একজন প্রসূতি মায়ের মৃত্যু সংক্রান্ত ঘটনায় তাদের কয়েকজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দায়ের করা সাম্প্রতিক মামলা (ধারা: 304 (Part-2)/34, The Penal Code, 1860;] সম্পর্কে তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সবিনয়ে লিখেন।

জানা যায় বিগত ৪ ঠা এপ্রিল ২০২৪ ইং প্রসূতি মা শায়লা রহমান সেতুকে পরিবারের লোকজন মাগুরা শহরের লাইফ কেয়ার ক্লিনিকের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. জাফরিন আক্তারের নিকট আনেন এবং জরুরি সিজার অপারেশনের জন্য অনুরোধ করেন এবং অপারেশনের সম্ভাব্য জটিলতা সম্পর্কে পূর্ণ অবহিত হয়ে লিখিতভাবে সম্মতি দেন। সেই মোতাবেক এনেস্থেটিস্ট ডা. অরুণ কান্তি ঘোষ-এর সহায়তায় ডা. জাফরিন আক্তার যথাযথভাবে অপারেশন সম্পন্ন করেন। পরদিন ভোর অনুমান ৬টায় রোগির জটিলতা (PPH) দেখা দিলে রোগীকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানে সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. শফিউর রহমানের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালের চিকিৎসকদল পুনরায় অপারেশন করেন। মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় অপারেশনের পর আইসিইউ-এর প্রয়োজনে রোগিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হলেও রোগির স্বজনেরা প্রশুতিকে ঢাকার বেসরকারি পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করান, যেখানে ৫ ই এপ্রিল রাত ১০-৩৬ মিনিটে বিভিন্ন জটিলতায় রোগি মৃত্যুবরণ করেন (ডেথ সার্টিফিকেট সংযুক্ত)। সমাজের দায়িত্বশীল প্রতিনিধি হিসাবে এই অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর ঘটনায় তারা রোগীর শোকাহত পরিবারের কাছে শোক অনুভূতি প্রকাশ করেন। তারা বলেন যে মামলায় ডাক্তারদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ কেবল উদ্দেশ্য প্রণোদিতই নয় বরং ভয়ঙ্কর বানোয়াট এবং সত্যের ভুল উপস্থাপনা।

সিজারিয়ান অপারেশন একটি জটিল চিকিৎসা পদ্ধতি, এবং চিকিৎসকদের সর্বোত্তম প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, অপ্রত্যাশিত জটিলতা হতে পারে যা দুঃখজনকভাবে একজন রোগীর ক্ষতির কারণ হতে পারে। এই সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে, আমাদের সহকর্মীরা তাঁদের চিকিৎসা দক্ষতা এবং প্রশিক্ষণ অনুযায়ী শিশুর জন্ম দিতে এবং মায়ের জীবন বাঁচাতে কাজ করেছেন। মামলার নিম্নলিখিত দিকগুলি নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন তারা।

বানোয়াট অপারেশনের কাহিনী: মামলার এজাহার অনুযায়ী, ৪ এপ্রিল রাত ১টায় ও পুনরায় ভোররাতে ডাক্তাররা অজ্ঞান করিয়া রোগির তলপেট, বুক, বগলের নিচে ও কোমরে কোন কারণ ছাড়া জখম করিয়া গুরুতর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। প্রকৃতপক্ষে উল্লেখিত সময়ে উক্ত ক্লিনিকে কোনও অপারেশন-ই হয়নি বলে জানান। ডাক্তারদের সহকর্মীদের বিরুদ্ধে রোগিকে বানোয়াট জখমের গল্প বানানো হয়েছে- এটি তাদের সহকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা নিয়ে আরও উদ্বেগ জাগায়।
ভুল উপস্থাপন: প্রশুতির পরিবার অভিযোগ করেন যে, ব্যবসায়িক স্বার্থে ডাক্তাররা রোগীকে ঢাকার
একটি বেসরকারি হাসপাতালে (পপুলার হাসপাতাল) রেফার করেছেন, যেখানে নথিপত্রে স্পষ্টভাবে সরকার পরিচালিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কথা উল্লেখ আছে (ডিসচার্জ সার্টিফিকেট সংযুক্ত)। এই অসঙ্গতি থেকে বোঝা যায় যে তারা মিথ্যা দাবি।
পোস্ট-মর্টেম প্রত্যাখ্যান: রোগীর পরিবার মৃত লাশ ময়না-তদন্ত করতে দিতে অস্বীকার করেছে বলে জানা গেছে, যা মৃত্যুর কারণ নির্ধারণে সহায়ক গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা প্রমাণ দিতে পারত। তাদের এই অস্বীকৃতি তাদের উদ্দেশ্য এবং সঠিক তদন্ত বাঁধা প্রদানের সম্ভাব্য অপচেষ্টা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতামতের অভাব: পেশাদার ব্যক্তিদের, যেমন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া বিধেয়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে সচেতনভাবেই কোনও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের মত নেওয়া হয়নি- যা তাদের হীন উদ্দেশ্যকে সমর্থন করে। চিকিৎসা-বিজ্ঞানে জড়িত চিকিৎসা জটিলতা এবং পরিবারের দাবির অসঙ্গতিসমূহ বিবেচনায় নিয়ে এই মামলায় একটি সুষ্ঠু ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত পরিচালনাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানান । এ ছাড়া, তারা অনুরোধ করেন যে তদন্তে অপরাধমূলক অন্যায়ের কোনও প্রমাণ না পাওয়া গেলে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক জামিন অযোগ্য মামলা প্রত্যাহার করা হোক। এই ধরনের কর্ম সামগ্রিক চিকিৎসা পেশার উপর একটি বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এবং ডাক্তারদের মাগুরার মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসাসেবা প্রদানে নিরুৎসাহিত করতে পারে।

মাগুরা জেলার অন্যান্য ডাক্তারেরা, সহকর্মীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন , তদন্তের সাথে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে সদা প্রস্তুত তারা ,
নিবেদনে, মাগুরা জেলার সর্বস্তরের চিকিৎসকগণ ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) মাগুরা জেলা শাখা সভাপতি ডাঃ কাজী তারিফুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ জয়ন্ত কুন্ডু, সার্জিক্যাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ অখিল রঞ্জন বিশ্বাস, জাহান ক্লিনিক প্রাঃ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ মাসুদুল হক,
প্রাক্তন বিভাগী প্রধান গাইনী বিভাগ মাগুরা মেডিকেল কলেজ ডাঃ তপন কুমার রায়, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ আ.ত.ম আব্দুল্লাহেল কাফী মাগুরা মেডিকেল কলেজ, এমও সদর হাসপাতাল ডাঃ অরুণ কান্তি ঘোষ, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আফজাল হোসেন, মাগুরা মেডিকেল কলেজ লেকচারার ডাঃ রাজিয়া সুলতানা মাহমুদ, পিয়ারলেস ও ল্যাব এইড গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ শবনম মোস্তারী, গ্রামীণ ল্যাব গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ দিলারা আক্তার লাবনী, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ শামসুন্নাহার, সিনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ডাঃ মোঃ শফিউর রহমান সহ প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ডাক্তার বৃন্দগণ স্মারক লিপি তুলে দেন মাগুরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ ও মাগুরা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদ্দৌলা রেজা পিপিএম বার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব কলিমুল্লাহ স্যারের হাতে।