০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

লামায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজর ভিন্ন আঙ্গিকে মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালন

প্রতিনিধির নাম

২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার প্রথম প্রহরে ভিন্ন আঙ্গিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে শহীদকুঞ্জে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কোভিড-১৯ সচেতনতার কারণে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের আয়োজনটি গত বছরের মতো এবারও পালিত হয়েছে সীমিত পরিসরে। এদিন সকালে প্রভাতফেরির পর শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এরপর শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিষয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পর কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের হাই স্কুল ক্যাম্পাসে সকাল সাড়ে ৯টায় ভাষা শহীদ ও বিশ্বের প্রতিটি মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শুধু বাংলা ভাষা নয়, চাকমা, মার্মা, ম্রো, সাঁওতাল, গারোসহ বিশ্বের সকল জাতিগোষ্ঠীর ভাষার প্রতিও শ্রদ্ধা জানানো হয় এই অনুষ্ঠানে।

এদিকে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সরকারী মাতামুহুরী কলেজ, বন বিভাগ, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়,  ইউনিয়ন পরিষদ পৃথক পৃথকভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালন করে।
এদিকে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ২০০৮ সাল থেকে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছে একটু ভিন্নভাবে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রয়েছে মাতৃভাষা ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের জন্যে বিশেষ একটি স্থান ‘শহীদ কুঞ্জ’। বৃক্ষঘেরা ‘শহীদ কুঞ্জ’ সম্পর্কে জানতে চাইলে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের ইনচার্জ সালেহ আহমেদ বলেন, ‘শহীদরা অমর’। তাদের দৈহিক মৃত্যু হতে পারে। কিন্তু তাঁরা আগামী প্রজন্মের হৃদয়ে বেঁচে থাকে ত্যাগের উদাহরণ হিসেবে।
তাই ইট-সিমেন্ট পাথরের কোনো অবকাঠামো না বানিয়ে, আমরা শহীদদের স্মরণে গাছ লাগিয়েছি। আমাদের এই চত্বরে ১২টি শিমুল গাছ আছে। প্রথম ৫টি ৫ জন ভাষা শহীদদের স্মরণে আর বাকি ৭টি মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠদের স্মরণে লাগানো হয়েছে। এগুলো চারা থেকে এখন বৃক্ষে পরিণত হয়। এই গাছগুলো থেকে মানুষ, পশুপাখি ও প্রকৃতি যত উপকৃত হবে, তা এই শহীদদের জন্যে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে সংযোজিত হতে থাকবে। আমরা শহীদদের ৩৬৫ দিন স্মরণ করি গাছগুলো পরিচর্যার মাধ্যমে। দেশের জন্যে শহীদদের অবদান যেহেতু সবচেয়ে বেশি, তাই তাদের সর্বোত্তম সেবা ও সম্মান দেয়ার ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ‘শহীদ কুঞ্জ’।’

ট্যাগস :
আপডেট : ১১:১২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
২৬৩ বার পড়া হয়েছে

লামায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজর ভিন্ন আঙ্গিকে মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালন

আপডেট : ১১:১২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার প্রথম প্রহরে ভিন্ন আঙ্গিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে শহীদকুঞ্জে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কোভিড-১৯ সচেতনতার কারণে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের আয়োজনটি গত বছরের মতো এবারও পালিত হয়েছে সীমিত পরিসরে। এদিন সকালে প্রভাতফেরির পর শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এরপর শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিষয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পর কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের হাই স্কুল ক্যাম্পাসে সকাল সাড়ে ৯টায় ভাষা শহীদ ও বিশ্বের প্রতিটি মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শুধু বাংলা ভাষা নয়, চাকমা, মার্মা, ম্রো, সাঁওতাল, গারোসহ বিশ্বের সকল জাতিগোষ্ঠীর ভাষার প্রতিও শ্রদ্ধা জানানো হয় এই অনুষ্ঠানে।

এদিকে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সরকারী মাতামুহুরী কলেজ, বন বিভাগ, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়,  ইউনিয়ন পরিষদ পৃথক পৃথকভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালন করে।
এদিকে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ২০০৮ সাল থেকে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছে একটু ভিন্নভাবে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রয়েছে মাতৃভাষা ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের জন্যে বিশেষ একটি স্থান ‘শহীদ কুঞ্জ’। বৃক্ষঘেরা ‘শহীদ কুঞ্জ’ সম্পর্কে জানতে চাইলে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের ইনচার্জ সালেহ আহমেদ বলেন, ‘শহীদরা অমর’। তাদের দৈহিক মৃত্যু হতে পারে। কিন্তু তাঁরা আগামী প্রজন্মের হৃদয়ে বেঁচে থাকে ত্যাগের উদাহরণ হিসেবে।
তাই ইট-সিমেন্ট পাথরের কোনো অবকাঠামো না বানিয়ে, আমরা শহীদদের স্মরণে গাছ লাগিয়েছি। আমাদের এই চত্বরে ১২টি শিমুল গাছ আছে। প্রথম ৫টি ৫ জন ভাষা শহীদদের স্মরণে আর বাকি ৭টি মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠদের স্মরণে লাগানো হয়েছে। এগুলো চারা থেকে এখন বৃক্ষে পরিণত হয়। এই গাছগুলো থেকে মানুষ, পশুপাখি ও প্রকৃতি যত উপকৃত হবে, তা এই শহীদদের জন্যে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে সংযোজিত হতে থাকবে। আমরা শহীদদের ৩৬৫ দিন স্মরণ করি গাছগুলো পরিচর্যার মাধ্যমে। দেশের জন্যে শহীদদের অবদান যেহেতু সবচেয়ে বেশি, তাই তাদের সর্বোত্তম সেবা ও সম্মান দেয়ার ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ‘শহীদ কুঞ্জ’।’