০৯:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

সরকারি অফিস ব্যবস্থাপনায় কাজের গতি বৃদ্ধিতে পলিসি ডায়ালগ

প্রতিনিধির নাম

সরকারি অফিস ব্যবস্থাপনায় কাজের গতি বৃদ্ধিতে ‘ডায়ালগ অন পটেনশিয়াল অফ ই-নথি ফর বিল্ডিং দা সিভিল সার্ভিস ফর দা ফিউচার’ শীর্ষক একটি ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়। ই-নথির প্রভাব সম্পর্কিত চলমান গবেষণা ‘ইমপ্যাক্ট স্টাডি অন ই-নথি’ এর অংশ হিসেবে সোমবার (১৯ জুন) এটুআই ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই ডায়ালগটিতে মতবিনিময়ের মাধ্যমে পলিসি মেকিং, একাডেমিয়া ও ইমপ্লিমেন্টেশন পর্যায় থেকে ই-নথির ভিশন ও পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে ই-নথি সংক্রান্ত গবেষণা হতে প্রাপ্ত তথ্যের সাথে তুলনামূলক বিশ্লেষণে ব্যবহারের মাধ্যমে গবেষণা কার্যক্রমটিকে উন্নততর করা সম্ভবপর হবে।

এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় সচিব জনাব মোঃ সামসুল আরেফিন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। গবেষণার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসিফ সোহান।

উক্ত পলিসি ডায়ালগের মাধ্যমে সুষ্ঠু ই-গভর্মেন্ট এবং ই-গভর্নেন্সের মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ এবং এদের পটভূমি নিয়ে আলোচনা করা হয়। ই-নথির কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে পলিসি মেকারদের ভূমিকা নিয়ে আলোকপাত করেন বক্তারা। আর্টিফিসিয়াল ইনটিলিজেন্স এর সাথে ই-নথিকে একীভূত করার মাধ্যমে ই-নথি হতে প্রাপ্ত বিভিন্ন ধরনের ডাটাসমূহকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে পাবলিক সার্ভিসকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যাবে বলে পরামর্শ দেন বক্তারা। এছাড়াও অন্যান্য আলোচকবৃন্দ ই-নথিকে কিভাবে এস-নথি (স্মার্ট নথি) তে রুপান্তর করা যায় সে বিষয়ে আলোকপাত করেন তারা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় সচিব, জনাব মোঃ সামসুল আরেফিন, ই-নথির সম্ভাব্য রূপরেখাবিনির্মাণে উদ্ভাবনী কল্পনার উপর জোর দেন। তিনি মনে করেন, ভবিষ্যত সিভিল সার্ভিসের আকার হ্রাস পেলেও, জনসাধারণের কাছে ই-নথির মাধ্যমে প্রাপ্ত পরিষেবার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং পরিষেবাগুলো আরও বেশি সহজলভ্য হবে। ই-নথি খুব দ্রুতই স্মার্ট নথিতে রুপান্তরিত হবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

এর আগে তিনি সরকারের কিছু দপ্তর-অধিদপ্তর নিয়ে আলোচনা করেন যেখানে উদ্ভাবনী কল্পনার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মনে করেন, বিশেষত ভূমি রেজিস্ট্রেশন, ভূমি মিউটেশন, এবং ভূমি রেকর্ড সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো ইনটিগ্রেটেড করার মাধ্যমে আরো জনবান্ধব সেবা প্রদান করা সম্ভব। এছাড়াও, অনলাইন ও অফলাইনে কিউআর কোডের দ্বারা ডিজিটাল সাইন নিশ্চিত করার মাধ্যমে জমি সংক্রান্ত জটিলতা দূর করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে তিনি মতামত দেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রকল্প পরিচালক (এটুআই), অতিরিক্ত সচিব, জনাব ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এই আশা ব্যক্ত করেন যে, নিকট ভবিষ্যতে ই-নথির আইএসও মান নিশ্চিত হবে এবং এর পাশাপাশি ই-নথি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করবে। এর আগে তিনি ডিজিটাল সাইন, সাইবার সিকিউরিটি ইত্যাদি নিশ্চিতকরণে সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে আলোকপাত করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম, অধ্যাপক সাদিক হাসান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, এটুআই-এর প্রজেক্ট এনালিস্ট মোহাম্মাদ সালাহউদ্দিন, ই-নথি ইমপ্লিমেন্টেশন এক্সপার্ট এটিএম আল ফাত্তাহ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) নিলুফা ইয়াসমিন, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ. কে. এম গোলাম মোর্শেদ খান এবং এটুআই-এর রিসার্চ স্পেশালিস্ট ড. জ়ুলকারিন জাহাঙ্গীরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
আপডেট : ১০:৩৮:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩
৬২ বার পড়া হয়েছে

সরকারি অফিস ব্যবস্থাপনায় কাজের গতি বৃদ্ধিতে পলিসি ডায়ালগ

আপডেট : ১০:৩৮:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩

সরকারি অফিস ব্যবস্থাপনায় কাজের গতি বৃদ্ধিতে ‘ডায়ালগ অন পটেনশিয়াল অফ ই-নথি ফর বিল্ডিং দা সিভিল সার্ভিস ফর দা ফিউচার’ শীর্ষক একটি ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়। ই-নথির প্রভাব সম্পর্কিত চলমান গবেষণা ‘ইমপ্যাক্ট স্টাডি অন ই-নথি’ এর অংশ হিসেবে সোমবার (১৯ জুন) এটুআই ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই ডায়ালগটিতে মতবিনিময়ের মাধ্যমে পলিসি মেকিং, একাডেমিয়া ও ইমপ্লিমেন্টেশন পর্যায় থেকে ই-নথির ভিশন ও পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে ই-নথি সংক্রান্ত গবেষণা হতে প্রাপ্ত তথ্যের সাথে তুলনামূলক বিশ্লেষণে ব্যবহারের মাধ্যমে গবেষণা কার্যক্রমটিকে উন্নততর করা সম্ভবপর হবে।

এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় সচিব জনাব মোঃ সামসুল আরেফিন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। গবেষণার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসিফ সোহান।

উক্ত পলিসি ডায়ালগের মাধ্যমে সুষ্ঠু ই-গভর্মেন্ট এবং ই-গভর্নেন্সের মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ এবং এদের পটভূমি নিয়ে আলোচনা করা হয়। ই-নথির কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে পলিসি মেকারদের ভূমিকা নিয়ে আলোকপাত করেন বক্তারা। আর্টিফিসিয়াল ইনটিলিজেন্স এর সাথে ই-নথিকে একীভূত করার মাধ্যমে ই-নথি হতে প্রাপ্ত বিভিন্ন ধরনের ডাটাসমূহকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে পাবলিক সার্ভিসকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যাবে বলে পরামর্শ দেন বক্তারা। এছাড়াও অন্যান্য আলোচকবৃন্দ ই-নথিকে কিভাবে এস-নথি (স্মার্ট নথি) তে রুপান্তর করা যায় সে বিষয়ে আলোকপাত করেন তারা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় সচিব, জনাব মোঃ সামসুল আরেফিন, ই-নথির সম্ভাব্য রূপরেখাবিনির্মাণে উদ্ভাবনী কল্পনার উপর জোর দেন। তিনি মনে করেন, ভবিষ্যত সিভিল সার্ভিসের আকার হ্রাস পেলেও, জনসাধারণের কাছে ই-নথির মাধ্যমে প্রাপ্ত পরিষেবার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং পরিষেবাগুলো আরও বেশি সহজলভ্য হবে। ই-নথি খুব দ্রুতই স্মার্ট নথিতে রুপান্তরিত হবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

এর আগে তিনি সরকারের কিছু দপ্তর-অধিদপ্তর নিয়ে আলোচনা করেন যেখানে উদ্ভাবনী কল্পনার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মনে করেন, বিশেষত ভূমি রেজিস্ট্রেশন, ভূমি মিউটেশন, এবং ভূমি রেকর্ড সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো ইনটিগ্রেটেড করার মাধ্যমে আরো জনবান্ধব সেবা প্রদান করা সম্ভব। এছাড়াও, অনলাইন ও অফলাইনে কিউআর কোডের দ্বারা ডিজিটাল সাইন নিশ্চিত করার মাধ্যমে জমি সংক্রান্ত জটিলতা দূর করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে তিনি মতামত দেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রকল্প পরিচালক (এটুআই), অতিরিক্ত সচিব, জনাব ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এই আশা ব্যক্ত করেন যে, নিকট ভবিষ্যতে ই-নথির আইএসও মান নিশ্চিত হবে এবং এর পাশাপাশি ই-নথি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করবে। এর আগে তিনি ডিজিটাল সাইন, সাইবার সিকিউরিটি ইত্যাদি নিশ্চিতকরণে সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে আলোকপাত করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম, অধ্যাপক সাদিক হাসান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, এটুআই-এর প্রজেক্ট এনালিস্ট মোহাম্মাদ সালাহউদ্দিন, ই-নথি ইমপ্লিমেন্টেশন এক্সপার্ট এটিএম আল ফাত্তাহ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) নিলুফা ইয়াসমিন, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ. কে. এম গোলাম মোর্শেদ খান এবং এটুআই-এর রিসার্চ স্পেশালিস্ট ড. জ়ুলকারিন জাহাঙ্গীরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।