১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

আওয়ামীলীগের প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

ফরহাদুল ইসলাম
বিএনপি, জামাতের অগ্নি সন্ত্রাস,নৈরাজ‍্যের সৃষ্টি ও সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশক্রমে সারাদেশের ন‍্যায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার(৩০ জুলাই) সকাল ১১টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত আওয়ামীলীগ ও  সহযোগি অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের অংগ্রহণে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক  প্রদক্ষিণ  করে পূনরায় দলীয় কার্যালয়ে এসে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসের আফরুজা বারী’ সদস্য গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগ,  উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও  সাধারণ সম্পাদক অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের কান্ডারী  আশরাফুল আলম সরকার লেবু, সদস্য গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের  সহসভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম কবির মুকুল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল  আলম, ৫ নং দহবন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আলম রেজা, সাবেক উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজা বেগম কাকলি,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এসএম আশেকুজ্জামান প্রামানিক তুহিন, গাইবান্ধা আওয়ামী যুবলীগ শাখার সদস্য শহিদুল ইসলাম রানা প্রমূখ।
এসময় বক্তরা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার শুভাগমন ও সমাবেশ সফল করতে আমাদের সকল নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর স্লোগানে গোটা উত্তরবঙ্গ মুখরিত করবো।আমরা দেখিয়ে দিতে চাই উত্তর বঙ্গের মাটি আওয়ামীলীগের ঘাটি।শেখ হাসিনা সংসদে আমরা আছি রাজপথে।শেখ হাসিনার ভয় নাই রাজপথ ছারি নাই।এছাড়া আরো বলেন- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর এ মহাসমাবেশ রংপুরবাসীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জের। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা টানা তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে রংপুরকে যেভাবে উন্নয়নের মোড়কে সাজিয়েছেন, তা বিগত সময়ে কোনো সরকার করতে পারেনি। রংপুরে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। এখন মঙ্গাপীড়িত রংপুর বলা হয় না, কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতিশ্রুতি পূরণের মধ্যদিয়ে রংপুর থেকে মঙ্গা দূর করেছেন। মানুষের ভাগ্যবদলের সঙ্গে সঙ্গে রংপুর অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন ও পরিবর্তন ঘটেছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে বিগত ১৪ বছরের উন্নয়ন তুলে ধরে জনগনের মাঝে প্রচার চালাবো। বিএনপি, জামাতের সন্ত্রাসীরা  ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে খুনিরা বসে নেই। ওই দিন বেঁচে যাওয়া বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়। এখন আবার তাকে হত্যার হুমকি দেয়া মানে দেশকে পুনরায় অস্থিতিশীল করে পিছিয়ে দেয়া।
বক্তারা আরো বলেন,স্বাধীনতার পর হত্যা,খুন ও গুমের রাজনীতি শুরু করে বিএনপি, জামাত। আবারও সেই রাজনীতি করে তারা ক্ষমতায় আসতে চায়। তাদের জ্বালাও-পোড়াওয়ের চিন্তা এখনও যায়নি।আবারো সেই কর্মকাণ্ড তারা শুরু করেছে, সুযোগ পেলে তারা আবারও জ্বালাও-পোড়াও করবে।কিন্তু তাদের আর জ্বালাও পোড়াও করার সুযোগ দেওয়া হবে না। বাংলার জনগণ এখন সোচ্চার। বিএনপি, জামায়াতের সন্ত্রাসী বাহিনীকে বাংলার জনগণ এখন দাঁতভাঙা জবাব দেবে। আমরা রাজপথে আছি, এসব হুমকি রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আওয়ামী লীগ,যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবকলীগ,ছাত্রলীগসহ, আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সকল প্রকার দ্বিধা -দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান করেন ।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৬:১১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩
১৮৮ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামীলীগের প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

আপডেট : ০৬:১১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩
বিএনপি, জামাতের অগ্নি সন্ত্রাস,নৈরাজ‍্যের সৃষ্টি ও সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশক্রমে সারাদেশের ন‍্যায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার(৩০ জুলাই) সকাল ১১টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত আওয়ামীলীগ ও  সহযোগি অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের অংগ্রহণে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক  প্রদক্ষিণ  করে পূনরায় দলীয় কার্যালয়ে এসে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসের আফরুজা বারী’ সদস্য গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগ,  উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও  সাধারণ সম্পাদক অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের কান্ডারী  আশরাফুল আলম সরকার লেবু, সদস্য গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের  সহসভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম কবির মুকুল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল  আলম, ৫ নং দহবন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আলম রেজা, সাবেক উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজা বেগম কাকলি,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এসএম আশেকুজ্জামান প্রামানিক তুহিন, গাইবান্ধা আওয়ামী যুবলীগ শাখার সদস্য শহিদুল ইসলাম রানা প্রমূখ।
এসময় বক্তরা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার শুভাগমন ও সমাবেশ সফল করতে আমাদের সকল নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর স্লোগানে গোটা উত্তরবঙ্গ মুখরিত করবো।আমরা দেখিয়ে দিতে চাই উত্তর বঙ্গের মাটি আওয়ামীলীগের ঘাটি।শেখ হাসিনা সংসদে আমরা আছি রাজপথে।শেখ হাসিনার ভয় নাই রাজপথ ছারি নাই।এছাড়া আরো বলেন- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর এ মহাসমাবেশ রংপুরবাসীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জের। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা টানা তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে রংপুরকে যেভাবে উন্নয়নের মোড়কে সাজিয়েছেন, তা বিগত সময়ে কোনো সরকার করতে পারেনি। রংপুরে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। এখন মঙ্গাপীড়িত রংপুর বলা হয় না, কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতিশ্রুতি পূরণের মধ্যদিয়ে রংপুর থেকে মঙ্গা দূর করেছেন। মানুষের ভাগ্যবদলের সঙ্গে সঙ্গে রংপুর অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন ও পরিবর্তন ঘটেছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে বিগত ১৪ বছরের উন্নয়ন তুলে ধরে জনগনের মাঝে প্রচার চালাবো। বিএনপি, জামাতের সন্ত্রাসীরা  ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে খুনিরা বসে নেই। ওই দিন বেঁচে যাওয়া বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়। এখন আবার তাকে হত্যার হুমকি দেয়া মানে দেশকে পুনরায় অস্থিতিশীল করে পিছিয়ে দেয়া।
বক্তারা আরো বলেন,স্বাধীনতার পর হত্যা,খুন ও গুমের রাজনীতি শুরু করে বিএনপি, জামাত। আবারও সেই রাজনীতি করে তারা ক্ষমতায় আসতে চায়। তাদের জ্বালাও-পোড়াওয়ের চিন্তা এখনও যায়নি।আবারো সেই কর্মকাণ্ড তারা শুরু করেছে, সুযোগ পেলে তারা আবারও জ্বালাও-পোড়াও করবে।কিন্তু তাদের আর জ্বালাও পোড়াও করার সুযোগ দেওয়া হবে না। বাংলার জনগণ এখন সোচ্চার। বিএনপি, জামায়াতের সন্ত্রাসী বাহিনীকে বাংলার জনগণ এখন দাঁতভাঙা জবাব দেবে। আমরা রাজপথে আছি, এসব হুমকি রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আওয়ামী লীগ,যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবকলীগ,ছাত্রলীগসহ, আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সকল প্রকার দ্বিধা -দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান করেন ।