১০:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

আমি মানবের দেশ চেয়েছিলাম, দানবের দেশ নয় -বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

মো: ওমর ফারুক মুন্সী

আমি মানবের দেশ চেয়েছিলাম, দানবের দেশ নয়। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে, তাঁরা বাংলাদেশে কেন বাস করবে ? বাংলাদেশে বাস করতে হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকার করতে হবে, বাংলাদেশের নেতা যে তাকে স্বীকার করতে হবে। যারা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে তারা আজ অবহেলিত, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল, তারাই পদ-পদবীর মালিক হয়ে গেছে। নিষিদ্ধ পল্লীর মেয়েদেরও একটা চরিত্র আছে, কিন্তু আপনারা যারা আওয়ামী লীগের নেতা আপনাদের কারও চরিত্র নাই। আমার কথা তিতা লাগতে পারে, এতে আমি ডরাইও না, আমি আল্লাহ রাসুলের ভয় পাই, মানুষকে সম্মান করি। এদেশ আমার মা, এই মাকে ভালোবাসি।
শুক্রবার সকাল ১০ টায় কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে ফাঁসির দণ্ড মওকুফ পাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহার বাড়িতে তাকে দেখতে এসে এসব কথা বলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।
তিনি আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা খালি ভোট চুরি করেন। ২০১৮ সালে এইটা একটা ভোট হইছে ? নৌকা মার্কা হইলেই পাশ। এখন দেখবেন নৌকা আনলে খালি ডুববে। বঙ্গবন্ধু জাতীর পিতা, জাতীর পিতাই হওয়া উচিত ছিল, শুধু আওয়ামী লীগের পিতা না। তা কি চান আপনারা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ থেকে মুছে যাক? যদি না চান, তাহলে মানুষের কাছে যান। মার্কা নিয়ে লাফাবেন না, যে নৌকা দেখলে মানুষের চোখে পানি আসত, সে নৌকা মানুষ এখন আর অত বেশি ভালোবাসে না, ওই যে খালি নৌকা দিলেই পাশ! ভোটারের ভোট লাগে না। দুই-তিন মাস আগে ঢাকা-১৭তে একটা ভোট হয়েছে, ওখানে আওয়ামী লীগের ভোটই আছে লাখের ওপরে, কয়টা ভোট পাইছে? আপনাদের লোকেরাই ভোট দিতে যায় না, তাহলে পাবলিকের কি এত ঠেকা পড়ছে আপনাদের পাগল-ছাগলদের ভোট দিতে, যাকে চেনেই না? আপনারা যাকে পছন্দ তাকেই মনোনয়ন দিয়া দেন। মানুষের সাথে কোন যোগাযোগ নাই, মানুষের কাছে যেতে হয় না, সম্মান করতে হয় না ! মুক্তিযুদ্ধ কি এজন্য করেছিলাম! আমি মানবের দেশ চেয়েছিলাম, দানবের দেশ নয়।
এসময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী রাখাল চন্দ্র নাহার হাতে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় থেকে বরাদ্দকৃত ‘বীর নিবাস’ এর বরাদ্দপত্র ও নগদ অর্থ তুলে দেন। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, কৃষক, শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান (বীর প্রতিক), সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম দেলোয়ার, কোষাধ্যক্ষ আবদুল্লাহ (বীর প্রতিক) যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক হাবিবুন নবী সোহেল, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবীর চেয়ারম্যান, জাফরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ আলম, সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার।
উল্লেখ্য, একটি হত্যা মামলায় দেবিদ্বারের বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহার ফাঁসির দণ্ড দেয় আদালত। ২০০৮ সালের ৭ এপ্রিল ওই রায় কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। পরে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, দেবিদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাব দেবিদ্বার ও ঢাকায় মানববন্ধন-আন্দোলন করে। বিষয়টি পত্রপত্রিকায় প্রকাশ হলে, ফাঁসির দণ্ড কার্যকরের ৩ ঘন্টা আগে রাখালের ফাঁসি মওকুফ করা হয়েছে মর্মে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে একটি ফ্যাক্স বার্তা পাঠালে তার দণ্ড স্থগিত করা হয়।

ট্যাগস :
আপডেট : ১০:৪০:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩
৩০১ বার পড়া হয়েছে

আমি মানবের দেশ চেয়েছিলাম, দানবের দেশ নয় -বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

আপডেট : ১০:৪০:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

আমি মানবের দেশ চেয়েছিলাম, দানবের দেশ নয়। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে, তাঁরা বাংলাদেশে কেন বাস করবে ? বাংলাদেশে বাস করতে হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকার করতে হবে, বাংলাদেশের নেতা যে তাকে স্বীকার করতে হবে। যারা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে তারা আজ অবহেলিত, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল, তারাই পদ-পদবীর মালিক হয়ে গেছে। নিষিদ্ধ পল্লীর মেয়েদেরও একটা চরিত্র আছে, কিন্তু আপনারা যারা আওয়ামী লীগের নেতা আপনাদের কারও চরিত্র নাই। আমার কথা তিতা লাগতে পারে, এতে আমি ডরাইও না, আমি আল্লাহ রাসুলের ভয় পাই, মানুষকে সম্মান করি। এদেশ আমার মা, এই মাকে ভালোবাসি।
শুক্রবার সকাল ১০ টায় কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে ফাঁসির দণ্ড মওকুফ পাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহার বাড়িতে তাকে দেখতে এসে এসব কথা বলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।
তিনি আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা খালি ভোট চুরি করেন। ২০১৮ সালে এইটা একটা ভোট হইছে ? নৌকা মার্কা হইলেই পাশ। এখন দেখবেন নৌকা আনলে খালি ডুববে। বঙ্গবন্ধু জাতীর পিতা, জাতীর পিতাই হওয়া উচিত ছিল, শুধু আওয়ামী লীগের পিতা না। তা কি চান আপনারা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ থেকে মুছে যাক? যদি না চান, তাহলে মানুষের কাছে যান। মার্কা নিয়ে লাফাবেন না, যে নৌকা দেখলে মানুষের চোখে পানি আসত, সে নৌকা মানুষ এখন আর অত বেশি ভালোবাসে না, ওই যে খালি নৌকা দিলেই পাশ! ভোটারের ভোট লাগে না। দুই-তিন মাস আগে ঢাকা-১৭তে একটা ভোট হয়েছে, ওখানে আওয়ামী লীগের ভোটই আছে লাখের ওপরে, কয়টা ভোট পাইছে? আপনাদের লোকেরাই ভোট দিতে যায় না, তাহলে পাবলিকের কি এত ঠেকা পড়ছে আপনাদের পাগল-ছাগলদের ভোট দিতে, যাকে চেনেই না? আপনারা যাকে পছন্দ তাকেই মনোনয়ন দিয়া দেন। মানুষের সাথে কোন যোগাযোগ নাই, মানুষের কাছে যেতে হয় না, সম্মান করতে হয় না ! মুক্তিযুদ্ধ কি এজন্য করেছিলাম! আমি মানবের দেশ চেয়েছিলাম, দানবের দেশ নয়।
এসময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী রাখাল চন্দ্র নাহার হাতে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় থেকে বরাদ্দকৃত ‘বীর নিবাস’ এর বরাদ্দপত্র ও নগদ অর্থ তুলে দেন। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, কৃষক, শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান (বীর প্রতিক), সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম দেলোয়ার, কোষাধ্যক্ষ আবদুল্লাহ (বীর প্রতিক) যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক হাবিবুন নবী সোহেল, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবীর চেয়ারম্যান, জাফরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ আলম, সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার।
উল্লেখ্য, একটি হত্যা মামলায় দেবিদ্বারের বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহার ফাঁসির দণ্ড দেয় আদালত। ২০০৮ সালের ৭ এপ্রিল ওই রায় কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। পরে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, দেবিদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাব দেবিদ্বার ও ঢাকায় মানববন্ধন-আন্দোলন করে। বিষয়টি পত্রপত্রিকায় প্রকাশ হলে, ফাঁসির দণ্ড কার্যকরের ৩ ঘন্টা আগে রাখালের ফাঁসি মওকুফ করা হয়েছে মর্মে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে একটি ফ্যাক্স বার্তা পাঠালে তার দণ্ড স্থগিত করা হয়।