০৩:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

আশুলিয়ায় ভাঙ্গা আর গর্তে ভরা সড়কে অসহনীয় দুর্ভোগ

প্রতিনিধির নাম

ভাঙ্গা রাস্তার ঝাঁকুনি আর ধূলোবালিতে ওষ্ঠাগত প্রাণ। সেইসাথে যানবাহনের গতি কমে হয় অসহনীয় যানজট। ঢাকার আব্দুল্লাপুর-বাইপাইল প্রধান সড়কে সামান্য বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতায় অনেক জায়গায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। ভাঙ্গা রাস্তা মেরামতে নেই তেমন কোন উদ্যোগ।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, আব্দুল্লাপুর-বাইপাইল সড়কের আশুলিয়া থেকে বাইপাইল পর্যন্ত রাস্তাটি যেন একটি মরন ফাঁদ। রাস্তার পাশ দিয়ে গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিত ড্রেন। যেখানে রাস্তার পাশে ফুটপাত দিয়ে সাধারণ মানুষ চলাচল করার কথা থাকলেও সেখান দিয়ে চলছে ড্রেনের ময়লা-আবর্জনার পানি। নিরুপায় হয়ে ভোগান্তি সহ্য করেই চলছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের অবহেলার যেনো শেষ নেই।

জানা গেছে, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের পাশাপাশি সড়কটিতে যানবাহন চলাচলে সম্পূর্ণ ঠিক ঠাক রাখারও কাজ করছেন এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সড়কটির সংস্করণ কাজ নিম্নমানের সামগ্রী ও রাবিশ (ব্যবহৃত অযোগ্য ইটের গুঁড়া) দিয়ে করায় সড়কের অবস্থা আরও নাজেহাল হয়ে পরছে।

এদিকে নিম্নমানের সামগ্রী ও রাবিশ দিয়ে সকালে রাস্তা মেরামত করা হলে বিকেলেই আবার ভেঙ্গে যাচ্ছে এমনটাই অভিযোগ সাধারন মানুষের।

রাস্তাদিয়ে প্রতিদিন চলাচল করা ভুক্তভোগী গার্মেন্টস শ্রমিক জাহানারা জানান, প্রতিদিন আধাঘন্টা আগে বের হতে হয় বাসা থেকে কারণ অনেকক্ষণ জ্যামে বসে থাকতে হয়। আমাদের গার্মেন্টসের চাকরি সময়মতো অফিসে না গেলে অনেক সময় চাকরিও চলে যায়। এই জন্য অনেক কষ্ট করে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয় আমাদের।

এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা প্রতিদিনই স্কুলে যাতায়াত করি কোচিংয়ে যাই, অনেক সময় বৃষ্টি হলে রাস্তার পাশের ড্রেন আর কোনটাই বোঝা যায় না, তখন চলতে আমাদের অনেক ভয় হয়, জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যায়, অনেক সময় গর্তে পড়ে যাই এর দ্রুত সমাধান হওয়া দরকার।

উক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী এক গাড়ির ড্রাইভার আব্দুল লতিফ জানান, রাস্তার যে অবস্থা আমরা অনেক কষ্ট করে গাড়ি চালাই। ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়, অনেক লস হয়। প্রতিদিন গাড়ি ঠিক করা লাগে। তারপরও আর কিছু করার নাই সংসার তো চালাইতে হইবো এজন্য অনেক কষ্ট হইলেও গাড়ি চালাতে হয় কি আর করার।

সড়কটির দায়িত্বে থাকা প্রজেক্ট ম্যানেজার সাহাবুদ্দিন বলেন, আমরা রাস্তাটি খারাপ অবস্থায় পেয়েছি। এই রাস্তাটি চার লেনের হবে। কিছুদিন পরে এক্সপ্রেসওয়ের পিলার করতে হবে রাস্তার মাঝখানে। এর আগে রাস্তার দু’পাশের সড়ক ঠিক করা হবে যেনো যানবাহন চলাচল করতে পারে। আর রাবিশ দিয়ে সড়ক সংস্করণের ব্যপারে তিনি বলেন, রাবিশ দিয়ে কাজ করা হচ্ছে টেমপরারি (সাময়িকভাবে)। আমরা একদম ফ্রেশ রাস্তা করবো। এবং ফ্রেশভাবে রিপিয়ার করবো। ঠিকাদার দিয়ে জোর করে অনুমদিতোভাবে রিপিয়ার করানো হচ্ছে। সড়ক বা এক্সপ্রেসওয়ের মেইন কাজ এখনও শুরু করতে পারিনি। রাস্তাটি সড়ক ও জনপথ এর কাছ থেকে কিছু দিন আগেই নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে রাস্তাটির সয়েল টেস্ট করা হয়েছে। মোবিলাইজেশন এডভান্স দেওয়ার পর কমেন্সমেন্ট ডেট শুরু হবে। তবে কিছু আইনগত ব্যপারের কারণে আমরা এখনও মোবিলাইজেশন দিতে পারিনি। এখন আমরা তাদেরকে দিয়ে রাস্তা রিপিয়ার করাচ্ছি যেনো রাস্তা আগের থেকে খারাপ না হয়ে যায়।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৮:৩৩:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
১৮২ বার পড়া হয়েছে

আশুলিয়ায় ভাঙ্গা আর গর্তে ভরা সড়কে অসহনীয় দুর্ভোগ

আপডেট : ০৮:৩৩:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২

ভাঙ্গা রাস্তার ঝাঁকুনি আর ধূলোবালিতে ওষ্ঠাগত প্রাণ। সেইসাথে যানবাহনের গতি কমে হয় অসহনীয় যানজট। ঢাকার আব্দুল্লাপুর-বাইপাইল প্রধান সড়কে সামান্য বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতায় অনেক জায়গায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। ভাঙ্গা রাস্তা মেরামতে নেই তেমন কোন উদ্যোগ।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, আব্দুল্লাপুর-বাইপাইল সড়কের আশুলিয়া থেকে বাইপাইল পর্যন্ত রাস্তাটি যেন একটি মরন ফাঁদ। রাস্তার পাশ দিয়ে গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিত ড্রেন। যেখানে রাস্তার পাশে ফুটপাত দিয়ে সাধারণ মানুষ চলাচল করার কথা থাকলেও সেখান দিয়ে চলছে ড্রেনের ময়লা-আবর্জনার পানি। নিরুপায় হয়ে ভোগান্তি সহ্য করেই চলছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের অবহেলার যেনো শেষ নেই।

জানা গেছে, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের পাশাপাশি সড়কটিতে যানবাহন চলাচলে সম্পূর্ণ ঠিক ঠাক রাখারও কাজ করছেন এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সড়কটির সংস্করণ কাজ নিম্নমানের সামগ্রী ও রাবিশ (ব্যবহৃত অযোগ্য ইটের গুঁড়া) দিয়ে করায় সড়কের অবস্থা আরও নাজেহাল হয়ে পরছে।

এদিকে নিম্নমানের সামগ্রী ও রাবিশ দিয়ে সকালে রাস্তা মেরামত করা হলে বিকেলেই আবার ভেঙ্গে যাচ্ছে এমনটাই অভিযোগ সাধারন মানুষের।

রাস্তাদিয়ে প্রতিদিন চলাচল করা ভুক্তভোগী গার্মেন্টস শ্রমিক জাহানারা জানান, প্রতিদিন আধাঘন্টা আগে বের হতে হয় বাসা থেকে কারণ অনেকক্ষণ জ্যামে বসে থাকতে হয়। আমাদের গার্মেন্টসের চাকরি সময়মতো অফিসে না গেলে অনেক সময় চাকরিও চলে যায়। এই জন্য অনেক কষ্ট করে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয় আমাদের।

এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা প্রতিদিনই স্কুলে যাতায়াত করি কোচিংয়ে যাই, অনেক সময় বৃষ্টি হলে রাস্তার পাশের ড্রেন আর কোনটাই বোঝা যায় না, তখন চলতে আমাদের অনেক ভয় হয়, জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যায়, অনেক সময় গর্তে পড়ে যাই এর দ্রুত সমাধান হওয়া দরকার।

উক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী এক গাড়ির ড্রাইভার আব্দুল লতিফ জানান, রাস্তার যে অবস্থা আমরা অনেক কষ্ট করে গাড়ি চালাই। ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়, অনেক লস হয়। প্রতিদিন গাড়ি ঠিক করা লাগে। তারপরও আর কিছু করার নাই সংসার তো চালাইতে হইবো এজন্য অনেক কষ্ট হইলেও গাড়ি চালাতে হয় কি আর করার।

সড়কটির দায়িত্বে থাকা প্রজেক্ট ম্যানেজার সাহাবুদ্দিন বলেন, আমরা রাস্তাটি খারাপ অবস্থায় পেয়েছি। এই রাস্তাটি চার লেনের হবে। কিছুদিন পরে এক্সপ্রেসওয়ের পিলার করতে হবে রাস্তার মাঝখানে। এর আগে রাস্তার দু’পাশের সড়ক ঠিক করা হবে যেনো যানবাহন চলাচল করতে পারে। আর রাবিশ দিয়ে সড়ক সংস্করণের ব্যপারে তিনি বলেন, রাবিশ দিয়ে কাজ করা হচ্ছে টেমপরারি (সাময়িকভাবে)। আমরা একদম ফ্রেশ রাস্তা করবো। এবং ফ্রেশভাবে রিপিয়ার করবো। ঠিকাদার দিয়ে জোর করে অনুমদিতোভাবে রিপিয়ার করানো হচ্ছে। সড়ক বা এক্সপ্রেসওয়ের মেইন কাজ এখনও শুরু করতে পারিনি। রাস্তাটি সড়ক ও জনপথ এর কাছ থেকে কিছু দিন আগেই নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে রাস্তাটির সয়েল টেস্ট করা হয়েছে। মোবিলাইজেশন এডভান্স দেওয়ার পর কমেন্সমেন্ট ডেট শুরু হবে। তবে কিছু আইনগত ব্যপারের কারণে আমরা এখনও মোবিলাইজেশন দিতে পারিনি। এখন আমরা তাদেরকে দিয়ে রাস্তা রিপিয়ার করাচ্ছি যেনো রাস্তা আগের থেকে খারাপ না হয়ে যায়।