০৮:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

এশিয়া কাপে আজ বাংলাদেশের খেলা

ড. সাঈদুর রহমানের

এশিয়া কাপে আজ বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার মুখোমুখি হবে। বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে তিনটেয় শুরু হবে ম্যাচটি।  বাংলাদেশ গত কয়েক বছর ধরে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখালেও ঘরের মাঠে সর্বশেষ সিরিজে আফগানিস্তানের কাছে ১-২ এ সিরিজ হেরে গেছে। তার আগে ইংল্যান্ডের কাছেও ঘরের মাঠে একই ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে। তাছাড়া কিছু ঘটনায় বাংলাদেশের শক্তিও কমেছে। ইনজুরির কারণে তামিম ইকবাল দলে নেই। ইবাদত হোসেনও ইনজুরির কারণে দল থেকে বাদ পড়েছেন। সর্বশেষ উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান লিটন দাসও জ্বরের কারণে দলের সাথে যেতে পারেননি। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ যে ওডিআই ম্যাচগুলো খেলেছে, তাতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেছেন লিটন কুমার দাস। এই সময়ে তিনি ২৫ টি ইনিংস খেলে ৪১.৮০ গড়ে ৮৭৮ রান করেছেন। এর মধ্যে একটি সেঞ্চুরি এবং সাতটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে। তাই লিটন কুমার দাসকে হারানো বাংলাদেশের জন্য নিঃসন্দেহে অনেক বড় আঘাত। লিটন কুমার দাসের পরিবর্তে এনামুল হক বিজয়কে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এনামুল হক বিজয় একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪০ টি ম্যাচ খেলে ৩০.৫৮ গড়ে ১২৫৪ রান করেছেন। এর মধ্যে তিনটি সেঞ্চুরি এবং পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে। লিটন দাসের পরিবর্তে এনামুল হক বিজয়ের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চয়ই একটি ভালো সিদ্ধান্ত। কারণ লিটন দাসের মত এনামুল হক বিজয়ও উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান। মুশফিকুর রহিম যদি কোন ম্যাচে কোন কারণে কিপিং করতে না পারেন, তাহলে এনামুল হক বিজয় উইকেট কিপিং এর কাজটা করতে পারবেন। নাঈম শেখ এবং নবাগত তানজিদ হাসান তামিম দুজনেই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। তাদের যে কারো সাথে যদি এনামুল হক বিজয় ইনিংস ওপেন করেন, তাহলে ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন এর সুবিধাটা পাবে বাংলাদেশ দল। এনামুল হক বিজয় ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে সর্বশেষ একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন। প্রায় দেড় বছর তিনি জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রচুর রান করেছেন এই সময়।  এই মুহূর্তে নাঈম শেখ একেতো খুব একটা ফর্মে নেই, তার উপর অভিজ্ঞতাও মাত্র চার ম্যাচের। তাই নবাগত তানজিদ হাসান তামিম এবং স্বল্প অভিজ্ঞ নাঈম শেখ বাংলাদেশের ইনিংসের সূচনা করার চেয়ে একজন অভিজ্ঞ এনামুল হক বিজয় অনেক বেশি কার্যকর হতে পারেন। নাজমুল হোসেন শান্ত ৩ নম্বরে ব্যাট করবেন এবং এই মুহূর্তে তিনি রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে। চার নম্বরে দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ব্যাট করবেন। ৫ নম্বরে ব্যাট করবেন তৌহিদ হৃদয়, যিনি এই মুহূর্তে দারুণ ফর্মে রয়েছেন। তৌহিদ হৃদয়ের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো স্ট্রাইক রেট মাথায় রেখে তিনি ব্যাট করতে পারেন। এরপর রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তিনিও ভালো কর্মে রয়েছেন। সাত নম্বরে মেহেদী হাসান মিরাজের উপর ভরসা করা যায়। এক কথায় বলা যায় যে, ওপেনিং জুটিতে যদি একটা ভালো পার্টনারশিপ আসে, তাহলে বাংলাদেশের পক্ষে বড় স্কোর করা খুবই সম্ভব। বাংলাদেশের বোলিং লাইন আপ‌ও যথেষ্ট ভালো। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ দলে থাকায় ইবাদত হোসেনের অভাব বোধ করবে না বাংলাদেশ। তাছাড়া ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার তরুণ তামজিম হাসান সাকিব একাদশে সুযোগ পেলে ভালো করতে পারেন। কারণ সর্বশেষ ইমার্জিং এশিয়া কাপে তিনি ৩ ম্যাচে  ৯টি উইকেট পেয়েছিলেন। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং মেহেদী হাসান মিরাজের মত কোয়ালিটি স্পিনার দলে রয়েছে। বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিংও বিশ্বমানের। তাই ব্যাটিং ভালো হলে বাংলাদেশের পক্ষে ম্যাচ জেতা অবশ্যই সম্ভব।

অন্যদিকে ঘরের মাঠে শ্রীলংকা সবসময় শক্তিশালী দল। তাছাড়া এশিয়া কাপে তাদের অতীতের রেকর্ড খুবই ভালো। গত ১৫ টি আসরে তারা ছয় বার শিরোপা জিতেছে, যেখানে ভারত জিতেছে ৭ বার ও পাকিস্তান ২ বার। এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকা। গতবছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের ফাইনালে তারা পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জেতে। এবারের এশিয়া কাপে তারা হোস্ট নয়, কিন্তু তারপরও হোস্টের চেয়েও তারা বেশি। হোস্ট মূলত পাকিস্তান, কিন্তু ভারত পাকিস্তানে খেলতে যাবে না বলে যে হাইব্রিড ফর্মুলা আবিস্কার করা হয়েছে, তাতেই শ্রীলংকার সুযোগ হয়েছে কোহোস্ট হবার। কিন্তু পাকিস্তান যেখানে আয়োজন করবে চারটি ম্যাচের, সেখানে শ্রীলঙ্কা আয়োজন করবে ফাইনালসহ ৯টি ম্যাচের। শ্রীলংকা দল পূর্ণ শক্তি নিয়ে এবার এশিয়া কাপে অংশ নিতে পারছে না। ইনজুরির কারণে দলের বেশ কজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে ছাড়াই এশিয়া কাপ খেলতে হচ্ছে শ্রীলঙ্কাকে। প্রথমে বলতে হয় ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার কথা। দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন তিনি। এবারের লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে তিনি সর্বোচ্চ রান করেছিলেন, সবচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছিলেন এবং সবচেয়ে বেশি ছক্কাও হাকিয়েছিলেন। ইনজুরির কারণে তাকে দলের বাইরে রাখতে হয়েছে। এছাড়া শ্রীলঙ্কা দলের তিন গুরুত্বপূর্ণ পেস বোলার দুষ্মন্ত চামিরা, লাহিরু কুমারা এবং দিলশান মাদুশঙ্কা ইনজুরির কারণে দলে নেই। তাদের পরিবর্তে তিনজন অনভিজ্ঞ পেস বোলারদের দলভূক্ত করতে হয়েছে। বিনুরা ফার্নান্ডো এবং প্রমোদ মাদুসান দলে এসেছেন। বিনুরা ফার্নান্ডো এখনো পর্যন্ত চারটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে উইকেট নিয়েছেন ২টি এবং প্রমোদ মাদুসান এখনো পর্যন্ত একটি মাত্র একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে উইকেট পেয়েছেন একটি। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার পরিবর্তে শ্রীলংকা দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন দুশান হেমন্ত। দুশান হেমন্ত এ পর্যন্ত দুটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে উইকেট পেয়েছেন দুটি। তাছাড়া কুশল পেরেরা দুই বছর পরে দলে ফিরেছেন। সবশেষে একটি কথা বলা যায় যে, শ্রীলংকা দল যতই শক্তিশালী হোক না কেন, তাদের দুর্বল বোলিং এটাকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা ভালো করলে, বাংলাদেশের আজকের ম্যাচ না জেতার কোন কারণ নেই।

ট্যাগস :
আপডেট : ১১:১৬:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩
৮৯ বার পড়া হয়েছে

এশিয়া কাপে আজ বাংলাদেশের খেলা

আপডেট : ১১:১৬:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩

এশিয়া কাপে আজ বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার মুখোমুখি হবে। বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে তিনটেয় শুরু হবে ম্যাচটি।  বাংলাদেশ গত কয়েক বছর ধরে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখালেও ঘরের মাঠে সর্বশেষ সিরিজে আফগানিস্তানের কাছে ১-২ এ সিরিজ হেরে গেছে। তার আগে ইংল্যান্ডের কাছেও ঘরের মাঠে একই ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে। তাছাড়া কিছু ঘটনায় বাংলাদেশের শক্তিও কমেছে। ইনজুরির কারণে তামিম ইকবাল দলে নেই। ইবাদত হোসেনও ইনজুরির কারণে দল থেকে বাদ পড়েছেন। সর্বশেষ উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান লিটন দাসও জ্বরের কারণে দলের সাথে যেতে পারেননি। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ যে ওডিআই ম্যাচগুলো খেলেছে, তাতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেছেন লিটন কুমার দাস। এই সময়ে তিনি ২৫ টি ইনিংস খেলে ৪১.৮০ গড়ে ৮৭৮ রান করেছেন। এর মধ্যে একটি সেঞ্চুরি এবং সাতটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে। তাই লিটন কুমার দাসকে হারানো বাংলাদেশের জন্য নিঃসন্দেহে অনেক বড় আঘাত। লিটন কুমার দাসের পরিবর্তে এনামুল হক বিজয়কে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এনামুল হক বিজয় একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪০ টি ম্যাচ খেলে ৩০.৫৮ গড়ে ১২৫৪ রান করেছেন। এর মধ্যে তিনটি সেঞ্চুরি এবং পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে। লিটন দাসের পরিবর্তে এনামুল হক বিজয়ের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চয়ই একটি ভালো সিদ্ধান্ত। কারণ লিটন দাসের মত এনামুল হক বিজয়ও উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান। মুশফিকুর রহিম যদি কোন ম্যাচে কোন কারণে কিপিং করতে না পারেন, তাহলে এনামুল হক বিজয় উইকেট কিপিং এর কাজটা করতে পারবেন। নাঈম শেখ এবং নবাগত তানজিদ হাসান তামিম দুজনেই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। তাদের যে কারো সাথে যদি এনামুল হক বিজয় ইনিংস ওপেন করেন, তাহলে ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন এর সুবিধাটা পাবে বাংলাদেশ দল। এনামুল হক বিজয় ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে সর্বশেষ একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন। প্রায় দেড় বছর তিনি জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রচুর রান করেছেন এই সময়।  এই মুহূর্তে নাঈম শেখ একেতো খুব একটা ফর্মে নেই, তার উপর অভিজ্ঞতাও মাত্র চার ম্যাচের। তাই নবাগত তানজিদ হাসান তামিম এবং স্বল্প অভিজ্ঞ নাঈম শেখ বাংলাদেশের ইনিংসের সূচনা করার চেয়ে একজন অভিজ্ঞ এনামুল হক বিজয় অনেক বেশি কার্যকর হতে পারেন। নাজমুল হোসেন শান্ত ৩ নম্বরে ব্যাট করবেন এবং এই মুহূর্তে তিনি রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে। চার নম্বরে দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ব্যাট করবেন। ৫ নম্বরে ব্যাট করবেন তৌহিদ হৃদয়, যিনি এই মুহূর্তে দারুণ ফর্মে রয়েছেন। তৌহিদ হৃদয়ের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো স্ট্রাইক রেট মাথায় রেখে তিনি ব্যাট করতে পারেন। এরপর রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তিনিও ভালো কর্মে রয়েছেন। সাত নম্বরে মেহেদী হাসান মিরাজের উপর ভরসা করা যায়। এক কথায় বলা যায় যে, ওপেনিং জুটিতে যদি একটা ভালো পার্টনারশিপ আসে, তাহলে বাংলাদেশের পক্ষে বড় স্কোর করা খুবই সম্ভব। বাংলাদেশের বোলিং লাইন আপ‌ও যথেষ্ট ভালো। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ দলে থাকায় ইবাদত হোসেনের অভাব বোধ করবে না বাংলাদেশ। তাছাড়া ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার তরুণ তামজিম হাসান সাকিব একাদশে সুযোগ পেলে ভালো করতে পারেন। কারণ সর্বশেষ ইমার্জিং এশিয়া কাপে তিনি ৩ ম্যাচে  ৯টি উইকেট পেয়েছিলেন। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং মেহেদী হাসান মিরাজের মত কোয়ালিটি স্পিনার দলে রয়েছে। বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিংও বিশ্বমানের। তাই ব্যাটিং ভালো হলে বাংলাদেশের পক্ষে ম্যাচ জেতা অবশ্যই সম্ভব।

অন্যদিকে ঘরের মাঠে শ্রীলংকা সবসময় শক্তিশালী দল। তাছাড়া এশিয়া কাপে তাদের অতীতের রেকর্ড খুবই ভালো। গত ১৫ টি আসরে তারা ছয় বার শিরোপা জিতেছে, যেখানে ভারত জিতেছে ৭ বার ও পাকিস্তান ২ বার। এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকা। গতবছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের ফাইনালে তারা পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জেতে। এবারের এশিয়া কাপে তারা হোস্ট নয়, কিন্তু তারপরও হোস্টের চেয়েও তারা বেশি। হোস্ট মূলত পাকিস্তান, কিন্তু ভারত পাকিস্তানে খেলতে যাবে না বলে যে হাইব্রিড ফর্মুলা আবিস্কার করা হয়েছে, তাতেই শ্রীলংকার সুযোগ হয়েছে কোহোস্ট হবার। কিন্তু পাকিস্তান যেখানে আয়োজন করবে চারটি ম্যাচের, সেখানে শ্রীলঙ্কা আয়োজন করবে ফাইনালসহ ৯টি ম্যাচের। শ্রীলংকা দল পূর্ণ শক্তি নিয়ে এবার এশিয়া কাপে অংশ নিতে পারছে না। ইনজুরির কারণে দলের বেশ কজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে ছাড়াই এশিয়া কাপ খেলতে হচ্ছে শ্রীলঙ্কাকে। প্রথমে বলতে হয় ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার কথা। দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন তিনি। এবারের লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে তিনি সর্বোচ্চ রান করেছিলেন, সবচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছিলেন এবং সবচেয়ে বেশি ছক্কাও হাকিয়েছিলেন। ইনজুরির কারণে তাকে দলের বাইরে রাখতে হয়েছে। এছাড়া শ্রীলঙ্কা দলের তিন গুরুত্বপূর্ণ পেস বোলার দুষ্মন্ত চামিরা, লাহিরু কুমারা এবং দিলশান মাদুশঙ্কা ইনজুরির কারণে দলে নেই। তাদের পরিবর্তে তিনজন অনভিজ্ঞ পেস বোলারদের দলভূক্ত করতে হয়েছে। বিনুরা ফার্নান্ডো এবং প্রমোদ মাদুসান দলে এসেছেন। বিনুরা ফার্নান্ডো এখনো পর্যন্ত চারটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে উইকেট নিয়েছেন ২টি এবং প্রমোদ মাদুসান এখনো পর্যন্ত একটি মাত্র একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে উইকেট পেয়েছেন একটি। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার পরিবর্তে শ্রীলংকা দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন দুশান হেমন্ত। দুশান হেমন্ত এ পর্যন্ত দুটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে উইকেট পেয়েছেন দুটি। তাছাড়া কুশল পেরেরা দুই বছর পরে দলে ফিরেছেন। সবশেষে একটি কথা বলা যায় যে, শ্রীলংকা দল যতই শক্তিশালী হোক না কেন, তাদের দুর্বল বোলিং এটাকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা ভালো করলে, বাংলাদেশের আজকের ম্যাচ না জেতার কোন কারণ নেই।