০৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

কালাইয়ে গরুর লাম্পি স্কিন রোগে খামারি ও কৃষকরা দিশেহারা

মোঃ মোকাররম হোসাইন, কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

 

জয়পুরহাটের কালাইয়ে গরুর লাম্পি স্কিন বা (এলএসডি) নামের একটি ভাইরাস জনিত রোগ মহামারী আকারে ছরিয়ে পরেছে। উপজেলায় ব্যাপকভাবে ছরিয়ে পরা এর সংক্রমনে দিশেহারা হয়ে পরেছে খামারি ও কৃষক । এ রোগে প্রতিদিন উপজেলার কোথাও না কোথাও মারা যাচ্ছে গরু ও বাছুর। সর্বস্ব রোগটি গ্রামথেকে গ্রামে ছড়িয়ে পরায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ক্ষুদ্র খামারি এবং গ্রামের কৃষকরা। সু-চিকিৎসা না মেলায় ধুঁকে ধুঁকে মারা যাচ্ছে গরু। ফলে দিশেহারা হয়ে পরেছে তারা। জানা যায় যে , চলতি মাসেই কয়েক শ’ গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তাছাড়াও প্রতিদিন বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে বেশকিছু গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কৃষকদের অভিযোগ ল্যাম্পি স্কিন চিকিৎসায় গরু প্রতি ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা দিয়েও মিলছে না এ রোগের সু-চিকিৎসা।

খামারিরা বলছেন, এ রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে না পারলে ভয়ংকর অবস্থার দিকে যেতে পারে গবাদিপশু পালন। বে-সরকারী ভাবে আমদানিকৃত ভ্যাকসিনের দাম বেশি হওয়ায় কৃষক ও খামারীদের নিকট তা ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। তাছাড়া অনেকেই টাকার অভাবে সময়মত চিকিৎসা করাতে না পারাই তাদের গবাদি পশু মারা যাচ্ছে। সে কারণে সরকারী ভাবে গ্রামে গ্রামে এ রোগের ভ্যাকসিন সরবরাহসহ সু-চিকিৎসার দাবী জানিয়েছেন কৃষক ও খামারীরা।

এদিকে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, এ রোগের সরকারী ভ্যাকসিন থাকলেও আমাদের অফিসে জনবল কম সংকট থাকায় গ্রামে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই যারা আক্রান্ত পশু হাসপাতালে আনছেন তাদের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন । আর এজন্য উপজেলা ভেটোনারী সার্জনের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম সার্বক্ষনিক উপজেলার কৃষক ও খামারীদের প্রয়োজনী পরামর্শ ও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার একটি পৌরসভাসহ উদয়পুর, মত্রাই, আহম্মেদাবাদ, জিন্দারপুর এবং পুনুট এ ৫ টি ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রামে গরু ও বাছুরের ল্যাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি) রোগের প্রার্দূভাব ব্যপক হারে দেখা দিয়েছে। আক্রান্তে সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিনই এবং বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। তাছাড়াও কসাইরা এ রোগে আক্রান্ত গরু বেশি লাভের আশায় কম দামে কিনে জবাই করে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে আসছেন বলে সংবাদ পাওয়া গেছে।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, (এলএসডি) রোগটি ভাইরাস দ্বারা চামড়ায় সৃষ্টি হয়ে থাকে। এ রোগটি গবাদি পশুর জন্য প্রাণঘাতী রোগ। লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস দ্বারা হয় যা কেপরিপক্স ভাইরাস জেনাসের অন্তর্ভুক্ত। এ ভাইরাস রোগকে মূলত তিন ধরনের বলা হয়ে থাকে। যথা- ছাগলে সংক্রমিত হলে গোট প্রক্স, ভেরায় হলে শীপ পক্স এবং গরুতে সংক্রমিত হলে লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) বলা হয়। এলএসডি ভাইরাসের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। মশামাছির মাধ্যমে, আক্রান্ত গরুর লালা খাবারে মিশে এবং গরুর পরিচর্যাকারী ব্যক্তির কাপড়ের মাধ্যমেও ভাইরাসটি ছড়াই। ভাইরাসটির ছড়ানোর হার শতকরা ৫০% এবং আক্রান্ত গরুর মৃত্যুর হার ২% থেকে ৫% পর্যন্ত । কালাই উপজেলায় আমাদের টিম সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছেন। হাট-বাজার গুলিতে সার্টিফিকেট ছাড়া গরু জবহ করার সুযোগ নেই। এমনকি আমরা অন্য জেলা বা উপজেলা থেকে গোশত এনে বিক্রি করতেও নিশেধ করেছি। তারপরও আক্রান্ত গরু জবহের সংবাদ পেলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানা যায়।

উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের জামুড়া গ্রামের শহিদুল বলেন, আমার ৩ টি গরু আক্রান্ত হয়েছে। প্রথমে এ রোগে আক্রান্ত গরুর সারা শরীরে দেখা দেয় গুটি যা পরে ফেটে ক্ষতের সৃষ্টি হয় । তারপর হাটু, গোড়ালি ও গলা ফুলে যাচ্ছে। এতে করে মারাও যাচ্ছে গরু। বিশেষ করে দুগ্ধজাত বাছুর গুলির ক্ষতি বেশি হচ্ছে।

 

শুকটি গ্রামের খলিল বলেন, এ রোগে আমার ১ টা মারা গেছে। গরুর এ রোগে দিশেহারা হয়ে পরেছি। টাকা দিয়েও মিলছে না এ রোগের সঠিক চিকিৎসা। গ্রামের পল্লী পশু চিকিৎসকদের চিকিৎসা নিয়ে গরুর চিকিৎসা করছি । শুধু টাকায় ব্যয় হচ্ছে কোন কাজে আসছে না।

উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের হাতিয়র গ্রামের কাজী মোফাজ্জল হোসেন জানায়, তার ৮০/৯০ হাজার টাকা মূল্যের একটি উন্নত জাতের গরু এবং বাছুরের চামড়ায় প্রথমে গুটি গুটি বের হয়ে ফোসকা পড়ে। এবস্থায় স্থানীয় পল্লী পশু চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা নিয়েছি। এখন সুস্থ আছে।

উপজেলার জামুড়া গ্রামের লতিফ বলেন, তাঁর ৭ টি গরুর মধ্যে একটি গরু লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। গায়ে গুটি দেখা দিলে অন্য গরুদের আলাদা করে রেখেছি। অনেক টাকা খরচ করে চিকিৎসা করেও ভালো হয়নি। ডাক্তারদের জিজ্ঞেস করলে বলে, এই রোগের যে চিকিৎসা যেটা আছে সেটা প্রয়োগ করা হয়েছে। এখন আতঙ্কে আছি, অন্য গরু মারা গেলে আমি আর্থিক ভাবে শেষ হয়ে যাবো।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ হাসান আলী বলেন, উপজেলায় ল্যাম্পি স্কিন ভাইরাসে আক্রান্ত গরুর কৃষক ও খামারীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে উপজেলায় আমরা টিকা প্রদান (গোট পক্স),

সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরণ, উঠান বৈঠক আয়োজন, প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে সকলকে সচেতন করছি তাছাড়াও আমাদের অফিসে আজ পর্যন্ত প্রায় ৫০ টি অসুস্থ গরুকে কে সেবা দেয়া হয়েছে যেগুলো ধীরে ধীরে সুস্থ হওয়ার দিকে। আমরা আক্রান্ত পশুদের গোট পক্স প্রতিষেধক ভ্যাকসিনের মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। তিনি কৃষক ও খামারীদের আতংকিত না হয়ে গোয়াল ঘরে নেপথিনের ব্যবহার ও আক্রান্ত গরুকে সুস্থ গরু থেকে আলাদা করে এবং মশারির মধ্যে রাখার পরামর্শ দেন।

ট্যাগস :
আপডেট : ০২:৫৩:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩
১৩৩ বার পড়া হয়েছে

কালাইয়ে গরুর লাম্পি স্কিন রোগে খামারি ও কৃষকরা দিশেহারা

আপডেট : ০২:৫৩:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩

 

জয়পুরহাটের কালাইয়ে গরুর লাম্পি স্কিন বা (এলএসডি) নামের একটি ভাইরাস জনিত রোগ মহামারী আকারে ছরিয়ে পরেছে। উপজেলায় ব্যাপকভাবে ছরিয়ে পরা এর সংক্রমনে দিশেহারা হয়ে পরেছে খামারি ও কৃষক । এ রোগে প্রতিদিন উপজেলার কোথাও না কোথাও মারা যাচ্ছে গরু ও বাছুর। সর্বস্ব রোগটি গ্রামথেকে গ্রামে ছড়িয়ে পরায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ক্ষুদ্র খামারি এবং গ্রামের কৃষকরা। সু-চিকিৎসা না মেলায় ধুঁকে ধুঁকে মারা যাচ্ছে গরু। ফলে দিশেহারা হয়ে পরেছে তারা। জানা যায় যে , চলতি মাসেই কয়েক শ’ গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তাছাড়াও প্রতিদিন বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে বেশকিছু গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কৃষকদের অভিযোগ ল্যাম্পি স্কিন চিকিৎসায় গরু প্রতি ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা দিয়েও মিলছে না এ রোগের সু-চিকিৎসা।

খামারিরা বলছেন, এ রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে না পারলে ভয়ংকর অবস্থার দিকে যেতে পারে গবাদিপশু পালন। বে-সরকারী ভাবে আমদানিকৃত ভ্যাকসিনের দাম বেশি হওয়ায় কৃষক ও খামারীদের নিকট তা ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। তাছাড়া অনেকেই টাকার অভাবে সময়মত চিকিৎসা করাতে না পারাই তাদের গবাদি পশু মারা যাচ্ছে। সে কারণে সরকারী ভাবে গ্রামে গ্রামে এ রোগের ভ্যাকসিন সরবরাহসহ সু-চিকিৎসার দাবী জানিয়েছেন কৃষক ও খামারীরা।

এদিকে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, এ রোগের সরকারী ভ্যাকসিন থাকলেও আমাদের অফিসে জনবল কম সংকট থাকায় গ্রামে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই যারা আক্রান্ত পশু হাসপাতালে আনছেন তাদের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন । আর এজন্য উপজেলা ভেটোনারী সার্জনের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম সার্বক্ষনিক উপজেলার কৃষক ও খামারীদের প্রয়োজনী পরামর্শ ও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার একটি পৌরসভাসহ উদয়পুর, মত্রাই, আহম্মেদাবাদ, জিন্দারপুর এবং পুনুট এ ৫ টি ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রামে গরু ও বাছুরের ল্যাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি) রোগের প্রার্দূভাব ব্যপক হারে দেখা দিয়েছে। আক্রান্তে সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিনই এবং বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। তাছাড়াও কসাইরা এ রোগে আক্রান্ত গরু বেশি লাভের আশায় কম দামে কিনে জবাই করে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে আসছেন বলে সংবাদ পাওয়া গেছে।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, (এলএসডি) রোগটি ভাইরাস দ্বারা চামড়ায় সৃষ্টি হয়ে থাকে। এ রোগটি গবাদি পশুর জন্য প্রাণঘাতী রোগ। লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস দ্বারা হয় যা কেপরিপক্স ভাইরাস জেনাসের অন্তর্ভুক্ত। এ ভাইরাস রোগকে মূলত তিন ধরনের বলা হয়ে থাকে। যথা- ছাগলে সংক্রমিত হলে গোট প্রক্স, ভেরায় হলে শীপ পক্স এবং গরুতে সংক্রমিত হলে লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) বলা হয়। এলএসডি ভাইরাসের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। মশামাছির মাধ্যমে, আক্রান্ত গরুর লালা খাবারে মিশে এবং গরুর পরিচর্যাকারী ব্যক্তির কাপড়ের মাধ্যমেও ভাইরাসটি ছড়াই। ভাইরাসটির ছড়ানোর হার শতকরা ৫০% এবং আক্রান্ত গরুর মৃত্যুর হার ২% থেকে ৫% পর্যন্ত । কালাই উপজেলায় আমাদের টিম সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছেন। হাট-বাজার গুলিতে সার্টিফিকেট ছাড়া গরু জবহ করার সুযোগ নেই। এমনকি আমরা অন্য জেলা বা উপজেলা থেকে গোশত এনে বিক্রি করতেও নিশেধ করেছি। তারপরও আক্রান্ত গরু জবহের সংবাদ পেলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানা যায়।

উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের জামুড়া গ্রামের শহিদুল বলেন, আমার ৩ টি গরু আক্রান্ত হয়েছে। প্রথমে এ রোগে আক্রান্ত গরুর সারা শরীরে দেখা দেয় গুটি যা পরে ফেটে ক্ষতের সৃষ্টি হয় । তারপর হাটু, গোড়ালি ও গলা ফুলে যাচ্ছে। এতে করে মারাও যাচ্ছে গরু। বিশেষ করে দুগ্ধজাত বাছুর গুলির ক্ষতি বেশি হচ্ছে।

 

শুকটি গ্রামের খলিল বলেন, এ রোগে আমার ১ টা মারা গেছে। গরুর এ রোগে দিশেহারা হয়ে পরেছি। টাকা দিয়েও মিলছে না এ রোগের সঠিক চিকিৎসা। গ্রামের পল্লী পশু চিকিৎসকদের চিকিৎসা নিয়ে গরুর চিকিৎসা করছি । শুধু টাকায় ব্যয় হচ্ছে কোন কাজে আসছে না।

উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের হাতিয়র গ্রামের কাজী মোফাজ্জল হোসেন জানায়, তার ৮০/৯০ হাজার টাকা মূল্যের একটি উন্নত জাতের গরু এবং বাছুরের চামড়ায় প্রথমে গুটি গুটি বের হয়ে ফোসকা পড়ে। এবস্থায় স্থানীয় পল্লী পশু চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা নিয়েছি। এখন সুস্থ আছে।

উপজেলার জামুড়া গ্রামের লতিফ বলেন, তাঁর ৭ টি গরুর মধ্যে একটি গরু লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। গায়ে গুটি দেখা দিলে অন্য গরুদের আলাদা করে রেখেছি। অনেক টাকা খরচ করে চিকিৎসা করেও ভালো হয়নি। ডাক্তারদের জিজ্ঞেস করলে বলে, এই রোগের যে চিকিৎসা যেটা আছে সেটা প্রয়োগ করা হয়েছে। এখন আতঙ্কে আছি, অন্য গরু মারা গেলে আমি আর্থিক ভাবে শেষ হয়ে যাবো।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ হাসান আলী বলেন, উপজেলায় ল্যাম্পি স্কিন ভাইরাসে আক্রান্ত গরুর কৃষক ও খামারীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে উপজেলায় আমরা টিকা প্রদান (গোট পক্স),

সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরণ, উঠান বৈঠক আয়োজন, প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে সকলকে সচেতন করছি তাছাড়াও আমাদের অফিসে আজ পর্যন্ত প্রায় ৫০ টি অসুস্থ গরুকে কে সেবা দেয়া হয়েছে যেগুলো ধীরে ধীরে সুস্থ হওয়ার দিকে। আমরা আক্রান্ত পশুদের গোট পক্স প্রতিষেধক ভ্যাকসিনের মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। তিনি কৃষক ও খামারীদের আতংকিত না হয়ে গোয়াল ঘরে নেপথিনের ব্যবহার ও আক্রান্ত গরুকে সুস্থ গরু থেকে আলাদা করে এবং মশারির মধ্যে রাখার পরামর্শ দেন।