১১:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

ঘুষের টাকা না দেওয়ায় স্কুল শিক্ষকের পেনশন বন্ধ।ভিক্ষা করে সংসার চালাচ্ছেন স্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা শাহীনুর কবিরকে ঘুষ না দেওয়ার কারনে স্কুল শিক্ষকের পেনশনের টাকা উত্তোলন করতে না পেরে ভিক্ষা করে জীবন যাপনের পথ বেঁচে নিয়েছেন শিক্ষকের স্ত্রী।
সোনারগাঁওয়ের প্রাথমিক শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদ খাঁন ১৯৯২ সালে অবসর গ্রহন করেন। পেনশন পাওয়া অবস্থায় তিনি ১৯৯৩ সালে মারা যান। এরপর থেকে তার স্ত্রী মায়া বেগম স্বামীর পেনশন ভাতা উত্তোলন করে আসছিলেন। ২০১৫ সাল থেকে নানা অজুহাতে তাকে মৃত ঘোষণা করে উপজেলা শিক্ষা অফিস। ফলে গত ৬ বছর ধরে তিনি স্বামীর পেনশনের টাকা তুলতে পারছেন না। সন্তানহীন এই বৃদ্ধা এখন দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রাথমিক শিক্ষক মৃত দ্বীন মোহাম্মদ খাঁনের স্ত্রী মায়া বেগম নামে ওই গৃহবধূ দীর্ঘদিন যাবত সোনারগাঁও উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ঘুরে কোন সুরাহা না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ এলাহী নিকট দ্বারস্থ হন। তিনি জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা ভুক্তভোগী মায়া বেগম গতকাল আমার কাছে এসেছিল, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
মায়া বেগম জানান, জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করে সোনারগাঁও হিসাবরক্ষন কার্যালয়ে গেলেও তাকে সেবা না দিয়ে মৃত দেখিয়ে বের করে দেওয়া হয়। একজন সরকারি কর্মকর্তার গাফিলতির কারনে এই বয়সে আমি একজন স্কুল শিক্ষকের স্ত্রীর হয়ে দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করছি। অর্ধাহারে অনাহারে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছি।
উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শাহীনুর কবিরকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, এই মহিলার কেউ নেই। তাই তার স্বামীর পেনশনের টাকা দেয়ার বিষয়টি নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়নি।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৬:৩৪:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
১৭৬ বার পড়া হয়েছে

ঘুষের টাকা না দেওয়ায় স্কুল শিক্ষকের পেনশন বন্ধ।ভিক্ষা করে সংসার চালাচ্ছেন স্ত্রী

আপডেট : ০৬:৩৪:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা শাহীনুর কবিরকে ঘুষ না দেওয়ার কারনে স্কুল শিক্ষকের পেনশনের টাকা উত্তোলন করতে না পেরে ভিক্ষা করে জীবন যাপনের পথ বেঁচে নিয়েছেন শিক্ষকের স্ত্রী।
সোনারগাঁওয়ের প্রাথমিক শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদ খাঁন ১৯৯২ সালে অবসর গ্রহন করেন। পেনশন পাওয়া অবস্থায় তিনি ১৯৯৩ সালে মারা যান। এরপর থেকে তার স্ত্রী মায়া বেগম স্বামীর পেনশন ভাতা উত্তোলন করে আসছিলেন। ২০১৫ সাল থেকে নানা অজুহাতে তাকে মৃত ঘোষণা করে উপজেলা শিক্ষা অফিস। ফলে গত ৬ বছর ধরে তিনি স্বামীর পেনশনের টাকা তুলতে পারছেন না। সন্তানহীন এই বৃদ্ধা এখন দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রাথমিক শিক্ষক মৃত দ্বীন মোহাম্মদ খাঁনের স্ত্রী মায়া বেগম নামে ওই গৃহবধূ দীর্ঘদিন যাবত সোনারগাঁও উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ঘুরে কোন সুরাহা না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ এলাহী নিকট দ্বারস্থ হন। তিনি জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা ভুক্তভোগী মায়া বেগম গতকাল আমার কাছে এসেছিল, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
মায়া বেগম জানান, জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করে সোনারগাঁও হিসাবরক্ষন কার্যালয়ে গেলেও তাকে সেবা না দিয়ে মৃত দেখিয়ে বের করে দেওয়া হয়। একজন সরকারি কর্মকর্তার গাফিলতির কারনে এই বয়সে আমি একজন স্কুল শিক্ষকের স্ত্রীর হয়ে দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করছি। অর্ধাহারে অনাহারে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছি।
উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শাহীনুর কবিরকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, এই মহিলার কেউ নেই। তাই তার স্বামীর পেনশনের টাকা দেয়ার বিষয়টি নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়নি।