০২:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানায় দুদকের সাবেক কর্মকর্তার মৃত্যু

রিপন চৌধুরী, বিশেষ প্রতিনিধি

 

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানায় পুলিশ হেফাজতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক উপ-পরিচালক ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ দুদকের উপ-পরিচালক ছিলেন। তিনি চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকায় থাকতেন।
নিহত শহীদুল্লাহর ছেলে ক্যাপ্টেন নাফিস শহিদ জানান, আমাদের জমি নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধ ছিল। তবে মামলার বিষয়টি আমরা জানতাম না। বাবাও আমাদের জানাননি। মঙ্গলবার রাতে কয়েকজন পুলিশ গিয়ে বাবাকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। থানায় পৌঁছানোর পর পুলিশ ফটক বন্ধ করে দেয়। বাবার ওষুধ নেওয়া হলে পুলিশ সেগুলো বাবাকে দেয়নি। পরে রাতে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাবার মৃত্যু হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আদালতের পরোয়ানার ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে খারাপ লাগছে জানালে তাকে আমার রুমে এনে বসাই। সেখান থেকে তার ভাইকে ডেকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা অ্যাম্বুলেন্স কল করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু উনার পরিবারের লোকেরা সিএনজি করে দ্রুত নিয়ে যেতে চাইলেন। উনারা অবশ্য মুখে ইনহেলারও দিয়েছিলেন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৬:৩০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩
১২৪ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানায় দুদকের সাবেক কর্মকর্তার মৃত্যু

আপডেট : ০৬:৩০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩

 

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানায় পুলিশ হেফাজতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক উপ-পরিচালক ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ দুদকের উপ-পরিচালক ছিলেন। তিনি চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকায় থাকতেন।
নিহত শহীদুল্লাহর ছেলে ক্যাপ্টেন নাফিস শহিদ জানান, আমাদের জমি নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধ ছিল। তবে মামলার বিষয়টি আমরা জানতাম না। বাবাও আমাদের জানাননি। মঙ্গলবার রাতে কয়েকজন পুলিশ গিয়ে বাবাকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। থানায় পৌঁছানোর পর পুলিশ ফটক বন্ধ করে দেয়। বাবার ওষুধ নেওয়া হলে পুলিশ সেগুলো বাবাকে দেয়নি। পরে রাতে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাবার মৃত্যু হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আদালতের পরোয়ানার ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে খারাপ লাগছে জানালে তাকে আমার রুমে এনে বসাই। সেখান থেকে তার ভাইকে ডেকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা অ্যাম্বুলেন্স কল করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু উনার পরিবারের লোকেরা সিএনজি করে দ্রুত নিয়ে যেতে চাইলেন। উনারা অবশ্য মুখে ইনহেলারও দিয়েছিলেন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।