০২:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি :

জঙ্গিরা এখনো সক্রিয়, তাদের অপতৎপরতা থেমে নেই। সুযোগ পেলেই তারা আঘাত করতে পারে। এ জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
ঝালকাঠিতে জঙ্গি হামলায় নিহত জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ জগন্নাথ পাঁড়ে ও সোহেল আহম্মেদের ১৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জজ আদালত ভবনের মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে জেলা বিচার বিভাগ।
সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহা. আদীব আলী এর সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ রবিউল ইসলাম, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কুমার শিপন মোদক, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নির্মলেন্দু দাস, অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু তালেব, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এ্যাড. এনামুল হক, জিপি মো. রজবুল হক, জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ভবসুন্দর পাল, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আফজাল মাহমুদ খাঁন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে সরকারি বাসা থেকে কর্মস্থলে যাবার পথে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসে বোমা হামলা চালায় জেএমবি। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ শহীদ সোহেল আহম্মেদ এবং বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ জগন্নাথ পাঁড়ের। এ সময় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি বিধ্বস্ত হয়। আহত অবস্থায় ধরা পড়ে হামলাকারী জেএমবি সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্য ইফতেখার হাসান আল মামুন।

এরপর জেএমবির শীর্ষ নেতারা আটক হয়। ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহমেদ ২০০৬ সালের ২৯ মে সাতজনকে ফাঁসির আদেশ দেন। উচ্চ আদালতে সে রায় বহালের পর দেশের বিভিন্ন জেলখানায় ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ৬ শীর্ষ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এরা হলেন- জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলাভাই, সামরিক শাখাপ্রধান আতাউর রহমান সানি, উত্তরাঞ্চলীয় সমন্বয়কারী আবদুল আউয়াল, দক্ষিণাঞ্চলীয় সমন্বয়কারী খালেদ সাইফুল্লা ও বোমা হামলাকারী ইফতেখার হাসান আল মামুন। ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর আরেক জঙ্গি আসাদুল ইসলাম আরিফের ফাঁসি কার্যকর করা হয় খুলনা কারাগারে।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৭:৩৭:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
১৪৭ বার পড়া হয়েছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট : ০৭:৩৭:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

জঙ্গিরা এখনো সক্রিয়, তাদের অপতৎপরতা থেমে নেই। সুযোগ পেলেই তারা আঘাত করতে পারে। এ জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
ঝালকাঠিতে জঙ্গি হামলায় নিহত জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ জগন্নাথ পাঁড়ে ও সোহেল আহম্মেদের ১৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জজ আদালত ভবনের মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে জেলা বিচার বিভাগ।
সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহা. আদীব আলী এর সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ রবিউল ইসলাম, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কুমার শিপন মোদক, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নির্মলেন্দু দাস, অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু তালেব, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এ্যাড. এনামুল হক, জিপি মো. রজবুল হক, জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ভবসুন্দর পাল, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আফজাল মাহমুদ খাঁন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে সরকারি বাসা থেকে কর্মস্থলে যাবার পথে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসে বোমা হামলা চালায় জেএমবি। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ শহীদ সোহেল আহম্মেদ এবং বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ জগন্নাথ পাঁড়ের। এ সময় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি বিধ্বস্ত হয়। আহত অবস্থায় ধরা পড়ে হামলাকারী জেএমবি সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্য ইফতেখার হাসান আল মামুন।

এরপর জেএমবির শীর্ষ নেতারা আটক হয়। ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহমেদ ২০০৬ সালের ২৯ মে সাতজনকে ফাঁসির আদেশ দেন। উচ্চ আদালতে সে রায় বহালের পর দেশের বিভিন্ন জেলখানায় ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ৬ শীর্ষ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এরা হলেন- জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলাভাই, সামরিক শাখাপ্রধান আতাউর রহমান সানি, উত্তরাঞ্চলীয় সমন্বয়কারী আবদুল আউয়াল, দক্ষিণাঞ্চলীয় সমন্বয়কারী খালেদ সাইফুল্লা ও বোমা হামলাকারী ইফতেখার হাসান আল মামুন। ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর আরেক জঙ্গি আসাদুল ইসলাম আরিফের ফাঁসি কার্যকর করা হয় খুলনা কারাগারে।