০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

চুনোপুঁটিতেই স্বস্তি : হদিস নেই মাদক সম্রাটদের

প্রতিনিধির নাম

প্রতীকী ছবি

দিন যায় দিন আসে, স্মৃতির পাতায় কথা ভাসে। তবুও কেউ কথা রাখেনি, কেউ কথা রাখেনা। এমনই হাজারো অজানা হতাশায় দিনাতিপাত করছেন মাদকমুক্ত ঈশ্বরদী গড়ার স্বপ্নে বিভোর সচেতন ঈশ্বরদী বাসী।
সারাদেশের ন্যায় ঈশ্বরদী থানার পুলিশের চৌকস দল প্রায় প্রতিদিনই মাদকের কোন না কোন চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করছে। কিন্তু আইনের প্রক্রিয়ায় রাত গড়িয়ে সকাল হলেই গ্রেফতার কৃতদের মুক্তি মিলছে অনায়াসে। মুক্তির পর ছোট্র কদিনের বিরতিরপর চিরচেনা সেই মাদকের কারবারে আবারো সক্রিয় হয়ে উঠছে সদস্যরা।
পাবনা জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ঈশ্বরদী। ভৌগলিক আর স্থাপনার দিক দিকে গ্রহণযোগ্যতায় ঈশ্বরদী অনেক এগিয়ে থাকলেও মাদকের স্বর্গরাজ্য হিসেবে ইতোমধ্যে পরিচিতি পেয়েছে মডেল এ উপজেলা। পূর্বে এ উপজেলার কয়েকটি স্থান মাদকের জন্য পরিচিত থাকলেও বর্তমানে তা ছড়িয়েছে সর্বত্র। মাদক কারবারীদের দাপনে কোনঠাসা প্রতিবাদিরা।
তাদের এহেন দাপটের জেরে ভুক্ত ভোগীরা মনে করেন, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশ আছে মাদক সম্রাটদের সাথে। ফলস্রুতিতে চুনোপুঁটিরা ধরা পড়লেও সন্ধান মেলেনা মাদকের গড ফাদারদের। আড়ালে থেকেই গডফাদাররা নিয়ন্ত্রন করছে সবাইকে। যারফলে মাদক নির্মূলের প্রতিশ্রæতি অধরাই থেকে যাচ্ছে।
দিনে দিনে ধবংসের দ্বারপ্রান্তে শিশু, যুবক এমনকি বৃদ্ধারাও। সামাজিক অবক্ষয় গুলো তাই রুপ নিচ্ছে মহামারীতে।
রাজাপুর ডিগ্রী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক, মোঃ রাশেদুল আউয়াল রিজভী বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে ঈশ্বরদী একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। এখানে যতবারই নতুন প্রশাসন বা নতুন নেতার আবির্ভাব হয়েছে তারা সবাই ঈশ্বরদীকে মাদকমুক্ত করার প্রতিশ্রæতি দিলেও কেউ কথা রাখেনা, কেউ কথা রাখেনি। বরং মাদক সম্রাটরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আর্শিবাদ পুষ্ঠ হয়ে তাদের কারবার চালনা করে চলেছেন দাম্ভিকতার সহীত। যার ফলে দু-এক জন চুনো পুঠিকে প্রশাসন পাকরাও করলেও ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে মাদকের সম্রাটরা।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঈশ্বরদীর ন্যায় সারা দেশের মাদক সম্রাটদের চিন্হিত করে তাদের শিকড় উপরে ফেলুন। তাদের পরিচয় না লুকিয়ে তাদেরকে জন সম্মুখে আনতে হবে। সমাজের সর্বস্তরের মাদক কারবারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
কেবল চুনোপুঁটিদের নিয়ে ব্যাস্ত থাকলে হবে না, মাদক নির্মূলে মাদক সম্রাটদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যাবস্থা করতে হবে ।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৪:১৪:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২
৩০৭ বার পড়া হয়েছে

চুনোপুঁটিতেই স্বস্তি : হদিস নেই মাদক সম্রাটদের

আপডেট : ০৪:১৪:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২

দিন যায় দিন আসে, স্মৃতির পাতায় কথা ভাসে। তবুও কেউ কথা রাখেনি, কেউ কথা রাখেনা। এমনই হাজারো অজানা হতাশায় দিনাতিপাত করছেন মাদকমুক্ত ঈশ্বরদী গড়ার স্বপ্নে বিভোর সচেতন ঈশ্বরদী বাসী।
সারাদেশের ন্যায় ঈশ্বরদী থানার পুলিশের চৌকস দল প্রায় প্রতিদিনই মাদকের কোন না কোন চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করছে। কিন্তু আইনের প্রক্রিয়ায় রাত গড়িয়ে সকাল হলেই গ্রেফতার কৃতদের মুক্তি মিলছে অনায়াসে। মুক্তির পর ছোট্র কদিনের বিরতিরপর চিরচেনা সেই মাদকের কারবারে আবারো সক্রিয় হয়ে উঠছে সদস্যরা।
পাবনা জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ঈশ্বরদী। ভৌগলিক আর স্থাপনার দিক দিকে গ্রহণযোগ্যতায় ঈশ্বরদী অনেক এগিয়ে থাকলেও মাদকের স্বর্গরাজ্য হিসেবে ইতোমধ্যে পরিচিতি পেয়েছে মডেল এ উপজেলা। পূর্বে এ উপজেলার কয়েকটি স্থান মাদকের জন্য পরিচিত থাকলেও বর্তমানে তা ছড়িয়েছে সর্বত্র। মাদক কারবারীদের দাপনে কোনঠাসা প্রতিবাদিরা।
তাদের এহেন দাপটের জেরে ভুক্ত ভোগীরা মনে করেন, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশ আছে মাদক সম্রাটদের সাথে। ফলস্রুতিতে চুনোপুঁটিরা ধরা পড়লেও সন্ধান মেলেনা মাদকের গড ফাদারদের। আড়ালে থেকেই গডফাদাররা নিয়ন্ত্রন করছে সবাইকে। যারফলে মাদক নির্মূলের প্রতিশ্রæতি অধরাই থেকে যাচ্ছে।
দিনে দিনে ধবংসের দ্বারপ্রান্তে শিশু, যুবক এমনকি বৃদ্ধারাও। সামাজিক অবক্ষয় গুলো তাই রুপ নিচ্ছে মহামারীতে।
রাজাপুর ডিগ্রী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক, মোঃ রাশেদুল আউয়াল রিজভী বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে ঈশ্বরদী একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। এখানে যতবারই নতুন প্রশাসন বা নতুন নেতার আবির্ভাব হয়েছে তারা সবাই ঈশ্বরদীকে মাদকমুক্ত করার প্রতিশ্রæতি দিলেও কেউ কথা রাখেনা, কেউ কথা রাখেনি। বরং মাদক সম্রাটরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আর্শিবাদ পুষ্ঠ হয়ে তাদের কারবার চালনা করে চলেছেন দাম্ভিকতার সহীত। যার ফলে দু-এক জন চুনো পুঠিকে প্রশাসন পাকরাও করলেও ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে মাদকের সম্রাটরা।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঈশ্বরদীর ন্যায় সারা দেশের মাদক সম্রাটদের চিন্হিত করে তাদের শিকড় উপরে ফেলুন। তাদের পরিচয় না লুকিয়ে তাদেরকে জন সম্মুখে আনতে হবে। সমাজের সর্বস্তরের মাদক কারবারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
কেবল চুনোপুঁটিদের নিয়ে ব্যাস্ত থাকলে হবে না, মাদক নির্মূলে মাদক সম্রাটদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যাবস্থা করতে হবে ।