০৮:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

নারীকে শ্লীলতাহানি ও মারধরের মামলায় স্বর্ণকার মুকুল সহ গ্রেপ্তার ৩

চাঁপাইনবাবগঞ্জ- প্রতিনিধিঃ মনোয়ার হোসেন রুবেল 
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক নারীকে শ্লীলতাহানি ও মারধরের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (০১ আগষ্ট) রাতে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে সদর মডেল থানা পুলিশ। পরে বুধবার (০২ আগষ্ট) সকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,ঝিলিম ইউনিয়নের আমনুরা রেলবাজার,ও ঝিলিম বাজার এলাকার হান্নান আলীর ছেলে মো.মুকুল স্বর্ণকার (৩৫),জেলা শহরের উদয় সংঘ মোড় এলাকার শ্রী পরশ কুমারের ছেলে শ্রী অপু কুমার (৩০),শিবতলা এলাকার শ্রী সুশান্ত নিয়োগীর ছেলে শ্রী গোপাল (২৩),রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী এলাকার শ্রী ধরেন সরকারের শ্রী গৌতম কুমার (৩০)।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়,গত ১৭ জুলাই মামলার প্রধান আসামী মুকুল স্বর্নকারের দোকানে যান রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার খয়রা গ্রামের একরামুল হকের মেয়ে জেসমিন খাতুন (২৫)। ছয় আনা ওজনের স্বর্ণের কানের ঝাপটা বানানোর জন্য ৩২ হাজার পরিশোধ করেন ০১ জুলাই। এদিন ছয় আনার স্বর্নালংকার নেয়ার পর অন্য দোকানে পরীক্ষা করতে গেলে আধা আনা কম পান জেসমিন খাতুন। বিষয়টি জানানোর পর ক্ষিপ্ত হন স্বর্নের দোকানের মালিক প্রতারক মুকুল।
এসময় জেসমিন ছয় আনা পুরন করে চাইলে মুকুল অশ্লীল ভাষায় কথাবার্তা বলিতে থাকে। এর প্রতিবাদ করলে শারীরিকভাবে নানরকম শ্লীলতাহানি করেন মুকুল ম্যানেজার ও তার লোকজন। এসময় বেধড়ক মারধর করা হয় তরুনী জেসমিন খাতুনকে। এমনকি তার গায়ে থাকা স্বর্ণের দেড় ভরি ওজনের কন্ঠহার,স্বর্নের ৮ আনা ওজনের হাতের বালা,স্বর্নের ৬ আনা ওজনের কানের ঝাপটা ও ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা জেসমিনকে উদ্বার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা নেন।
এ ঘটনায় থানায় এজাহার করেন ভুক্তভোগী জেসমিন খাতুন। এজাহারে ৬ জনকে আসামী করা হয়। এর ভিতরে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন সদর মডেল থানা পুলিশ। এদিকে,থানা চত্বরে গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের কারাগারে নেয়ার সময় ছবি নিতে গেলে আসামী পক্ষের আমনুরার সাদ্দাম ও তার লোকজন নিয়ে নানারকম ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেন সাংবাদিকদের। এমনকি এনিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে সাংবাদিক ঘেরাও করে গ্রেপ্তারকৃতদের লোকজন সাদ্দাম,মুকুল’র বড় ভাই ও তাদের দলবল।
এবিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এজাহার দায়েরের পর আসামীদেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামীদেরকেও গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে আমাদের।
ট্যাগস :
আপডেট : ০১:৩৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩
১৩৬ বার পড়া হয়েছে

নারীকে শ্লীলতাহানি ও মারধরের মামলায় স্বর্ণকার মুকুল সহ গ্রেপ্তার ৩

আপডেট : ০১:৩৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক নারীকে শ্লীলতাহানি ও মারধরের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (০১ আগষ্ট) রাতে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে সদর মডেল থানা পুলিশ। পরে বুধবার (০২ আগষ্ট) সকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,ঝিলিম ইউনিয়নের আমনুরা রেলবাজার,ও ঝিলিম বাজার এলাকার হান্নান আলীর ছেলে মো.মুকুল স্বর্ণকার (৩৫),জেলা শহরের উদয় সংঘ মোড় এলাকার শ্রী পরশ কুমারের ছেলে শ্রী অপু কুমার (৩০),শিবতলা এলাকার শ্রী সুশান্ত নিয়োগীর ছেলে শ্রী গোপাল (২৩),রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী এলাকার শ্রী ধরেন সরকারের শ্রী গৌতম কুমার (৩০)।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়,গত ১৭ জুলাই মামলার প্রধান আসামী মুকুল স্বর্নকারের দোকানে যান রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার খয়রা গ্রামের একরামুল হকের মেয়ে জেসমিন খাতুন (২৫)। ছয় আনা ওজনের স্বর্ণের কানের ঝাপটা বানানোর জন্য ৩২ হাজার পরিশোধ করেন ০১ জুলাই। এদিন ছয় আনার স্বর্নালংকার নেয়ার পর অন্য দোকানে পরীক্ষা করতে গেলে আধা আনা কম পান জেসমিন খাতুন। বিষয়টি জানানোর পর ক্ষিপ্ত হন স্বর্নের দোকানের মালিক প্রতারক মুকুল।
এসময় জেসমিন ছয় আনা পুরন করে চাইলে মুকুল অশ্লীল ভাষায় কথাবার্তা বলিতে থাকে। এর প্রতিবাদ করলে শারীরিকভাবে নানরকম শ্লীলতাহানি করেন মুকুল ম্যানেজার ও তার লোকজন। এসময় বেধড়ক মারধর করা হয় তরুনী জেসমিন খাতুনকে। এমনকি তার গায়ে থাকা স্বর্ণের দেড় ভরি ওজনের কন্ঠহার,স্বর্নের ৮ আনা ওজনের হাতের বালা,স্বর্নের ৬ আনা ওজনের কানের ঝাপটা ও ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা জেসমিনকে উদ্বার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা নেন।
এ ঘটনায় থানায় এজাহার করেন ভুক্তভোগী জেসমিন খাতুন। এজাহারে ৬ জনকে আসামী করা হয়। এর ভিতরে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন সদর মডেল থানা পুলিশ। এদিকে,থানা চত্বরে গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের কারাগারে নেয়ার সময় ছবি নিতে গেলে আসামী পক্ষের আমনুরার সাদ্দাম ও তার লোকজন নিয়ে নানারকম ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেন সাংবাদিকদের। এমনকি এনিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে সাংবাদিক ঘেরাও করে গ্রেপ্তারকৃতদের লোকজন সাদ্দাম,মুকুল’র বড় ভাই ও তাদের দলবল।
এবিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এজাহার দায়েরের পর আসামীদেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামীদেরকেও গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে আমাদের।