১০:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

পূর্বধলায় ঘরের অভাবে মানবেতর জীবন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের

প্রতিনিধির নাম
নেত্রকোণার পূর্বধলায় জরাজীর্ণ ঘরে মধ্যেই পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে এক মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। টিনের তৈরি একমাত্র জরাজীর্ণ ঘরে ভোগান্তি নিয়ে চলছে তাদের বসবাস।
বলছি, উপজেলার সদর ইউনিয়নের রেল স্টেশনের উত্তর পাশে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল খালেকের পরিবারের কথা।
২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল নিয়তির ডাকে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক-কে। একজন মুক্তিযোদ্ধার গল্প হয়তো এখানেই শেষ হতে পারতো কিন্তু এই বীরের স্ত্রী নাছিমা আক্তার শুরু করেন জীবন নামক যুদ্ধের আরও একটি গল্প৷
স্বামীর মৃত্যুর পর মুক্তিযোদ্ধা ভাতার টাকা দিয়ে অনেক কষ্টে চলছে নাছিমা আক্তারের পরিবার।
যেখানে একাই সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তিনি আর নিকট আত্মীয় ও সমাজ যেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী৷
 ৪ ছেলে ও ৩  মেয়েকে নিয়ে সংসার নাসিমা আক্তারের। বাড়িতে ভাঙ্গা টিনের জোড়াতালি দিয়ে তৈরি একটিমাত্র ঘর, যা বসবাসের অনুপযোগী।
মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল খালেক মিয়ার বড় ছেলে পারভেজ মিয়া বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত গরিব শ্রেণির মানুষ। বাড়ির একমাত্র ঘরটি বেহাল হওয়ায় অতিকষ্টে দিন পার করছি। সরকার কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দকৃত বাড়ির জন্য আবেদনও করেছি। একজন অসহায় মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্য হিসেবে এ বিষয়ে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছি।’
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অসহায় এই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে শান্তিতে ঘুমানোর ব্যবস্থা করে দেবেন- এমনটি প্রত্যাশা মুক্তিযোদ্ধা মরহুম খালেক মিয়ার স্ত্রী নাছিমা আক্তারের। সেই সঙ্গে দ্রুত স্থায়ী আবাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নাসিমা আক্তার।
এ ব্যাপারে পূর্বধলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘তাদের ঘরের বেহাল অবস্থার কথা আমি জেনেছি। সরকারের পক্ষ থেকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে কুলসুম বলেন, পর্যায়ক্রমে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৪:৩২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২
১৪৭ বার পড়া হয়েছে

পূর্বধলায় ঘরের অভাবে মানবেতর জীবন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের

আপডেট : ০৪:৩২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২
নেত্রকোণার পূর্বধলায় জরাজীর্ণ ঘরে মধ্যেই পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে এক মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। টিনের তৈরি একমাত্র জরাজীর্ণ ঘরে ভোগান্তি নিয়ে চলছে তাদের বসবাস।
বলছি, উপজেলার সদর ইউনিয়নের রেল স্টেশনের উত্তর পাশে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল খালেকের পরিবারের কথা।
২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল নিয়তির ডাকে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক-কে। একজন মুক্তিযোদ্ধার গল্প হয়তো এখানেই শেষ হতে পারতো কিন্তু এই বীরের স্ত্রী নাছিমা আক্তার শুরু করেন জীবন নামক যুদ্ধের আরও একটি গল্প৷
স্বামীর মৃত্যুর পর মুক্তিযোদ্ধা ভাতার টাকা দিয়ে অনেক কষ্টে চলছে নাছিমা আক্তারের পরিবার।
যেখানে একাই সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তিনি আর নিকট আত্মীয় ও সমাজ যেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী৷
 ৪ ছেলে ও ৩  মেয়েকে নিয়ে সংসার নাসিমা আক্তারের। বাড়িতে ভাঙ্গা টিনের জোড়াতালি দিয়ে তৈরি একটিমাত্র ঘর, যা বসবাসের অনুপযোগী।
মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল খালেক মিয়ার বড় ছেলে পারভেজ মিয়া বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত গরিব শ্রেণির মানুষ। বাড়ির একমাত্র ঘরটি বেহাল হওয়ায় অতিকষ্টে দিন পার করছি। সরকার কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দকৃত বাড়ির জন্য আবেদনও করেছি। একজন অসহায় মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্য হিসেবে এ বিষয়ে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছি।’
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অসহায় এই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে শান্তিতে ঘুমানোর ব্যবস্থা করে দেবেন- এমনটি প্রত্যাশা মুক্তিযোদ্ধা মরহুম খালেক মিয়ার স্ত্রী নাছিমা আক্তারের। সেই সঙ্গে দ্রুত স্থায়ী আবাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নাসিমা আক্তার।
এ ব্যাপারে পূর্বধলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘তাদের ঘরের বেহাল অবস্থার কথা আমি জেনেছি। সরকারের পক্ষ থেকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে কুলসুম বলেন, পর্যায়ক্রমে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।