০২:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

ফেব্রুয়ারির ভাষা অর্জনের স্মৃতিবাহী দিন গুলি

প্রতিনিধির নাম

আজ পহেলা ফেব্র“য়ারি। ভাষা অর্জনের স্মৃতিবাহী ভাষা শহিদদের এ মাস। ছাত্র-জনতার রক্তমাখা এ মাস, মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কয়েক যুগের জমে থাকা কম্পিত ক্ষোভের গর্জে উঠার মাস। মায়ের ভাষার মান রক্ষা করতে সেদিন অকুতোভয়ে অকাতরে বুকের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। এ আত্মহুতির মধ্যদিয়ে আমাদের মুক্তির পথ চলা শুরু হয়।

ভাষা শহিদ সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার-এর আত্মদান বৃথা যায়নি বলেই ৫৪, ৬২, ৬৬ ও ৬৯’র রক্ত ঝরানো সিঁড়ি বেয়ে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অভিষ্ট লক্ষে উপনীত হবার প্রতিশ্র“তিতে জাতীয় জীবনের এক অনন্য মাস। এ মাসে কয়েকজন তরুণের আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতি তার মায়ের ভাষা রক্ষাসহ স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখা শুরু করে। এ মাস আসলেই আমাদের স্বজন হারানোর ব্যথা জাগরিত হয়।

বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষায় প্রতিষ্ঠা করতে বাঙালি জাতি বহু ত্যাগ তিতিক্ষা আর বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে বাংলার রাজপথ রঞ্জিত করে অমিত ভাষা দিবস বিশ্বের প্রতিটি দেশের মানুষের কাছে স্মরণীয় করে রাখতে ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। শহিদদের প্রতি সম্মান জানিয়েছে, ভাষা শহিদদের প্রতি যা বিশ্বের প্রতিটি জাতি শহিদের প্রতি সম্মান জানায়। বাঙালি জাতি তার মাতৃভাষা রক্ষায় সুদূর বৃটিশ আমল থেকে শুরু করে। দেশ বিভাগের পূর্বে আলীগড়ের মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য ডঃ জিয়া উদ্দিন সর্বপ্রথম উর্দ্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব উত্থাপন করলে পূর্ব বাংলায় প্রতিবাদের জন্ম নেয়। প্রথমতঃ ডঃ মুহাম্মদ শহিদুল­াহ এ ধরনের প্রস্তাবের তীব্র বিরোধীতা এবং বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপন করেন। অনেকের মতে ১৩৫৪ বাংলার মধ্যবর্তী সময় থেকেই অর্থাৎ দেশ বিভাগের পূর্ব থেকেই বাংলা ভাষা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অন্তর্ভুক্ত করার আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে।

মূলতঃ ১৯৪৮ সালের ১ ফেব্র“য়ারি তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ফজলুর রহমানের বাসায় অধ্যাপক আব্দুল কাসেমের নেতৃত্বে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আর এ সভায় জানতে পারেন পাকিস্তানের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা থেকে বাংলা ভাষাকে বাদ দেয়ার কারণ। এ বিষয় নিয়ে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর সাথে ভাষা সংগ্রাম পরিষদ প্রতিনিধিদের সাথে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তখন থেকেই বাঙালি জাতি ভাষা আন্দোলন শুরু করে।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৫:৩৯:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
১৯৭ বার পড়া হয়েছে

ফেব্রুয়ারির ভাষা অর্জনের স্মৃতিবাহী দিন গুলি

আপডেট : ০৫:৩৯:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আজ পহেলা ফেব্র“য়ারি। ভাষা অর্জনের স্মৃতিবাহী ভাষা শহিদদের এ মাস। ছাত্র-জনতার রক্তমাখা এ মাস, মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কয়েক যুগের জমে থাকা কম্পিত ক্ষোভের গর্জে উঠার মাস। মায়ের ভাষার মান রক্ষা করতে সেদিন অকুতোভয়ে অকাতরে বুকের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। এ আত্মহুতির মধ্যদিয়ে আমাদের মুক্তির পথ চলা শুরু হয়।

ভাষা শহিদ সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার-এর আত্মদান বৃথা যায়নি বলেই ৫৪, ৬২, ৬৬ ও ৬৯’র রক্ত ঝরানো সিঁড়ি বেয়ে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অভিষ্ট লক্ষে উপনীত হবার প্রতিশ্র“তিতে জাতীয় জীবনের এক অনন্য মাস। এ মাসে কয়েকজন তরুণের আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতি তার মায়ের ভাষা রক্ষাসহ স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখা শুরু করে। এ মাস আসলেই আমাদের স্বজন হারানোর ব্যথা জাগরিত হয়।

বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষায় প্রতিষ্ঠা করতে বাঙালি জাতি বহু ত্যাগ তিতিক্ষা আর বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে বাংলার রাজপথ রঞ্জিত করে অমিত ভাষা দিবস বিশ্বের প্রতিটি দেশের মানুষের কাছে স্মরণীয় করে রাখতে ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। শহিদদের প্রতি সম্মান জানিয়েছে, ভাষা শহিদদের প্রতি যা বিশ্বের প্রতিটি জাতি শহিদের প্রতি সম্মান জানায়। বাঙালি জাতি তার মাতৃভাষা রক্ষায় সুদূর বৃটিশ আমল থেকে শুরু করে। দেশ বিভাগের পূর্বে আলীগড়ের মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য ডঃ জিয়া উদ্দিন সর্বপ্রথম উর্দ্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব উত্থাপন করলে পূর্ব বাংলায় প্রতিবাদের জন্ম নেয়। প্রথমতঃ ডঃ মুহাম্মদ শহিদুল­াহ এ ধরনের প্রস্তাবের তীব্র বিরোধীতা এবং বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপন করেন। অনেকের মতে ১৩৫৪ বাংলার মধ্যবর্তী সময় থেকেই অর্থাৎ দেশ বিভাগের পূর্ব থেকেই বাংলা ভাষা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অন্তর্ভুক্ত করার আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে।

মূলতঃ ১৯৪৮ সালের ১ ফেব্র“য়ারি তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ফজলুর রহমানের বাসায় অধ্যাপক আব্দুল কাসেমের নেতৃত্বে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আর এ সভায় জানতে পারেন পাকিস্তানের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা থেকে বাংলা ভাষাকে বাদ দেয়ার কারণ। এ বিষয় নিয়ে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর সাথে ভাষা সংগ্রাম পরিষদ প্রতিনিধিদের সাথে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তখন থেকেই বাঙালি জাতি ভাষা আন্দোলন শুরু করে।