০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

ভূয়া ভিসায় প্রবাসে ছেলে পালিয়ে থাকায় মায়ের আহাজারি

প্রতিনিধির নাম
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রতারক চক্রের মাধ্যমে ভূয়া ভিসায় প্রবাসে ছেলেকে পাঠিয়ে তিনবছর কেঁদে ফিরছেন অসহায় মা। প্রতারক চক্র বিদেশ পাঠানোর সময় তার মুল্যবান ভূসম্পত্তি বিক্রি ও ব্যাংক লোন করিয়ে তাকে সর্বস্বান্ত করেছে বলে জানা গেছে।
শনিবার উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের জোত ভালুকা গ্রামে গিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে আলাপকালে পালিয়ে থাকা প্রবাসী অন্তরের মা জানান, ২০১৮ সালে তার প্রতিবেশী আজিজের ছেলে রাসেল তাদেরকে প্রলুব্ধ করে সৌদি আরবে অন্তরের বাবা আমজাদ জোয়ার্দারকে নিয়ে যাবার জন্য। শেষ পর্যন্ত বাবা না গিয়ে ছেলে অন্তরকে প্রবাসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ভূসম্পত্তি বিক্রি ও ব্যাংক লোন করে ৬ লাখ টাকা প্রদান করেন। এবং টাকা দেবার এক বছর পর রাসেল তার ছেলে অন্তরকে নিয়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমায়। প্রবাসে যাবার পর অন্তর মোবাইল ফোনে জানায় তাকে কোন কাজ দেয়া হয়নি সে পুলিশের ভয়ে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এভাবে তিন বছর প্রাণ হাতে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তার ছেলে অন্তর।  তিনি আরো জানান মাঝে মাঝে বাংলাদেশ থেকে তিনি ছেলেকে টাকা পাঠান। তার ছেলে দেশে আসতে পারছেনা কারন যাবার পরপরই তার পাসপোর্ট সহ সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে নেয়া হয়েছে। অশ্রু সিক্ত নয়নে অন্তরের মা জানান তার নাওয়া খাওয়া সিঁকেয় উঠেছে সবসময় ছেলের জীবন নিয়ে আতংকিত থাকেন। কখন যেন ছেলের সাথে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এ বিষয়ে রাসেলের সাথে মোবাইলে কথা বলে জানা যায়, সে এবং অন্তর একই সাথে তার মামা শশুড় চাপরা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের আইনুদ্দিনের ছেলে বাবলুর মারফতে সৌদি আরবে যান। সেখানে যাবার পর অন্তরকে একটি কোম্পানিতে কাজের কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর থেকে অন্তরের সাথে আর কোন যোগাযোগ হয়নি তার। এবং দুই মাস পর্যন্ত  তাকে কোন কাজ না দেয়া হলে এক পর্যায়ে পুঁজি খাটিয়ে ওখানে কাঁচামাল বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই সৌদি পুলিশ তাকে আটক করে এবং ১৪ দিন হাজতবাসের পর বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন তাকে ও অন্তরকে ভূয়া ভিসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বাবলুর মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বিষয়টি নিয়ে যদুবয়রা ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, প্রায় ২ বছর আগে বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বৈঠক হয় কিন্তু তথ্য প্রমানের অভাবে সমাধান করতে না পারায় কুমারখালী থানার সহযোগিতা নেবার পরামর্শ দেয়া হয়।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৫:৩২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২
১৭০ বার পড়া হয়েছে

ভূয়া ভিসায় প্রবাসে ছেলে পালিয়ে থাকায় মায়ের আহাজারি

আপডেট : ০৫:৩২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রতারক চক্রের মাধ্যমে ভূয়া ভিসায় প্রবাসে ছেলেকে পাঠিয়ে তিনবছর কেঁদে ফিরছেন অসহায় মা। প্রতারক চক্র বিদেশ পাঠানোর সময় তার মুল্যবান ভূসম্পত্তি বিক্রি ও ব্যাংক লোন করিয়ে তাকে সর্বস্বান্ত করেছে বলে জানা গেছে।
শনিবার উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের জোত ভালুকা গ্রামে গিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে আলাপকালে পালিয়ে থাকা প্রবাসী অন্তরের মা জানান, ২০১৮ সালে তার প্রতিবেশী আজিজের ছেলে রাসেল তাদেরকে প্রলুব্ধ করে সৌদি আরবে অন্তরের বাবা আমজাদ জোয়ার্দারকে নিয়ে যাবার জন্য। শেষ পর্যন্ত বাবা না গিয়ে ছেলে অন্তরকে প্রবাসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ভূসম্পত্তি বিক্রি ও ব্যাংক লোন করে ৬ লাখ টাকা প্রদান করেন। এবং টাকা দেবার এক বছর পর রাসেল তার ছেলে অন্তরকে নিয়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমায়। প্রবাসে যাবার পর অন্তর মোবাইল ফোনে জানায় তাকে কোন কাজ দেয়া হয়নি সে পুলিশের ভয়ে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এভাবে তিন বছর প্রাণ হাতে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তার ছেলে অন্তর।  তিনি আরো জানান মাঝে মাঝে বাংলাদেশ থেকে তিনি ছেলেকে টাকা পাঠান। তার ছেলে দেশে আসতে পারছেনা কারন যাবার পরপরই তার পাসপোর্ট সহ সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে নেয়া হয়েছে। অশ্রু সিক্ত নয়নে অন্তরের মা জানান তার নাওয়া খাওয়া সিঁকেয় উঠেছে সবসময় ছেলের জীবন নিয়ে আতংকিত থাকেন। কখন যেন ছেলের সাথে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এ বিষয়ে রাসেলের সাথে মোবাইলে কথা বলে জানা যায়, সে এবং অন্তর একই সাথে তার মামা শশুড় চাপরা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের আইনুদ্দিনের ছেলে বাবলুর মারফতে সৌদি আরবে যান। সেখানে যাবার পর অন্তরকে একটি কোম্পানিতে কাজের কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর থেকে অন্তরের সাথে আর কোন যোগাযোগ হয়নি তার। এবং দুই মাস পর্যন্ত  তাকে কোন কাজ না দেয়া হলে এক পর্যায়ে পুঁজি খাটিয়ে ওখানে কাঁচামাল বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই সৌদি পুলিশ তাকে আটক করে এবং ১৪ দিন হাজতবাসের পর বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন তাকে ও অন্তরকে ভূয়া ভিসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বাবলুর মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বিষয়টি নিয়ে যদুবয়রা ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, প্রায় ২ বছর আগে বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বৈঠক হয় কিন্তু তথ্য প্রমানের অভাবে সমাধান করতে না পারায় কুমারখালী থানার সহযোগিতা নেবার পরামর্শ দেয়া হয়।