০১:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

ভোটের মাঠে কোমর বেঁধে নেমেছেন ছালাম-মুজিব-গিয়াস সাফহেড লাইন চট্টগ্রামে নতুন মেরুকরণে পাল্টে যাচ্ছে ভোটের হিসাব

রিপন চৌধুরী বিশেষ প্রতিনিধি

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নতুন নতুন মেরুকরণ হচ্ছে। একের পর এক নাটকীয় ঘটনায় পাল্টে যাচ্ছে ভোটের হিসাব। চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে ২টি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ায় ভোটের হিসাবে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেওয়া আসনের মধ্যে চট্টগ্রামের রয়েছে ২টি। এগুলো হচ্ছে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) এবং চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী)। এ দুই আসন থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন যথাক্রমে এম এ সালাম এবং নোমান আল মাহমুদ। আওয়ামী লীগ নিজেদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেওয়ায় দুটি আসনে জাতীয়পার্টির প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী জাতীয়পার্টির প্রার্থীরা হলেন- চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে সোলায়মান আলম শেঠ।
এদিকে চট্টগ্রামে কোমর বেঁধে নেমেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত আলোচিত তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী। কর্ণফুলী তীরের আসন চট্টগ্রাম-৮-এর প্রার্থী আবদুচ ছালাম নির্বাচিত হলে এক বছরের মধ্যে কালুরঘাট সেতুর নির্মাণ প্রক্রিয়া দৃশ্যমান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। আর বাঁশখালীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমানের প্রচারের প্রথম দিনেই বিপুল নেতাকর্মীর ঢল নামে। অন্যদিকে মিরসরাইয়ের স্বতন্ত্র প্রার্থী মতবিনিময় সভা করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের মাহবুব রহমান রুহেলের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
গণসংযোগে কেটলি প্রতীকের প্রার্থী আবদুচ ছালাম বলেন, গ্রাম ও শহরের সমম্বয়ে আমার নির্বাচনি এলাকাটি একটি ব্যাতিক্রমী এলাকা। জনগণ মনে করেছে, গ্রাম ও শহরের মানুষের চাওয়া-পাওয়া আমি সহজেই ধারণ করতে পারব। কারণ আমার জন্মস্থান মোহরা কর্ণফুলী ও হালদা নদীবেষ্টিত একটি নিভৃত পল্লী ছিল। এ পল্লীতে আমার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে। সময়ের পরিক্রমায় মোহরা ও চান্দগাঁও এখন পূর্ণাঙ্গ শহরে পরিণত। এ আসনে জাতীয় পার্টির হয়ে লড়বেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান সোলায়মান আলম শেঠ। তবে প্রচার শুরুর প্রথম দিনে জাপা প্রার্থীর কোনো কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি। আবদুচ ছালাম চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন এই ব্যবসায়ী। কিন্তু জোট রাজনীতির কারণে আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল জাসদের মঈন উদ্দিন খান বাদলকে। ২০০৮ সাল থেকে প্রতিটি সংসদ নির্বাচন এবং দুই দফা উপনির্বাচনে মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন আবদুচ ছালাম, যিনি ১০ বছর সিডিএ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এবার স্বতন্ত্র প্রার্থিতা উন্মুক্তের সুযোগে তিনি নির্বাচনের মাঠে আসেন।
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে প্রার্থিতা উন্মুক্তের সুযোগে স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটের মাঠে এসেছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুজিবুর রহমান। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দুবারের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। ‘বিতর্কিত’ নানা কর্মকাণ্ডের কারণে দলের একাংশ তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সেই সমর্থন আদায় করে মাঠে নেমেছেন মুজিব। ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মুজিবুর রহমানের কর্মিসভায় নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছিল।
গণসংযোগে মুজিবুর রহমান বলেন, নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার জন্য আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার যে বার্তা, সেই বার্তা পেয়েই আমি নির্বাচনে এসেছি। কারও সঙ্গে আমার বৈরিতা নেই, প্রতিহিংসার সম্পর্ক নেই। সবাই যার যার অবস্থান থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, জনগণ তাদের পছন্দ অনুযায়ী প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ যেন পায়। আমি বাঁশখালীর সন্তান, এ জনপদের মানুষের সঙ্গে আমার নাড়ির সম্পর্ক। আমি বাঁশখালীকে উন্নয়নে-মর্যাদায় বদলে দিতে চাই। আমি জনগণের কাছে একবার সুযোগ চাই, যেন আমি তাদের ভাগ্য বদলে দিতে পারি। আমি ঈগল মার্কার ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।এদিকে ভোটের প্রচার শুরুর দিনে এই আসনে নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী সশরীরে ছিলেন না। তার মেয়ে মহিলা সমাবেশ ও গণসংযোগ করে নৌকার পক্ষে ভোট চান।
চট্টগ্রাম-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে মাহবুব রহমান রুহেল। মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন দলের স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা উন্মুক্তের ঘোষণার পর মাঠে নামেন। তিনি পেয়েছেন ঈগল প্রতীক। ১৯৭০ সাল থেকে চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে নির্বাচিত হয়ে আসছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডেরও একজন। সাতবার সংসদ সদস্য এবং দুবার মন্ত্রী ছিলেন। ৮২ বছর বয়সী মোশাররফ সরে গিয়ে এবার নির্বাচনের মাঠ তুলে দিয়েছেন ছেলে রুহেলের হাতে। উচ্চশিক্ষিত রুহেল চলচ্চিত্র প্রযোজনা, সিনেপ্লেক্স ও হোটেল ব্যবসায় যুক্ত।
অন্যদিকে মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আশির দশকের ছাত্রলীগ নেতা। পরে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগেও সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০০৯ সালে তিনি মিরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। একসময় মোশাররফ ও গিয়াসের মধ্যে ‘গুরু-শিষ্যের’ সম্পর্ক থাকলেও ২০০৯ সালের পর তাতে ভাঙন ধরে। দলটির নেতাদের অনেকে মনে করেন, মোশাররফ ভবিষ্যতের প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে গিয়াসকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিলেন।

ট্যাগস :
আপডেট : ১০:১২:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
১৯৭ বার পড়া হয়েছে

ভোটের মাঠে কোমর বেঁধে নেমেছেন ছালাম-মুজিব-গিয়াস সাফহেড লাইন চট্টগ্রামে নতুন মেরুকরণে পাল্টে যাচ্ছে ভোটের হিসাব

আপডেট : ১০:১২:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নতুন নতুন মেরুকরণ হচ্ছে। একের পর এক নাটকীয় ঘটনায় পাল্টে যাচ্ছে ভোটের হিসাব। চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে ২টি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ায় ভোটের হিসাবে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেওয়া আসনের মধ্যে চট্টগ্রামের রয়েছে ২টি। এগুলো হচ্ছে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) এবং চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী)। এ দুই আসন থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন যথাক্রমে এম এ সালাম এবং নোমান আল মাহমুদ। আওয়ামী লীগ নিজেদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেওয়ায় দুটি আসনে জাতীয়পার্টির প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী জাতীয়পার্টির প্রার্থীরা হলেন- চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে সোলায়মান আলম শেঠ।
এদিকে চট্টগ্রামে কোমর বেঁধে নেমেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত আলোচিত তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী। কর্ণফুলী তীরের আসন চট্টগ্রাম-৮-এর প্রার্থী আবদুচ ছালাম নির্বাচিত হলে এক বছরের মধ্যে কালুরঘাট সেতুর নির্মাণ প্রক্রিয়া দৃশ্যমান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। আর বাঁশখালীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমানের প্রচারের প্রথম দিনেই বিপুল নেতাকর্মীর ঢল নামে। অন্যদিকে মিরসরাইয়ের স্বতন্ত্র প্রার্থী মতবিনিময় সভা করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের মাহবুব রহমান রুহেলের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
গণসংযোগে কেটলি প্রতীকের প্রার্থী আবদুচ ছালাম বলেন, গ্রাম ও শহরের সমম্বয়ে আমার নির্বাচনি এলাকাটি একটি ব্যাতিক্রমী এলাকা। জনগণ মনে করেছে, গ্রাম ও শহরের মানুষের চাওয়া-পাওয়া আমি সহজেই ধারণ করতে পারব। কারণ আমার জন্মস্থান মোহরা কর্ণফুলী ও হালদা নদীবেষ্টিত একটি নিভৃত পল্লী ছিল। এ পল্লীতে আমার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে। সময়ের পরিক্রমায় মোহরা ও চান্দগাঁও এখন পূর্ণাঙ্গ শহরে পরিণত। এ আসনে জাতীয় পার্টির হয়ে লড়বেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান সোলায়মান আলম শেঠ। তবে প্রচার শুরুর প্রথম দিনে জাপা প্রার্থীর কোনো কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি। আবদুচ ছালাম চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন এই ব্যবসায়ী। কিন্তু জোট রাজনীতির কারণে আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল জাসদের মঈন উদ্দিন খান বাদলকে। ২০০৮ সাল থেকে প্রতিটি সংসদ নির্বাচন এবং দুই দফা উপনির্বাচনে মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন আবদুচ ছালাম, যিনি ১০ বছর সিডিএ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এবার স্বতন্ত্র প্রার্থিতা উন্মুক্তের সুযোগে তিনি নির্বাচনের মাঠে আসেন।
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে প্রার্থিতা উন্মুক্তের সুযোগে স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটের মাঠে এসেছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুজিবুর রহমান। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দুবারের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। ‘বিতর্কিত’ নানা কর্মকাণ্ডের কারণে দলের একাংশ তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সেই সমর্থন আদায় করে মাঠে নেমেছেন মুজিব। ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মুজিবুর রহমানের কর্মিসভায় নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছিল।
গণসংযোগে মুজিবুর রহমান বলেন, নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার জন্য আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার যে বার্তা, সেই বার্তা পেয়েই আমি নির্বাচনে এসেছি। কারও সঙ্গে আমার বৈরিতা নেই, প্রতিহিংসার সম্পর্ক নেই। সবাই যার যার অবস্থান থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, জনগণ তাদের পছন্দ অনুযায়ী প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ যেন পায়। আমি বাঁশখালীর সন্তান, এ জনপদের মানুষের সঙ্গে আমার নাড়ির সম্পর্ক। আমি বাঁশখালীকে উন্নয়নে-মর্যাদায় বদলে দিতে চাই। আমি জনগণের কাছে একবার সুযোগ চাই, যেন আমি তাদের ভাগ্য বদলে দিতে পারি। আমি ঈগল মার্কার ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।এদিকে ভোটের প্রচার শুরুর দিনে এই আসনে নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী সশরীরে ছিলেন না। তার মেয়ে মহিলা সমাবেশ ও গণসংযোগ করে নৌকার পক্ষে ভোট চান।
চট্টগ্রাম-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে মাহবুব রহমান রুহেল। মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন দলের স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা উন্মুক্তের ঘোষণার পর মাঠে নামেন। তিনি পেয়েছেন ঈগল প্রতীক। ১৯৭০ সাল থেকে চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে নির্বাচিত হয়ে আসছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডেরও একজন। সাতবার সংসদ সদস্য এবং দুবার মন্ত্রী ছিলেন। ৮২ বছর বয়সী মোশাররফ সরে গিয়ে এবার নির্বাচনের মাঠ তুলে দিয়েছেন ছেলে রুহেলের হাতে। উচ্চশিক্ষিত রুহেল চলচ্চিত্র প্রযোজনা, সিনেপ্লেক্স ও হোটেল ব্যবসায় যুক্ত।
অন্যদিকে মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আশির দশকের ছাত্রলীগ নেতা। পরে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগেও সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০০৯ সালে তিনি মিরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। একসময় মোশাররফ ও গিয়াসের মধ্যে ‘গুরু-শিষ্যের’ সম্পর্ক থাকলেও ২০০৯ সালের পর তাতে ভাঙন ধরে। দলটির নেতাদের অনেকে মনে করেন, মোশাররফ ভবিষ্যতের প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে গিয়াসকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিলেন।