০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

মামলা থেকে বাঁচতে বিজয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ভোট কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ছিনতাই, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের মারধর ও আটক করে রাখার  ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা থেকে বাঁচতে বিজয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারী) বিকেলে বিজয়ী প্রার্থী মোমিনুল ইসলাম প্রেসক্লাব গাইবান্ধা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন।  সংবাদ সম্মেলনে মোমিনুলের পরিবারের সদস্য শাহিন আলম, শাহআলম, আমিনুল ইসলামসহ প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার  সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে মোমিমুল ইসলাম বলেন,  পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ফুলছড়ি উপজেলার ৬নং এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী হিসেবে মোরগ প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দীতা করি। নির্বাচনে দুইটি কেন্দ্রের ফলাফলে wআমি চর চৌমহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৯৫ ও আনন্দবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪১ ভোটসহ মোট ৫৩৬ ভোট পাই। অপর দিকে আমার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী টিউবওয়েল প্রতীকের আবু বক্কর চর চৌমহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পায় ৩৩ ভোট এবং আনন্দবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৪৭ ভোটসহ মোট পায় ৪৮০ ভোট। আমি আমার নিকটতম প্রতিদন্দ্বির থেকে ৫৬ ভোটের ব্যবধানে ইউপি সদস্য (মেম্বার) হিসেবে নির্বাচিত হই এবং নির্বাচন কর্মকর্তারা আমাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষনা করে ফলাফল পত্র আমার হাতে তুলে দেয়।
এর আগে  আবু বক্কর ও তার সমর্থকরা ভোট গণনা শেষে নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথে দ্বন্দে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ভোট কেন্দ্রে থাকা ব্যালট বাক্সসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাংচুর ও ছিনতাই করে নিয়ে যায়। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশ ও নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা আনসারসহ সকল কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় গত  ৬ জানুয়ারী লুটপাট, ছিনতাই ও হামলার অভিযোগে ফুলছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ঐ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মহসিন আলী(মামলা নং ০৩)। সেখানে আবু বক্করকে প্রধান করে ১০জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০০/২৫০ জন আসামী করা হয়।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর পরাজিত প্রতিদ্বন্দী  প্রার্থী  আবু ব্ক্কর হেরে গিয়ে আমার প্রাপ্ত ফলাফলকে প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ আমার নামে বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করেছে। শুধু তাই নয় সম্মানহানীসহ আমার নামে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে। একই সাথে নির্বাচনী ফলাফল ওলটপালট করার অশুভ চেষ্টা করে আমার নামে ভোটের ফলাফল নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যে অভিযোগ দাখিল করে।  প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর এমন কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি সেই সাথে এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ট্যাগস :
আপডেট : ১১:০০:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২২
১৭৫ বার পড়া হয়েছে

মামলা থেকে বাঁচতে বিজয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ

আপডেট : ১১:০০:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২২
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ভোট কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ছিনতাই, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের মারধর ও আটক করে রাখার  ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা থেকে বাঁচতে বিজয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারী) বিকেলে বিজয়ী প্রার্থী মোমিনুল ইসলাম প্রেসক্লাব গাইবান্ধা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন।  সংবাদ সম্মেলনে মোমিনুলের পরিবারের সদস্য শাহিন আলম, শাহআলম, আমিনুল ইসলামসহ প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার  সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে মোমিমুল ইসলাম বলেন,  পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ফুলছড়ি উপজেলার ৬নং এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী হিসেবে মোরগ প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দীতা করি। নির্বাচনে দুইটি কেন্দ্রের ফলাফলে wআমি চর চৌমহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৯৫ ও আনন্দবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪১ ভোটসহ মোট ৫৩৬ ভোট পাই। অপর দিকে আমার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী টিউবওয়েল প্রতীকের আবু বক্কর চর চৌমহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পায় ৩৩ ভোট এবং আনন্দবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৪৭ ভোটসহ মোট পায় ৪৮০ ভোট। আমি আমার নিকটতম প্রতিদন্দ্বির থেকে ৫৬ ভোটের ব্যবধানে ইউপি সদস্য (মেম্বার) হিসেবে নির্বাচিত হই এবং নির্বাচন কর্মকর্তারা আমাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষনা করে ফলাফল পত্র আমার হাতে তুলে দেয়।
এর আগে  আবু বক্কর ও তার সমর্থকরা ভোট গণনা শেষে নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথে দ্বন্দে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ভোট কেন্দ্রে থাকা ব্যালট বাক্সসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাংচুর ও ছিনতাই করে নিয়ে যায়। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশ ও নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা আনসারসহ সকল কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় গত  ৬ জানুয়ারী লুটপাট, ছিনতাই ও হামলার অভিযোগে ফুলছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ঐ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মহসিন আলী(মামলা নং ০৩)। সেখানে আবু বক্করকে প্রধান করে ১০জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০০/২৫০ জন আসামী করা হয়।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর পরাজিত প্রতিদ্বন্দী  প্রার্থী  আবু ব্ক্কর হেরে গিয়ে আমার প্রাপ্ত ফলাফলকে প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ আমার নামে বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করেছে। শুধু তাই নয় সম্মানহানীসহ আমার নামে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে। একই সাথে নির্বাচনী ফলাফল ওলটপালট করার অশুভ চেষ্টা করে আমার নামে ভোটের ফলাফল নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যে অভিযোগ দাখিল করে।  প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর এমন কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি সেই সাথে এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।