০৮:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

যশোরে আমের মুকুলে মৌমাছির গুঞ্জন

প্রতিনিধির নাম
চলছে মাঘ মাস। ফাল্গুন আসতে এখনও  বাকি। তীব্র শীতের মধ্যেই যশোরের বিভিন্ন উপজেলার গাছে গাছে একটু আগে ভাগেই আসতে শুরু করেছে আমের মুকুল। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে চলতি বছরে আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এ অঞ্চলের চাষিরা।
যশোর সদরের হামিদপুর, শার্শা, বেনাপোল, ঝিকরগাছা, চৌগাছার আম গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে স্বর্নালী আমের মুকুল।
 বাতাসেও যেন মুকুলের মৌ মৌ সুবাস বইছে। মুকুলের পরিমাণ কম হলেও ইতোমধ্যে আম চাষিরা পরিচর্যা শুরু করেছেন বাগান মালিকরা।
 দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকার আম গাছে আগাম মুকুল শোভা পাচ্ছে। আমের মুকুলে এখন মৌমাছির গুঞ্জন। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন জাদুর মতো কাছে টানছে চাষিদের মন।
প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় চলছে ভ্রমরের সুর ব্যঞ্জনা। শীতের স্নিগ্ধতার মধ্যেই শোভা ছড়াচ্ছে স্বর্ণালী মুকুল গুলো।
আম চাষিরা জানান, আগাম মুকুল দেখার পর থেকে মনটা ভালোই লাগছে। এই মুকুল বেঁচে থাকলে গতবারের ন্যায় এবারও বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে। তবে ঘন কুয়াশা থাকলে মুকুল পঁচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ইতোমধ্যে মাঘ তার শীতের দাপট দেখাতে শুরু করেছে। সেই সাথে ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে দিচ্ছে গোটা দেশ। এ কারনেই আম চাষে বাম্পার ফলনের আসা থাকলেও ঘন কুয়াশাকে নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন আম চাষিরা।
কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, প্রতি বছরই কিছু আমগাছে আগাম মুকুল আসে। এবারও আসতে শুরু করেছে। ঘন কুয়াশার কবলে না পড়লে এসব গাছে আগাম ফলন পাওয়া যায়। আর আবহাওয়া বৈরী হলে ফলন মেলে না। তবে নিয়ম মেনে শেষ মাঘে যেসব গাছে মুকুল আসবে সেসব গাছে মুকুল স্থায়ী হবে।
আম চাষিরা বলেন, আম গাছে আগাম মুকুল বাতাসে মিশে মৌ মৌ গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করছে।
কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৌতম কুমার শীল বলেন, বেশ কিছু এলাকার আগাম মুকুলে ছেয়ে গেছে আম গাছ। কোনো কোনো গাছে শীঘ্রয় আমের মুকুল থেকে বেরিয়ে আসবে ছোট ছোট আম।
আবহাওয়া পরিবর্তন অর্থাৎ যে আবহাওয়াটা মুকুল হওয়ার জন্য দরকার সেটা আগেই পেয়েছে সেজন্য আগাম মুকুল এসেছে। এছাড়া আগাম জাতের গাছেও আগাম মুকুল আসে। কোন প্রকার প্রাকৃতিক দূর্যোগ না আসলে আমার বাম্পার ফলন হবে এবং চাষির অনেকাংশেই লাভবান হবেন।
ট্যাগস :
আপডেট : ১১:৪৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
১৮১ বার পড়া হয়েছে

যশোরে আমের মুকুলে মৌমাছির গুঞ্জন

আপডেট : ১১:৪৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
চলছে মাঘ মাস। ফাল্গুন আসতে এখনও  বাকি। তীব্র শীতের মধ্যেই যশোরের বিভিন্ন উপজেলার গাছে গাছে একটু আগে ভাগেই আসতে শুরু করেছে আমের মুকুল। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে চলতি বছরে আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এ অঞ্চলের চাষিরা।
যশোর সদরের হামিদপুর, শার্শা, বেনাপোল, ঝিকরগাছা, চৌগাছার আম গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে স্বর্নালী আমের মুকুল।
 বাতাসেও যেন মুকুলের মৌ মৌ সুবাস বইছে। মুকুলের পরিমাণ কম হলেও ইতোমধ্যে আম চাষিরা পরিচর্যা শুরু করেছেন বাগান মালিকরা।
 দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকার আম গাছে আগাম মুকুল শোভা পাচ্ছে। আমের মুকুলে এখন মৌমাছির গুঞ্জন। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন জাদুর মতো কাছে টানছে চাষিদের মন।
প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় চলছে ভ্রমরের সুর ব্যঞ্জনা। শীতের স্নিগ্ধতার মধ্যেই শোভা ছড়াচ্ছে স্বর্ণালী মুকুল গুলো।
আম চাষিরা জানান, আগাম মুকুল দেখার পর থেকে মনটা ভালোই লাগছে। এই মুকুল বেঁচে থাকলে গতবারের ন্যায় এবারও বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে। তবে ঘন কুয়াশা থাকলে মুকুল পঁচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ইতোমধ্যে মাঘ তার শীতের দাপট দেখাতে শুরু করেছে। সেই সাথে ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে দিচ্ছে গোটা দেশ। এ কারনেই আম চাষে বাম্পার ফলনের আসা থাকলেও ঘন কুয়াশাকে নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন আম চাষিরা।
কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, প্রতি বছরই কিছু আমগাছে আগাম মুকুল আসে। এবারও আসতে শুরু করেছে। ঘন কুয়াশার কবলে না পড়লে এসব গাছে আগাম ফলন পাওয়া যায়। আর আবহাওয়া বৈরী হলে ফলন মেলে না। তবে নিয়ম মেনে শেষ মাঘে যেসব গাছে মুকুল আসবে সেসব গাছে মুকুল স্থায়ী হবে।
আম চাষিরা বলেন, আম গাছে আগাম মুকুল বাতাসে মিশে মৌ মৌ গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করছে।
কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৌতম কুমার শীল বলেন, বেশ কিছু এলাকার আগাম মুকুলে ছেয়ে গেছে আম গাছ। কোনো কোনো গাছে শীঘ্রয় আমের মুকুল থেকে বেরিয়ে আসবে ছোট ছোট আম।
আবহাওয়া পরিবর্তন অর্থাৎ যে আবহাওয়াটা মুকুল হওয়ার জন্য দরকার সেটা আগেই পেয়েছে সেজন্য আগাম মুকুল এসেছে। এছাড়া আগাম জাতের গাছেও আগাম মুকুল আসে। কোন প্রকার প্রাকৃতিক দূর্যোগ না আসলে আমার বাম্পার ফলন হবে এবং চাষির অনেকাংশেই লাভবান হবেন।