১০:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

“শিশু মনে শেখ হাসিনা” আগামী পথের অভিযাত্রী

রিপোর্টার, মোঃ ইসমাইল হোসেন

“শিশু মনের শেখ হাসিনা” সংগঠনের আগামী দিনের ভাবনা নিয়ে সংগঠনের সভাপতি শিশু সাহিত্যিক ও কবি আলমগীর খোরশেদ বাংলাদেশ সমাচারের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন –
আজকের শিশুরাই হবে আগামী দিনের কান্ডারি। দেশ, মা, মাটি আর মানবতার জয়গান থাকবে ওদের চেতনায়, বিশ্বাসে ও ভাবনায়। যার জন্য এই বাংলাদেশ, যার জন্য বাংলা ভাষা, যার জন্য বিশ্ব মানচিত্রে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ, যার জন্য বাতাসে পত পত করে উড়ে লাল সবুজের পতাকা, তিনি জ্যুলিও কুরি উপাধি প্রাপ্ত বিশ্বনেতা, ফিদেল ক্যাষ্ট্রোর চোখে দেখা হিমালয়, বাঙালি জাতি সত্ত্বার পিতা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন। শিশুদের কাছে গেলে তিনি নিজেই শিশুর মতো হয়ে যেতেন। জনকের ভাবনায় প্রতিটি শিশুকে তিনি গড়ে তুলতে চেয়েছেন আদর্শবান, খাঁটি দেশপ্রমিক, বন্ধু বাৎসল, কর্মঠ সুনাগরিক হিসাবে। বঙ্গবন্ধু বলতেন,” এই পবিত্র শিশুদের সঙ্গে মিশি মনটাকে একটু হালকা করার জন্য।” ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের তিনশত ছবি যা শিশুদের আঁকা, তা থেকে বাছাই করে সত্তর টি ছবি বঙ্গবন্ধুকে দেখানো হয়। ছবিগুলো বঙ্গবন্ধু রাশিয়া সফরের সময় সে দেশের শিশুদের উপহার দেওয়ার জন্য নিয়ে যান।
বঙ্গবন্ধুই প্রথম জাতীয় শিশু আইন ১৯৭৪ প্রনয়ণ করেন। শিশুদের শিক্ষা বিস্তারে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন। যুদ্ধ শিশুদের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা নেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পিতা হত্যায় জাতির ললাটে রক্তঋণের সীলমোহর আঁকা হয়ে যায়। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মানবতার জননী, উন্নয়নের মাইল ফলক, বিশ্বসেরা প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা হাল ধরেছেন পিতার আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে স্বপ্নের নৌকার হাল ধরে। কন্যা আজ বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিয়েছেন মধ্য আয়ের দেশ থেকে একটা দেশ কিভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছে। নেত্রীর দূরদর্শী ও বিচক্ষণ দেশ পরিচালনায় হয়েছেন বিশ্বসেরা প্রধানমন্ত্রী। বাবা বঙ্গবন্ধুর মতো, কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শিশু বান্ধব মনের মানুষ। শিশুদের প্রতি তাঁর মায়া,গভীর মমত্ববোধ অনুকরণীয়।
১৭ মার্চ জাতির জনকের জন্মদিনকে জাতীয় শিশুদিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। শিশুদের সৃজনশীল মুক্তমনের মানুষ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই এই সরকারের লক্ষ্য। জাতির জনক ও তাঁর সুযোগ্য কন্যার পথ ধরে এগিয়ে যাবে আগামী প্রজন্ম।
পিতার রক্তঋণ শোধবার জন্য আগামী শিশুদের মনে প্রাণে দেশ প্রেম, মা, মাটির প্রতি টান, মায়া এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শ তাদের চেতনায় বিকশিত করে দিতেই সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন– ” শিশু মনে শেখ হাসিনা”- এর যাত্রা শুরু।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাবার মতোই শিশুদের ভালোবাসেন। শিশুদের কাছে পেলে আনন্দে মেতে উঠেন। শিশুর মতো প্রাণ খোলে হাসেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পরিবাগ সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রের সত্যেন বোস মিলনায়তনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্টানের মধ্য দিয়ে ” শিশু মনে শেখ হাসিনা” সংগঠনের অভিষেক ঘটে। শিশু সাহিত্যিক ও কবি আলমগীর খোরশেদ কে সংগঠনের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানিয়া সুলতানা হ্যাপীকে সাধারণ সম্পাদক করে পঞ্চান্ন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় যুবমহিলা লীগের সম্মানিত সভাপতি ডেইজী সারোয়ার।
আগামী প্রজন্মকে মুজিবীয় চিন্তাধারায় এবং দেশনেত্রী শেখ হাসিনার মত বিশ্ব সেরা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অনুপ্রেরণা দিতে কাজ করে যাবে নবগঠিত সংগঠন ” শিশু মনে শেখ হাসিনা “।
বাংলাদেশের চৌষট্টিটি জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সেমিনার, আলোচনা, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা বিষয়ে রচনা, কুইজ প্রতিযোগীতা ও শেষে পুরস্কার হিসেবে বই দিয়ে উৎসাহিত করা হবে আগামী প্রজন্মের পথ চলার। আর এভাবেই এগিয়ে যাবে নতুন সংগঠন– ” শিশু মনে শেখ হাসিনা “।

ট্যাগস :
আপডেট : ১০:০৩:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
১৭৮ বার পড়া হয়েছে

“শিশু মনে শেখ হাসিনা” আগামী পথের অভিযাত্রী

আপডেট : ১০:০৩:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

“শিশু মনের শেখ হাসিনা” সংগঠনের আগামী দিনের ভাবনা নিয়ে সংগঠনের সভাপতি শিশু সাহিত্যিক ও কবি আলমগীর খোরশেদ বাংলাদেশ সমাচারের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন –
আজকের শিশুরাই হবে আগামী দিনের কান্ডারি। দেশ, মা, মাটি আর মানবতার জয়গান থাকবে ওদের চেতনায়, বিশ্বাসে ও ভাবনায়। যার জন্য এই বাংলাদেশ, যার জন্য বাংলা ভাষা, যার জন্য বিশ্ব মানচিত্রে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ, যার জন্য বাতাসে পত পত করে উড়ে লাল সবুজের পতাকা, তিনি জ্যুলিও কুরি উপাধি প্রাপ্ত বিশ্বনেতা, ফিদেল ক্যাষ্ট্রোর চোখে দেখা হিমালয়, বাঙালি জাতি সত্ত্বার পিতা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন। শিশুদের কাছে গেলে তিনি নিজেই শিশুর মতো হয়ে যেতেন। জনকের ভাবনায় প্রতিটি শিশুকে তিনি গড়ে তুলতে চেয়েছেন আদর্শবান, খাঁটি দেশপ্রমিক, বন্ধু বাৎসল, কর্মঠ সুনাগরিক হিসাবে। বঙ্গবন্ধু বলতেন,” এই পবিত্র শিশুদের সঙ্গে মিশি মনটাকে একটু হালকা করার জন্য।” ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের তিনশত ছবি যা শিশুদের আঁকা, তা থেকে বাছাই করে সত্তর টি ছবি বঙ্গবন্ধুকে দেখানো হয়। ছবিগুলো বঙ্গবন্ধু রাশিয়া সফরের সময় সে দেশের শিশুদের উপহার দেওয়ার জন্য নিয়ে যান।
বঙ্গবন্ধুই প্রথম জাতীয় শিশু আইন ১৯৭৪ প্রনয়ণ করেন। শিশুদের শিক্ষা বিস্তারে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন। যুদ্ধ শিশুদের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা নেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পিতা হত্যায় জাতির ললাটে রক্তঋণের সীলমোহর আঁকা হয়ে যায়। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মানবতার জননী, উন্নয়নের মাইল ফলক, বিশ্বসেরা প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা হাল ধরেছেন পিতার আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে স্বপ্নের নৌকার হাল ধরে। কন্যা আজ বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিয়েছেন মধ্য আয়ের দেশ থেকে একটা দেশ কিভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছে। নেত্রীর দূরদর্শী ও বিচক্ষণ দেশ পরিচালনায় হয়েছেন বিশ্বসেরা প্রধানমন্ত্রী। বাবা বঙ্গবন্ধুর মতো, কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শিশু বান্ধব মনের মানুষ। শিশুদের প্রতি তাঁর মায়া,গভীর মমত্ববোধ অনুকরণীয়।
১৭ মার্চ জাতির জনকের জন্মদিনকে জাতীয় শিশুদিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। শিশুদের সৃজনশীল মুক্তমনের মানুষ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই এই সরকারের লক্ষ্য। জাতির জনক ও তাঁর সুযোগ্য কন্যার পথ ধরে এগিয়ে যাবে আগামী প্রজন্ম।
পিতার রক্তঋণ শোধবার জন্য আগামী শিশুদের মনে প্রাণে দেশ প্রেম, মা, মাটির প্রতি টান, মায়া এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শ তাদের চেতনায় বিকশিত করে দিতেই সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন– ” শিশু মনে শেখ হাসিনা”- এর যাত্রা শুরু।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাবার মতোই শিশুদের ভালোবাসেন। শিশুদের কাছে পেলে আনন্দে মেতে উঠেন। শিশুর মতো প্রাণ খোলে হাসেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পরিবাগ সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রের সত্যেন বোস মিলনায়তনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্টানের মধ্য দিয়ে ” শিশু মনে শেখ হাসিনা” সংগঠনের অভিষেক ঘটে। শিশু সাহিত্যিক ও কবি আলমগীর খোরশেদ কে সংগঠনের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানিয়া সুলতানা হ্যাপীকে সাধারণ সম্পাদক করে পঞ্চান্ন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় যুবমহিলা লীগের সম্মানিত সভাপতি ডেইজী সারোয়ার।
আগামী প্রজন্মকে মুজিবীয় চিন্তাধারায় এবং দেশনেত্রী শেখ হাসিনার মত বিশ্ব সেরা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অনুপ্রেরণা দিতে কাজ করে যাবে নবগঠিত সংগঠন ” শিশু মনে শেখ হাসিনা “।
বাংলাদেশের চৌষট্টিটি জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সেমিনার, আলোচনা, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা বিষয়ে রচনা, কুইজ প্রতিযোগীতা ও শেষে পুরস্কার হিসেবে বই দিয়ে উৎসাহিত করা হবে আগামী প্রজন্মের পথ চলার। আর এভাবেই এগিয়ে যাবে নতুন সংগঠন– ” শিশু মনে শেখ হাসিনা “।