সব জিনিসের দাম বাড়লেও কমেছে পাদুকা শ্রমিকের দাম
কিশোরগঞ্জ জেলা পাদুকা শ্রমিক ইউনিয়ন এর প্রতিষ্ঠাতা বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ছাবির উদ্দিন রাজু বলেছেন, ‘দেশে সব জিনিসের দাম বাড়লেও কেবল কমেছে পাদুকা শ্রমিকের দাম, তাদের শ্রমশক্তির দাম।ভোটের ব্যবস্থা সচ্চ না থাকায় রাজনৈতিক দলের কাছে শ্রমিকদের গুরুত্ব কমেছে। সঠিক ভোট ব্যবস্থা কিছু নষ্ট হওয়ায় শ্রমিকেরা আরও ক্ষমতাহীন, আরও মর্যাদাহীন, আরও গরিব হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও মানবতাহীন মালিক শ্রমিকদেরকে ব্যবহার করে। কিন্তু তাদের অধিকারের পক্ষে অবস্থান নেয় না।সরকার ও মালিক শ্রমিকদেরকে কেবল উৎপাদন বাড়াতে বলে, কিন্তু তাদের মানবিক দাবিগুলো নিশ্চিত করে না।’
মহান মে দিবস উপলক্ষে বুধবার সন্ধায় পাদুকা ভৈরব হাজী আসমত কলেজ সংলগ্ন কার্যালয়ে পাদুকা শ্রমিক ইউনিয়ন আয়োজিত আলোচনা সভায় ছাবির উদ্দিন রাজু এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এই দাবদাহে সবচেয়ে কষ্টে আছে শ্রমিকেরা।অস্বাভাবিক গরমে শ্রমিকদের কাজ ও আয় দুটোই কমে গেছে। অসংখ্য শ্রমিক পরিবারের জীবনে দুর্যোগ নেমে এসেছে।’
এই দুর্যোগ মোকাবিলায় শ্রমিক পরিবারপ্রতি আগামী তিন মাস নগদ ৫ হাজার টাকা করে প্রদান করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ছাবির উদ্দিন রাজু বলেন, ‘জীবনযাত্রার অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধির কারণে দেশের শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষকে আজ চরম দুঃসহ জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। শ্রমিকদের প্রকৃত আয় কমে গেছে।শ্রমিক পরিবারগুলোর খাদ্য গ্রহণ কমে গেছে। ট্রেড ইউনিয়নসহ তাদের গণতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকার নিশ্চিত নয়।বিদ্যমান শ্রম আইনও শ্রমিকদের অনুকূলে নয়।শ্রমিকদের বাঁচার ন্যায্য আন্দোলনকে মালিকেরা ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রচার করে।’
তিনি এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসে নিজেদের অধিকার ও মুক্তি অর্জনে শ্রমজীবী-মেহনতিদের বৃহত্তর ঐক্য এবং আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি অনতিবিলম্বে পাদুকা শ্রমিকদের বাঁচার মতো মজুরি, রেশনিং ব্যবস্থা ও ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানান।
কিশোরগঞ্জ জেলা পাদুকা শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ ফয়জুল কবীর এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন-জেলা সংগঠনের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরীফ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাজিতপুর পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ বোরহান উদ্দিন, ভৈরব শাখার সভাপতি মোঃ কাশেম মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ তারেক মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক এনকে সোহেল প্রমুখ।
আলোচনা সভার পর বিশ্বের সকল শ্রমিকদের জন্য দোয়া মোনাজাত করে তাবারক বিতরণ করা হয়।