০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের কর্মচারীবৃন্দের কর্ম বিরতি”

মোহাম্মদ নূরে আলম

বাংলাদেশে সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় কমিটির স্মারক নং: সকবেকই/২০২৩/০০০৪, তারিখ ০৩/১০/২০২৩ ইং বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক আলী মর্তুজা পনির (সভাপতি) ও মো: শাহ্ ওমর ফারুক (সাধারণ সম্পাদক) নির্দেশিত গত ৩০/০৯/২০২৩খ্রি. তারিখের কেন্দ্রীয় কমিটির সংবাদ সম্মেলনের কর্মসূচীর ঘোষণা ও ০২/১০/২০২৩ খ্রিঃ তারিখের ভার্চুয়াল সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ০৫ তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার হতে “বাংলাদেশে সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীদের চাকুরী রাজস্বখাতে স্থানাস্তর ও বহুদিন যাবৎ অস্থায়ীভাবে কর্মরতদের ব্যতিরেকে নতুন নিয়োগ বন্ধের দাবিতে” সারা বাংলাদেশে একযোগে সকল সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদের কর্মবিরতি কর্মসূচী পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নিম্নের নির্দেশনা মোতাবেক উক্ত কর্মসূচী সুষ্ঠ, সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও ফলপ্রসু করার জন্য প্রতিটি বিভাগের বিভাগীয় সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক/সাংগঠনিক সম্পাদকে তাঁর নিয়ন্ত্রনাধীন কলেজগুলোতে সতস্ফুর্তভাবে পালনের সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ রংপুর এর বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আব্দুল মতিন (বিভাগীয় সভাপতি) রংপুর বিভাগ,অফিস সহকারি, বেগম রোকেয়া কলেজ,রংপুর এবং এবং বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের সেক্রেটারি নূর মোহাম্মদ ( সাধারণ সম্পাদক) সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ রংপুর। এর নেতৃত্বে সকাল ১০.০০ টা হতে ১১.০০ টা পর্যন্ত কলেজের প্রধান ফটকের সামনে কলেজের সকল কর্মচারীদের নিয়ে এক ঘন্টা ব্যাপী কর্মবিরতি পালন করা হয়। তাদের কথামতো পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সকাল ১০:০০টা হতে ১১:০০টা পর্যন্ত কলেজের প্রধান ফটকের সামনে প্রতিদিন ১ ঘন্টা কর্মবিরতি অব্যহত থাকবে। দাবি আদায়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। সংগঠনের রংপুর বিভাগীয় সভাপতি মোঃ আব্দুল মতিন  বলেছেন, কর্মচারীরা  তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে সোচ্চার হয়েছে। আগামী  সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তা চলবে।
কী ধরণের কর্মসূচি আসতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সারাদেশে মানববন্ধন, কলম বিরতি, কালোব্যাচ ধারণ বা প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের মতো কর্মসূচি হতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমাদের পেটে ভাত নাই, বেতনের টাকা দিয়ে ১০দিনও চলে না। দাবি আদায়ে অনেক কান্নাকাটি করেছি, মাঝখানে বন্ধ ছিলো, আবারও কাঁদতে হবে। না কাঁদলে মাও দুধ দেন না। নির্বাচনের আগে দাবি পূরণের সম্ভাবনা আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ সরকারের হাতে, আমরা সরকারকে বলতে পারবো কিন্তু সরকারের বিপক্ষে যেতে পারবো না।
উল্লেখ্য, দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন ধরেই কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে সরকারি কলেজে বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন ।

‘বাংলাদেশ বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন -এর ৩ দফা দাবিসমূহ:

১। সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে।

২। চাকুরী রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের পূর্ব পর্যন্ত অর্থাৎ যোগদানের তারিখ হতে সরকারি বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন ভাতা দি প্রদান করতে হবে।

৩। বহুদিন যাবত অস্থায়ীভাবে কর্মরতদের ব্যতিরেকে নতুন নিয়োগ বন্ধ করতে হবে ও কর্মরতদের  অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করতে হবে।

কর্মবিরতি চলাকালে আরও অনেকেই বক্তব্য রাখেন,  এর মধ্যে সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের (সাধারণ  সম্পাদক) নূর মোহাম্মদ,  সৈয়দ নাসির আলী, মোহাম্মদ রেজওয়ানুর রহমান, সবুজ কুমার রায় ও অন্যান্য কর্মচারীবৃন্দ।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৪:৩২:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩
১৬৪ বার পড়া হয়েছে

সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের কর্মচারীবৃন্দের কর্ম বিরতি”

আপডেট : ০৪:৩২:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

বাংলাদেশে সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় কমিটির স্মারক নং: সকবেকই/২০২৩/০০০৪, তারিখ ০৩/১০/২০২৩ ইং বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক আলী মর্তুজা পনির (সভাপতি) ও মো: শাহ্ ওমর ফারুক (সাধারণ সম্পাদক) নির্দেশিত গত ৩০/০৯/২০২৩খ্রি. তারিখের কেন্দ্রীয় কমিটির সংবাদ সম্মেলনের কর্মসূচীর ঘোষণা ও ০২/১০/২০২৩ খ্রিঃ তারিখের ভার্চুয়াল সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ০৫ তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার হতে “বাংলাদেশে সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীদের চাকুরী রাজস্বখাতে স্থানাস্তর ও বহুদিন যাবৎ অস্থায়ীভাবে কর্মরতদের ব্যতিরেকে নতুন নিয়োগ বন্ধের দাবিতে” সারা বাংলাদেশে একযোগে সকল সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদের কর্মবিরতি কর্মসূচী পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নিম্নের নির্দেশনা মোতাবেক উক্ত কর্মসূচী সুষ্ঠ, সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও ফলপ্রসু করার জন্য প্রতিটি বিভাগের বিভাগীয় সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক/সাংগঠনিক সম্পাদকে তাঁর নিয়ন্ত্রনাধীন কলেজগুলোতে সতস্ফুর্তভাবে পালনের সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ রংপুর এর বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আব্দুল মতিন (বিভাগীয় সভাপতি) রংপুর বিভাগ,অফিস সহকারি, বেগম রোকেয়া কলেজ,রংপুর এবং এবং বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের সেক্রেটারি নূর মোহাম্মদ ( সাধারণ সম্পাদক) সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ রংপুর। এর নেতৃত্বে সকাল ১০.০০ টা হতে ১১.০০ টা পর্যন্ত কলেজের প্রধান ফটকের সামনে কলেজের সকল কর্মচারীদের নিয়ে এক ঘন্টা ব্যাপী কর্মবিরতি পালন করা হয়। তাদের কথামতো পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সকাল ১০:০০টা হতে ১১:০০টা পর্যন্ত কলেজের প্রধান ফটকের সামনে প্রতিদিন ১ ঘন্টা কর্মবিরতি অব্যহত থাকবে। দাবি আদায়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। সংগঠনের রংপুর বিভাগীয় সভাপতি মোঃ আব্দুল মতিন  বলেছেন, কর্মচারীরা  তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে সোচ্চার হয়েছে। আগামী  সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তা চলবে।
কী ধরণের কর্মসূচি আসতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সারাদেশে মানববন্ধন, কলম বিরতি, কালোব্যাচ ধারণ বা প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের মতো কর্মসূচি হতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমাদের পেটে ভাত নাই, বেতনের টাকা দিয়ে ১০দিনও চলে না। দাবি আদায়ে অনেক কান্নাকাটি করেছি, মাঝখানে বন্ধ ছিলো, আবারও কাঁদতে হবে। না কাঁদলে মাও দুধ দেন না। নির্বাচনের আগে দাবি পূরণের সম্ভাবনা আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ সরকারের হাতে, আমরা সরকারকে বলতে পারবো কিন্তু সরকারের বিপক্ষে যেতে পারবো না।
উল্লেখ্য, দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন ধরেই কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে সরকারি কলেজে বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন ।

‘বাংলাদেশ বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন -এর ৩ দফা দাবিসমূহ:

১। সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে।

২। চাকুরী রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের পূর্ব পর্যন্ত অর্থাৎ যোগদানের তারিখ হতে সরকারি বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন ভাতা দি প্রদান করতে হবে।

৩। বহুদিন যাবত অস্থায়ীভাবে কর্মরতদের ব্যতিরেকে নতুন নিয়োগ বন্ধ করতে হবে ও কর্মরতদের  অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করতে হবে।

কর্মবিরতি চলাকালে আরও অনেকেই বক্তব্য রাখেন,  এর মধ্যে সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের (সাধারণ  সম্পাদক) নূর মোহাম্মদ,  সৈয়দ নাসির আলী, মোহাম্মদ রেজওয়ানুর রহমান, সবুজ কুমার রায় ও অন্যান্য কর্মচারীবৃন্দ।