০৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

স্পেশাল অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড সামার গেমস-এ স্বর্ণপদক পেয়েও মেলেনি সংবর্ধনা

মো. জহিরুল ইসলাম লিটন, নান্দাইল উপজেলা প্রতিনিধি
সম্প্রতি জার্মানির বার্লিনে বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের স্পেশাল অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড সামার গেমসের ফুটবল দলের অধিনায়ক ও শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় হয়ে স্বর্ণপদক জিতে নেন বাক ও শ্রবণ শক্তিহীন স্বর্ণা আক্তার (১৪)। সে নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের বারুইগ্রাম গ্রামের দরিদ্র কৃষক নুরু মিয়ার (৫৫) মেয়ে। সেবা ফাউন্ডেশন পরিচালিত সেবা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের চর্তুথ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
গত ২৮ জুন স্বর্ণপদক নিয়ে দেশে ফিরলেও প্রশাসন থেকে  দেওয়া হয়নি কোন সংবর্ধনা,নেয়নি কোন খবর। অনেকটা  নিরবে নিভৃতে চলে গেল এক সপ্তাহ। এমন সফলতা অর্জন করে সংবর্ধনা না পাওয়ায় হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী  ও স্বর্ণার পরিবার ৷ জানা গেছে- স্পেশাল অলিম্পিক ওয়ার্ল্ড সামার গেইমস-২০২৩ ফুটবলের  চূড়ান্ত পর্বের খেলায় বাংলাদেশ ২-০ গোলে ইসরাইলকে হারিয়ে শিরোপা লাভ করে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। স্বর্ণা আক্তার সেই ফুটবল দলের অধিনায়ক এবং সেরা পারফরমার হিসাবেও স্বর্ণপদক বাগিয়ে নেয় ৷
নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবুল মনসুর  বলেন- আমরা বিষয়টি জানতাম না। এখন শুনেছি আজকেই (বৃহস্পতিবার)  মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে ফুলেল সংবর্ধনা ও আর্থিক সহযোগিতা করবো।
জানাগেছে- জানা যায়, জামার্নির বার্লিনে স্পেশাল অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড সামার গেমস গত ১৭ জুন শুরু হয়। এতে বিশ্বের ১৭০টি দেশ থেকে প্রায় ২৫ হাজার ক্রীড়াবিদ, কোচ এবং কর্মকর্তা ওই খেলায় যোগদান করেন। বাংলাদেশ থেকেও ৮১ জন ক্রীড়াবিদ ও কর্মকর্তাসহ ১১৩ সদেস্যের একটি প্রতিনিধিদল খেলায় অংশগ্রহণ করতে ১২ জুন ভোর ৫টায় কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিমানে করে জার্মানির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে। নান্দাইলের স্বর্ণা আক্তারও ওই খেলায় অংশ গ্রহণকারী নারী ফুটবল দলের একজন সদস্য। ওই গেমসে বাংলাদেশ দল সর্বমোট ১৩টি স্বর্ণ, দুটি রৌপ্য ও তিনটি ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে।
স্বর্ণার বাবা নুরু মিয়া বলেন- দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে স্বর্ণা তৃতীয় সন্তান। জন্ম থেকেই স্বর্ণা বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। আমার মেয়ের সফলতার জন্য আমরা গর্বিত। ছেড়িডা সোনার মেডেল আনছে ঘরে তো রাখার জায়গা নাই। ঘরডা ভাঙ্গা মেয়েডা ইশারা দিয়ে দেখায় যে কই রাখবো মেডেল।
স্বর্ণার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউর রহমান জানান, জার্মানি থেকে সোনার পদক নিয়ে গত ২৮ জুন সকালে ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণের পর নিজেদের ভাড়া করা গাড়িতে করে সরাসরি নিজ এলাকায় নিয়ে আসেন। ওই সময় কোনো ধরনের সহযোগিতা করা হয়নি।
নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবুল মনসুর মুঠোফোনে বলেন – মেয়েটিকে পার্সপোর্ট করার সময় সহযোগিতা করা হয়েছিল। কিন্তু জানতাম না এতড় সফলতা অর্জন করেছে। আমরা তার সাফল্যে খুবই গর্বিত।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৪:২৪:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩
৩৭৯ বার পড়া হয়েছে

স্পেশাল অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড সামার গেমস-এ স্বর্ণপদক পেয়েও মেলেনি সংবর্ধনা

আপডেট : ০৪:২৪:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩
সম্প্রতি জার্মানির বার্লিনে বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের স্পেশাল অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড সামার গেমসের ফুটবল দলের অধিনায়ক ও শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় হয়ে স্বর্ণপদক জিতে নেন বাক ও শ্রবণ শক্তিহীন স্বর্ণা আক্তার (১৪)। সে নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের বারুইগ্রাম গ্রামের দরিদ্র কৃষক নুরু মিয়ার (৫৫) মেয়ে। সেবা ফাউন্ডেশন পরিচালিত সেবা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের চর্তুথ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
গত ২৮ জুন স্বর্ণপদক নিয়ে দেশে ফিরলেও প্রশাসন থেকে  দেওয়া হয়নি কোন সংবর্ধনা,নেয়নি কোন খবর। অনেকটা  নিরবে নিভৃতে চলে গেল এক সপ্তাহ। এমন সফলতা অর্জন করে সংবর্ধনা না পাওয়ায় হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী  ও স্বর্ণার পরিবার ৷ জানা গেছে- স্পেশাল অলিম্পিক ওয়ার্ল্ড সামার গেইমস-২০২৩ ফুটবলের  চূড়ান্ত পর্বের খেলায় বাংলাদেশ ২-০ গোলে ইসরাইলকে হারিয়ে শিরোপা লাভ করে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। স্বর্ণা আক্তার সেই ফুটবল দলের অধিনায়ক এবং সেরা পারফরমার হিসাবেও স্বর্ণপদক বাগিয়ে নেয় ৷
নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবুল মনসুর  বলেন- আমরা বিষয়টি জানতাম না। এখন শুনেছি আজকেই (বৃহস্পতিবার)  মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে ফুলেল সংবর্ধনা ও আর্থিক সহযোগিতা করবো।
জানাগেছে- জানা যায়, জামার্নির বার্লিনে স্পেশাল অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড সামার গেমস গত ১৭ জুন শুরু হয়। এতে বিশ্বের ১৭০টি দেশ থেকে প্রায় ২৫ হাজার ক্রীড়াবিদ, কোচ এবং কর্মকর্তা ওই খেলায় যোগদান করেন। বাংলাদেশ থেকেও ৮১ জন ক্রীড়াবিদ ও কর্মকর্তাসহ ১১৩ সদেস্যের একটি প্রতিনিধিদল খেলায় অংশগ্রহণ করতে ১২ জুন ভোর ৫টায় কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিমানে করে জার্মানির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে। নান্দাইলের স্বর্ণা আক্তারও ওই খেলায় অংশ গ্রহণকারী নারী ফুটবল দলের একজন সদস্য। ওই গেমসে বাংলাদেশ দল সর্বমোট ১৩টি স্বর্ণ, দুটি রৌপ্য ও তিনটি ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে।
স্বর্ণার বাবা নুরু মিয়া বলেন- দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে স্বর্ণা তৃতীয় সন্তান। জন্ম থেকেই স্বর্ণা বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। আমার মেয়ের সফলতার জন্য আমরা গর্বিত। ছেড়িডা সোনার মেডেল আনছে ঘরে তো রাখার জায়গা নাই। ঘরডা ভাঙ্গা মেয়েডা ইশারা দিয়ে দেখায় যে কই রাখবো মেডেল।
স্বর্ণার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউর রহমান জানান, জার্মানি থেকে সোনার পদক নিয়ে গত ২৮ জুন সকালে ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণের পর নিজেদের ভাড়া করা গাড়িতে করে সরাসরি নিজ এলাকায় নিয়ে আসেন। ওই সময় কোনো ধরনের সহযোগিতা করা হয়নি।
নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবুল মনসুর মুঠোফোনে বলেন – মেয়েটিকে পার্সপোর্ট করার সময় সহযোগিতা করা হয়েছিল। কিন্তু জানতাম না এতড় সফলতা অর্জন করেছে। আমরা তার সাফল্যে খুবই গর্বিত।