১০:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

হিজড়াদের মূলধারায় আনতে সবার অংশগ্রহণ জরুরি

মো. ইমরান হোসেন মোল্লা
হিজড়া জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডারদেরকে সমাজের মূলধারায় নিয়ে যেতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ উদ্যোগ নিতে বিশেষজ্ঞরা তাগিদ দিচ্ছেন। সবার সহযোগিতাই পিছিয়ে পড়া হিজড়া জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় নিয়ে আসতে ও মানব সম্পদে পরিণত করতে পারে।
গতকাল বুধবার হিজড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে কাজ করা দুই সংগঠন ‘আশার আলো সোসাইটি’ এবং ‘দুর্জয় নারী সংঘ’ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে ‘ট্রান্সজেন্ডার ভিজিবিলিটি, রিপ্রেজেন্টেশন অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে।
গোলটেবিল বৈঠকে হিজড়াদের এনআইডি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান, চাকরি প্রাপ্তি, ঋণ সহায়তা, যাবতীয় কুসংস্কার দূরীকরণ, লিঙ্গবৈষম্য, শারীরিক গঠন, আবেগ/মানসিক স্বাস্থ্য, পরিবার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিচ্ছিন্নতা ঠেকানো, সহিংসতা ও অবিচার রোধসহ তাদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বক্তারা তাগিদ দেন। ‘ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া শব্দের ব্যবহার নিয়ে যে বিতর্ক আছে তার অবসান হওয়া দরকার। ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডারদের অন্যান্য ভাই-বোনদের মতো বাবা-মায়ের সম্পদ প্রাপ্তি নিশ্চিতে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে।
এসময় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডাররা পিছিয়ে আছে একথার সাথে আমি একমত নই। আমরা তাদেরকে পিছিয়ে দিয়েছি। এজন্য আমাদেরকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
ইউএনএফপিএ’র ডা. রোকসানা বলেন, হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডারদের কী চিকিৎসা দিতে হবে তা অনেক চিকিৎসক জানেন না। ওই চিকিৎসকদের প্রশিক্ষিত করতে হবে। এছাড়া জেন্ডার বৈষম্য দূর করতে হবে।
এছাড়া গোলটেবিল বৈঠকের  সঞ্চালনায় ছিলেন পিএলএইচআইভি নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ উদ্দিন মুন্না, আশার আলো সোসাইটি এর নির্বাহী প্রধান মো. আব্দুর রহমান ও উপ-নির্বাহী প্রধান কে. এস. এম. তারিক, ট্রান্সজেন্ডার উপস্থাপিকা অনিন্দিতা, দৈনিক আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদক মাইনুল ইসলাম, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির হাসান আহমেদ চৌধুরী ও ইউএনএইডস’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. সায়মা খান ।
ট্যাগস :
আপডেট : ০২:০২:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
৪২৭ বার পড়া হয়েছে

হিজড়াদের মূলধারায় আনতে সবার অংশগ্রহণ জরুরি

আপডেট : ০২:০২:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
হিজড়া জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডারদেরকে সমাজের মূলধারায় নিয়ে যেতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ উদ্যোগ নিতে বিশেষজ্ঞরা তাগিদ দিচ্ছেন। সবার সহযোগিতাই পিছিয়ে পড়া হিজড়া জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় নিয়ে আসতে ও মানব সম্পদে পরিণত করতে পারে।
গতকাল বুধবার হিজড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে কাজ করা দুই সংগঠন ‘আশার আলো সোসাইটি’ এবং ‘দুর্জয় নারী সংঘ’ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে ‘ট্রান্সজেন্ডার ভিজিবিলিটি, রিপ্রেজেন্টেশন অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে।
গোলটেবিল বৈঠকে হিজড়াদের এনআইডি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান, চাকরি প্রাপ্তি, ঋণ সহায়তা, যাবতীয় কুসংস্কার দূরীকরণ, লিঙ্গবৈষম্য, শারীরিক গঠন, আবেগ/মানসিক স্বাস্থ্য, পরিবার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিচ্ছিন্নতা ঠেকানো, সহিংসতা ও অবিচার রোধসহ তাদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বক্তারা তাগিদ দেন। ‘ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া শব্দের ব্যবহার নিয়ে যে বিতর্ক আছে তার অবসান হওয়া দরকার। ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডারদের অন্যান্য ভাই-বোনদের মতো বাবা-মায়ের সম্পদ প্রাপ্তি নিশ্চিতে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে।
এসময় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডাররা পিছিয়ে আছে একথার সাথে আমি একমত নই। আমরা তাদেরকে পিছিয়ে দিয়েছি। এজন্য আমাদেরকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
ইউএনএফপিএ’র ডা. রোকসানা বলেন, হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডারদের কী চিকিৎসা দিতে হবে তা অনেক চিকিৎসক জানেন না। ওই চিকিৎসকদের প্রশিক্ষিত করতে হবে। এছাড়া জেন্ডার বৈষম্য দূর করতে হবে।
এছাড়া গোলটেবিল বৈঠকের  সঞ্চালনায় ছিলেন পিএলএইচআইভি নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ উদ্দিন মুন্না, আশার আলো সোসাইটি এর নির্বাহী প্রধান মো. আব্দুর রহমান ও উপ-নির্বাহী প্রধান কে. এস. এম. তারিক, ট্রান্সজেন্ডার উপস্থাপিকা অনিন্দিতা, দৈনিক আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদক মাইনুল ইসলাম, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির হাসান আহমেদ চৌধুরী ও ইউএনএইডস’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. সায়মা খান ।