০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

৫ম আন্তজাতিক মেরিনটেক বাংলাদেশ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মাননীয় শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুুমায়ন এমপি হাত থেকে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন আনন্দ গ্রুপ এর নির্বাহী পরিচালক- ডঃ তারিকুল ইসলাম

রাজিব দে, জেলা প্রতিনিধি

দেশের শিপইয়ার্ডগুলো জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মৃতপ্রায় সরকারি ডকইয়ার্ড ও শিপইয়ার্ডগুলো নৌবাহিনীর হাতে দেওয়ায় সেগুলো এগিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি জাহাজ পুনঃ প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বাংলাদেশ পরিবেশগত, পেশাগত সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে উল্লেখ্যযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

শিল্পমন্ত্রী (২৮ জুলাই) ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রেজেন্টস ৫ম আন্তর্জাতিক মেরিনটেক বাংলাদেশ এক্সপো এন্ড ডায়ালগ-২০২৩ এর জাহাজ নির্মাণ, ব্রেকিং এবং গ্রিন শিপ রিসাইক্লিং সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ সরকার ‘জাহাজ ক্রেতা জাতি’ থেকে জাহাজ নির্মাণকারী জাতি’ হতে চায়। প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দর এলাকায় জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ মেরামতশিল্প গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রস্তাবিত এ প্রকল্প চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয় বা বিএসইসি পায়রা বন্দরসংলগ্ন এলাকায় জমির সংস্থান করবে এবং বিশ্বমানের জাহাজ নির্মাণ কারখানা স্থাপনে সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

এক্সপোনেট এক্সিবিশন এর উদ্যোগে ও নৌপরিবহণ দপ্তরের সহযোগিতায় আয়োজিত কনফারেন্সে জনাব মজিদ আরো বলেন, মন্ত্রণালয় ২০২৩ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থা (আইএমও) প্রবর্তিত দি হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দি সেফ এন্ড এনভায়রনমেন্টালি সাউন্ড রিসাইক্লিং অব শিপন, ২০০৯ (দি হংকং কনভেনশন) অনুমোদন করবে। এ শিল্পের আধুনিকায়ন এবং সমুদ্র ও শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নত দেশগুলোর প্রতি কারিগরি, প্রযুক্তিগত ও টেকসই বিনিয়োগ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

গ্লোবাল শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রির হিসাবে ভারত, বাংলাদেশ, চীন এবং পাকিস্তানের বাজারের শেয়ার সবচেয়ে বেশি এবং শিপ রিসাইক্লিং ব্যবসার জন্য গ্লোবাল সেন্টার হিসেবে বিবেচিত হয়। সেশনটিতে বাংলাদেশের জাহাজ রিসাইক্লিং শিল্পের বর্তমান অবস্থা এবং এইচকেসি কনভেনশন বা ইইউ শিপিং শিল্প কীভাবে বাংলাদেশে জাহাজ পুনর্ব্যবহারযোগ্য সুবিধার সুবিধা নিতে পারে এবং অংশীদারিত্ব বাড়াতে পারে সে বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মোঃ আল-আমিন, নেভাল আর্কিটেক্ট কবির গ্রুপের গ্রিন প্লান্ট হেড।

সবুজ জাহাজ নির্মাণের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড তরিকুল ইসলাম, নেভাল আর্কিটেক্ট অ্যান্ড মেরিন (বুয়েট), পিএইচডি, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, আনন্দ গ্রুপ। এছাড়া মোঃ মমিনুর রশীদ, উপসচিব, (জাহাজ পুনর্ব্যবহারযোগ্য), (প্রাইভেট সেক্টর ও বিআইএম), শিল্প মন্ত্রণালয় বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম প্রধান দেশ। বাংলাদেশে ১৬৭টি জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ ইয়ার্ড রয়েছে। এসব ইয়ার্ড বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলাতে অবস্থিত। তবে, কার্যকর ইয়ার্ড হচ্ছে ৫০টি। বাংলাদেশের জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ সক্ষমতা বছরে ১০ মিলিয়ন মেট্রিক টনেরও অধিক। বাংলাদেশের ইয়ার্ডগুলি পৃথিবীর ৫২ দশমিক ৪ শতাংশ জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ করে থাকে ।

ট্যাগস :
আপডেট : ০২:০২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩
১৭২ বার পড়া হয়েছে

৫ম আন্তজাতিক মেরিনটেক বাংলাদেশ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মাননীয় শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুুমায়ন এমপি হাত থেকে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন আনন্দ গ্রুপ এর নির্বাহী পরিচালক- ডঃ তারিকুল ইসলাম

আপডেট : ০২:০২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩

দেশের শিপইয়ার্ডগুলো জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মৃতপ্রায় সরকারি ডকইয়ার্ড ও শিপইয়ার্ডগুলো নৌবাহিনীর হাতে দেওয়ায় সেগুলো এগিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি জাহাজ পুনঃ প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বাংলাদেশ পরিবেশগত, পেশাগত সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে উল্লেখ্যযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

শিল্পমন্ত্রী (২৮ জুলাই) ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রেজেন্টস ৫ম আন্তর্জাতিক মেরিনটেক বাংলাদেশ এক্সপো এন্ড ডায়ালগ-২০২৩ এর জাহাজ নির্মাণ, ব্রেকিং এবং গ্রিন শিপ রিসাইক্লিং সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ সরকার ‘জাহাজ ক্রেতা জাতি’ থেকে জাহাজ নির্মাণকারী জাতি’ হতে চায়। প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দর এলাকায় জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ মেরামতশিল্প গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রস্তাবিত এ প্রকল্প চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয় বা বিএসইসি পায়রা বন্দরসংলগ্ন এলাকায় জমির সংস্থান করবে এবং বিশ্বমানের জাহাজ নির্মাণ কারখানা স্থাপনে সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

এক্সপোনেট এক্সিবিশন এর উদ্যোগে ও নৌপরিবহণ দপ্তরের সহযোগিতায় আয়োজিত কনফারেন্সে জনাব মজিদ আরো বলেন, মন্ত্রণালয় ২০২৩ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থা (আইএমও) প্রবর্তিত দি হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দি সেফ এন্ড এনভায়রনমেন্টালি সাউন্ড রিসাইক্লিং অব শিপন, ২০০৯ (দি হংকং কনভেনশন) অনুমোদন করবে। এ শিল্পের আধুনিকায়ন এবং সমুদ্র ও শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নত দেশগুলোর প্রতি কারিগরি, প্রযুক্তিগত ও টেকসই বিনিয়োগ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

গ্লোবাল শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রির হিসাবে ভারত, বাংলাদেশ, চীন এবং পাকিস্তানের বাজারের শেয়ার সবচেয়ে বেশি এবং শিপ রিসাইক্লিং ব্যবসার জন্য গ্লোবাল সেন্টার হিসেবে বিবেচিত হয়। সেশনটিতে বাংলাদেশের জাহাজ রিসাইক্লিং শিল্পের বর্তমান অবস্থা এবং এইচকেসি কনভেনশন বা ইইউ শিপিং শিল্প কীভাবে বাংলাদেশে জাহাজ পুনর্ব্যবহারযোগ্য সুবিধার সুবিধা নিতে পারে এবং অংশীদারিত্ব বাড়াতে পারে সে বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মোঃ আল-আমিন, নেভাল আর্কিটেক্ট কবির গ্রুপের গ্রিন প্লান্ট হেড।

সবুজ জাহাজ নির্মাণের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড তরিকুল ইসলাম, নেভাল আর্কিটেক্ট অ্যান্ড মেরিন (বুয়েট), পিএইচডি, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, আনন্দ গ্রুপ। এছাড়া মোঃ মমিনুর রশীদ, উপসচিব, (জাহাজ পুনর্ব্যবহারযোগ্য), (প্রাইভেট সেক্টর ও বিআইএম), শিল্প মন্ত্রণালয় বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম প্রধান দেশ। বাংলাদেশে ১৬৭টি জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ ইয়ার্ড রয়েছে। এসব ইয়ার্ড বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলাতে অবস্থিত। তবে, কার্যকর ইয়ার্ড হচ্ছে ৫০টি। বাংলাদেশের জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ সক্ষমতা বছরে ১০ মিলিয়ন মেট্রিক টনেরও অধিক। বাংলাদেশের ইয়ার্ডগুলি পৃথিবীর ৫২ দশমিক ৪ শতাংশ জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ করে থাকে ।