১১:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

আজ ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস

বিশেষ প্রতিবেদন, ফয়সাল আহাম্মেদ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর
দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় এই দিনটিতে ৪জন মুক্তিযোদ্ধা বীর সৈনিকদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয় এই ৩ নভেম্বরের রাতে।

 

আজ ৩রা নভেম্বর ২০২৩ শুক্রবার ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস স্মরণসভা শুরু হয়।

সকাল ৬টায়: বঙ্গভবন ও কেন্দ্রীয় কার্যালয় সহ সকল সংগঠনের শাখা জাতীয় দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাজ ধারণ করে শ্রদ্ধা ও সালাম জানানো হয় চার বীর সৈনিক শহীদের প্রতি..।

সকাল ৭টায়: বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি,প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সহ দলের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা পুস্পার্য অর্পণ করেন।
সাথে সকাল ৮টায় দলের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা বনানী কবরস্থানে ১৫ই আগস্ট এর শহীদ ও জাতির নেতাদের পুষ্পার্য অর্পণ,ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত করেন।

তারপর স্মরণ সভা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রীয়তে বিকাল ৩টায় শোক সভা সম্মেলন শুরু হয় এবং স্থানের যোগদান প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সহ আওয়ামী লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ অন্যান্য দলের অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা কর্মীরা।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু (শেখ মুজিবুর রহমান) কে ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে সপরিবারে নিশংসভাবে হত্যা করা হয়।
হত্যার পরপর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি পদে নিজেকে সামরিক শাসন জারি করে। বাণিজ্যমন্ত্রী (খন্দকার মোস্তাক আহাম্মেদ) তারপর ২২ শে আগস্ট মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে গ্রেফতার করে।
পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে দুই মাস ২৩ দিন কারাগারে রাখার পর একই বছরের ৩ নভেম্বর গভীর রাতে (৪টা অথবা ৪টা ৩৫)এ খুনিচক্র সেনা সদস্যরা দেশ ত্যাগ করার পূর্বে অন্ধকার (খন্দকার মোস্তাক আহমেদ) এর অনুমতি নিয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে অভ্যন্তরে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে এবং বন্দী অবস্থায় জাতীয় চার নেতা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বেদানকারি তৎকালীন। ১.সৈয়দ নজরুল ইসলাম ২.তাজউদ্দীন আহমদ ৩.ক্যাপ্টেন এম, মনসুর আলী ৪.এ এইচ এম কামরুজ্জামান কে  গুলি করে ও বেইনেত দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নিশংস ভাবে হত্যা করে।
পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যাকাণ্ডের পরের দিন ৪ঠা নভেম্বর তৎকালীন কারা বিভাগের উপমহাপরিদর্শক (কাজী আব্দুল আউয়াল) লালবাগ থানায় বাদী হয়ে চার নেতার হত্যাকাণ্ডের মামলা করেন ।
মামলার এজাহারে বলা হয় যে, রিসালদার মোসলেম উদ্দিন এর নেতৃত্বে চার পাঁচ জন সদস্য কারাগারে ঢুকে চার নেতাকে হত্যা করেন। হত্যার পর বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। ঘটনার পরদিন মামলা করা হলেও এই মামলার তদন্ত থেমেছিল ২১ বছর। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও জেলহত্যা মামলার বিচার কাজ শুরু করা হয়। টানা আট বছর বিচার চলার পর ২০০৪ সালের ৩ জানুয়ারি এর বিচার কাজ শেষ হয়। ৯ মাস পর ২০০৪ সালের ২০শে অক্টোবর রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে আদালত তিনজন পলাতক সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড, ১২ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচজনকে খালাস প্রদান করে।
২০০৮ সালের ২৮শে আগস্ট বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ জেলহত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছয়জন সামরিক কর্মকর্তাকে খালাস দেয়। খালাসীদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা এবং এ কে এম মহিউদ্দীন আহমেদকে ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৮:০১:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০২৩
১৫৯ বার পড়া হয়েছে

আজ ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস

আপডেট : ০৮:০১:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০২৩

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর
দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় এই দিনটিতে ৪জন মুক্তিযোদ্ধা বীর সৈনিকদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয় এই ৩ নভেম্বরের রাতে।

 

আজ ৩রা নভেম্বর ২০২৩ শুক্রবার ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস স্মরণসভা শুরু হয়।

সকাল ৬টায়: বঙ্গভবন ও কেন্দ্রীয় কার্যালয় সহ সকল সংগঠনের শাখা জাতীয় দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাজ ধারণ করে শ্রদ্ধা ও সালাম জানানো হয় চার বীর সৈনিক শহীদের প্রতি..।

সকাল ৭টায়: বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি,প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সহ দলের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা পুস্পার্য অর্পণ করেন।
সাথে সকাল ৮টায় দলের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা বনানী কবরস্থানে ১৫ই আগস্ট এর শহীদ ও জাতির নেতাদের পুষ্পার্য অর্পণ,ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত করেন।

তারপর স্মরণ সভা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রীয়তে বিকাল ৩টায় শোক সভা সম্মেলন শুরু হয় এবং স্থানের যোগদান প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সহ আওয়ামী লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ অন্যান্য দলের অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা কর্মীরা।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু (শেখ মুজিবুর রহমান) কে ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে সপরিবারে নিশংসভাবে হত্যা করা হয়।
হত্যার পরপর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি পদে নিজেকে সামরিক শাসন জারি করে। বাণিজ্যমন্ত্রী (খন্দকার মোস্তাক আহাম্মেদ) তারপর ২২ শে আগস্ট মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে গ্রেফতার করে।
পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে দুই মাস ২৩ দিন কারাগারে রাখার পর একই বছরের ৩ নভেম্বর গভীর রাতে (৪টা অথবা ৪টা ৩৫)এ খুনিচক্র সেনা সদস্যরা দেশ ত্যাগ করার পূর্বে অন্ধকার (খন্দকার মোস্তাক আহমেদ) এর অনুমতি নিয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে অভ্যন্তরে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে এবং বন্দী অবস্থায় জাতীয় চার নেতা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বেদানকারি তৎকালীন। ১.সৈয়দ নজরুল ইসলাম ২.তাজউদ্দীন আহমদ ৩.ক্যাপ্টেন এম, মনসুর আলী ৪.এ এইচ এম কামরুজ্জামান কে  গুলি করে ও বেইনেত দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নিশংস ভাবে হত্যা করে।
পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যাকাণ্ডের পরের দিন ৪ঠা নভেম্বর তৎকালীন কারা বিভাগের উপমহাপরিদর্শক (কাজী আব্দুল আউয়াল) লালবাগ থানায় বাদী হয়ে চার নেতার হত্যাকাণ্ডের মামলা করেন ।
মামলার এজাহারে বলা হয় যে, রিসালদার মোসলেম উদ্দিন এর নেতৃত্বে চার পাঁচ জন সদস্য কারাগারে ঢুকে চার নেতাকে হত্যা করেন। হত্যার পর বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। ঘটনার পরদিন মামলা করা হলেও এই মামলার তদন্ত থেমেছিল ২১ বছর। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও জেলহত্যা মামলার বিচার কাজ শুরু করা হয়। টানা আট বছর বিচার চলার পর ২০০৪ সালের ৩ জানুয়ারি এর বিচার কাজ শেষ হয়। ৯ মাস পর ২০০৪ সালের ২০শে অক্টোবর রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে আদালত তিনজন পলাতক সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড, ১২ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচজনকে খালাস প্রদান করে।
২০০৮ সালের ২৮শে আগস্ট বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ জেলহত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছয়জন সামরিক কর্মকর্তাকে খালাস দেয়। খালাসীদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা এবং এ কে এম মহিউদ্দীন আহমেদকে ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।