০২:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

কবর খুঁড়ে ১২ বছর ধরে মৃত্যুর অপেক্ষায় দম্পতি

মো.সম্রাট হোসাইন,পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ে পীরের নির্দেশে ঘরের ভিতর কবর খুঁড়ে ১২ বছর ধরে মৃত্যুর অপেক্ষায় শত বছর বয়সী এক দম্পতি।কবর খননের বিষয়টি রীতিমতো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।আশপাশের এলাকার মানুষও আসছে দেখার জন্য। কী কারণে তিনি জীবিত অবস্থায় নিজের কবর খুঁড়েছেন সেটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে জেগেছে কৌতূহল।তবে মাথা ব্যাথা নেই তাদের।এই দম্পতির বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের উত্তর ভাটিয়া পাড়া গ্রামের মৃত ঈমান আলীর ছেলে মো.ভাজন আলী (১০১) ও তার স্ত্রী মোছা.অবিরন (৭৬)।জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তাঁর বয়স ১০১ হলেও ভাজন আলীর দাবি, তাঁর বয়স ১১৫ বছর।
মো.ভাজন আলী বলেন,যুদ্ধের দুই বছর পরে বাবার মৃত্যু হয়।এর আগে তিনি কবরের জায়গা নির্ধারন করে দেন। তিনি বলে গেছেন আমার পাশে তোমাদের দুজনের যেন কবর দেয়া হয়।
মুহাম্মদ ছাইফুদ্দীন নকশাবন্দী মুজাদ্দেদী এনায়েতপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ময়মনসিংহ শম্ভুগঞ্জি পীরের মুরিদান ভাজন আলী।তরিকার খেলাফতের দায়িত্ব দেয়া হয় তাকে।ভাজন আলী বলেন,পীর বাবা বলে গেছেন কবর খুঁড়ে মাজার করে রাখতে।পরে গত বারো বছর পূর্বে স্ত্রীসহ নিজের কবর খুঁড়ে রেখেছি।
ভাজন আলীর পঞ্চগড়ে রয়েছে সাড়ে তিনশ মুরিদান নিজেকে তিনি পীর বলেও দাবী করেন।কবর খোঁড়ার পর কবরের চারপাশে পাকা করে মাজার করা হয়েছে।পাশের ঘরে নামাজ আদায় মিলাদ মাহফিলসহ বসবাস করা হয়।
ভাজন আলী আরও বলেন,মৃত্যুর পর আমার স্বজনেরা যাতে বাড়ির পাশের খননকৃত কবরে আমাকে দাফন করে সে কথাও তাদের বলে যাচ্ছি সব সময়।
সন্তানদের বিষয়ে জানতে চাইলে মোছা.অবিরন বলেন, তাঁদের তিন ছেলে ও পাঁচ মেয়ের মধ্যে এক মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।সবার বিয়ে হয়ে অন্যত্র থাকে তারা।ছেলে আব্দুল জলিল বলেন,পীরের ইচ্ছায় আমার বাবা মা ঘরের ভিতর কবর খুঁড়ে রেখেছেন।শুনেছি দাদাও বলে গেছেন তার পাশে যেন তাদের কবর হয়।
সরকার পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো.আলমগীর হোসেন বলেন,মৃত্যুর আগে কবর খুঁড়ে রাখার বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।আমিও দেখতে গিয়েছি।তবে কী কারণে কবর খুঁড়ে রেখেছেন তা জানতে পারিনি।
এ বিষয়ে মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ সুলতান মাহমুদ বলেন,ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি সঠিক নয়।মৃত্যুর পর তাঁর স্বজনেরা কবর খুঁড়ে দাফন-কাফন করবে এটাই বাস্তব।তবে জায়গা নির্ধারণ করে দিতে পারেন।
ট্যাগস :
আপডেট : ০২:১৬:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
২৪৩ বার পড়া হয়েছে

কবর খুঁড়ে ১২ বছর ধরে মৃত্যুর অপেক্ষায় দম্পতি

আপডেট : ০২:১৬:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
পঞ্চগড়ে পীরের নির্দেশে ঘরের ভিতর কবর খুঁড়ে ১২ বছর ধরে মৃত্যুর অপেক্ষায় শত বছর বয়সী এক দম্পতি।কবর খননের বিষয়টি রীতিমতো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।আশপাশের এলাকার মানুষও আসছে দেখার জন্য। কী কারণে তিনি জীবিত অবস্থায় নিজের কবর খুঁড়েছেন সেটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে জেগেছে কৌতূহল।তবে মাথা ব্যাথা নেই তাদের।এই দম্পতির বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের উত্তর ভাটিয়া পাড়া গ্রামের মৃত ঈমান আলীর ছেলে মো.ভাজন আলী (১০১) ও তার স্ত্রী মোছা.অবিরন (৭৬)।জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তাঁর বয়স ১০১ হলেও ভাজন আলীর দাবি, তাঁর বয়স ১১৫ বছর।
মো.ভাজন আলী বলেন,যুদ্ধের দুই বছর পরে বাবার মৃত্যু হয়।এর আগে তিনি কবরের জায়গা নির্ধারন করে দেন। তিনি বলে গেছেন আমার পাশে তোমাদের দুজনের যেন কবর দেয়া হয়।
মুহাম্মদ ছাইফুদ্দীন নকশাবন্দী মুজাদ্দেদী এনায়েতপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ময়মনসিংহ শম্ভুগঞ্জি পীরের মুরিদান ভাজন আলী।তরিকার খেলাফতের দায়িত্ব দেয়া হয় তাকে।ভাজন আলী বলেন,পীর বাবা বলে গেছেন কবর খুঁড়ে মাজার করে রাখতে।পরে গত বারো বছর পূর্বে স্ত্রীসহ নিজের কবর খুঁড়ে রেখেছি।
ভাজন আলীর পঞ্চগড়ে রয়েছে সাড়ে তিনশ মুরিদান নিজেকে তিনি পীর বলেও দাবী করেন।কবর খোঁড়ার পর কবরের চারপাশে পাকা করে মাজার করা হয়েছে।পাশের ঘরে নামাজ আদায় মিলাদ মাহফিলসহ বসবাস করা হয়।
ভাজন আলী আরও বলেন,মৃত্যুর পর আমার স্বজনেরা যাতে বাড়ির পাশের খননকৃত কবরে আমাকে দাফন করে সে কথাও তাদের বলে যাচ্ছি সব সময়।
সন্তানদের বিষয়ে জানতে চাইলে মোছা.অবিরন বলেন, তাঁদের তিন ছেলে ও পাঁচ মেয়ের মধ্যে এক মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।সবার বিয়ে হয়ে অন্যত্র থাকে তারা।ছেলে আব্দুল জলিল বলেন,পীরের ইচ্ছায় আমার বাবা মা ঘরের ভিতর কবর খুঁড়ে রেখেছেন।শুনেছি দাদাও বলে গেছেন তার পাশে যেন তাদের কবর হয়।
সরকার পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো.আলমগীর হোসেন বলেন,মৃত্যুর আগে কবর খুঁড়ে রাখার বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।আমিও দেখতে গিয়েছি।তবে কী কারণে কবর খুঁড়ে রেখেছেন তা জানতে পারিনি।
এ বিষয়ে মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ সুলতান মাহমুদ বলেন,ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি সঠিক নয়।মৃত্যুর পর তাঁর স্বজনেরা কবর খুঁড়ে দাফন-কাফন করবে এটাই বাস্তব।তবে জায়গা নির্ধারণ করে দিতে পারেন।