০৯:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

কেরানীগঞ্জের বহুল আলোচিত রাসেল হত্যার নতুক করে ফের আলোচনায় 

হৃদয় ইসলাম, ক্রাইম রিপোর্টার
কেরানীগঞ্জের বহুল আলোচিত রাসেল হত্যার আসামীদের ফাঁসির দাবিতে আজ সকাল ১০টায়  জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তার পরিবার  মানববন্ধন করেন। রাসেলের স্ত্রী জানান এই মামলার প্রধান আসামী  আফতাব উদ্দিন রাব্বী জামিনে বের হয়ে। বিভিন্ন লোকজন দিয়ে  মোবাইল ফোনের মাধ্যমে  হত্যার করে ফেলা ও মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এ মানববন্ধনে   উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন পত্রপত্রিকার সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতাসহ মানবাধিকার  কর্মীরা তারা জানান কেরানীগঞ্জের বহুল আলোচিত রাসেল হত্যার প্রধান আসামী আফতাব উদ্দিন  রাব্বীসহ সকলের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকার কেরানীগঞ্জে বহুল আলোচিত ‘রাসেল হতার ঘটনা অনেক নির্মমতাকে হার মানিয়েছে। মামলার মূল পরিকল্পনাকারী শুভাড্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ‘আব্বা বাহিনীর’ প্রধান হার্জী মোঃ ইকবাল হোসেন আজও ধরাছোঁয়ার বাইরে। ‘আব্বা বাহিনীর’ কাজ হচ্ছে ইকবাল চেয়ারম্যানের স্বার্থও মতের বিরুদ্ধে গেলে তাকে টর্চার সেলে নিয়ে নির্জাতন করা ও হত্যা করা। শুভাড্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী ইকবাল হোসেনের পালিত সন্ত্রাসীরা আব্বা বাহিনীর সদস্যরা ১০ জানুয়ারী/২০২৪ ইং রাত ১০ টার সময় ইকবাল চেয়ারম্যানের ভাতিজা রাব্বী  ও আরও ২০ থেকে ২৫ জন সাইফুল ইসলাম রাসেলকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে। ইকবাল চেয়ারম্যানের সাথে এই রাসেল এক সময় কাজ করতো ও তার আজ্ঞাবহ ছিল। তবে চেয়ারম্যানের সকল কুকর্ম ও নারী কেলেঙ্কারী রাসেল এক সময় জানতে পারে। এই জানতে পারাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।
হত্যার পর দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা নং ১৩ তারিখ ১১-০১-২০২৪ ধারা ৩০২/৩৪ পেনাল কোড দায়ের করা হয়। অভিযোগ রয়েছে পুলিশ শুরু থেকে মূল আসামী চেয়ারম্যানের ভাতিজা আফতাব উদ্দিন  রাব্বিকে ‘না ধরা ও আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার ক্ষেএে পক্ষপাতিত্ব করছে। সুভাঢ্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তার আব্বা বাহিনী নামক টর্চার সেলে এ পর্যন্ত প্রচুর লোককে নির্যাতন করেছে। রাসেল হত্যার পর বিষয়টি প্রকাশিত হয়। রাসেল হত্যার পর আসামিদের গ্রেপ্তার ও আইনী ব্যবস্থার বিষয়ে অনেক মানববন্ধন ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে পুলিশ কিছু আসামী গ্রেপ্তার করে। আসামীদের অনেকে দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। তবে মাত ২ থেকে ৩ মাস জেলে থাকার পর মূল আসামীসহ অনেকে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে আসে। কয়েক কোটি টাকা খরচ করে আসামীরা আদালত থেকে জামিন নেয় বলে জানা গেছে। বাদীপক্ষের অভিযোগ রাসেল হত্যায় যারা জড়িত তাদের অনেককে আসামী করা হয় নাই। তারা নিহত রাসেলের স্ত্রীকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে রাসেলের স্ত্রী থানায় জিডি করতে বাধ্য হন। প্রাথমিক অবস্থায় ধারণা করা হয়েছিল রাসেল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী সুভাঢ্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ ইকবাল হোসেন।
তবে সম্প্রতি দেখা যায় রাসেল হত্যা মামলার আসামীরা জামিনে বের হয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী শাহীনের নির্বাচনি কর্মকান্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করছে। অর্থাৎ  হত্যা মামলার আসামী মুল আসামী রাব্বির চাচা ইকবাল চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সকলে একই সুতার গাথা। নিহত রাসেলের পরিবার ও যারা  ইকবাল চেয়ারম্যানের আব্বা বহিনীর’ নির্যাতনের শিকার তারা সকল আসামীর জামিন বাতিলের দাবি জানায় এবং ইকবাল চেয়ারম্যানসহ শাহীন চেয়ারম্যানকেও এই মামলার আসামী করার দাবি জানায়। প্রধানমন্ত্রী কাছে  রাসেলের স্ত্রী  সকল আসামীদে ফাঁসির দাবি জানান।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৩:২০:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪
৪৫ বার পড়া হয়েছে

কেরানীগঞ্জের বহুল আলোচিত রাসেল হত্যার নতুক করে ফের আলোচনায় 

আপডেট : ০৩:২০:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪
কেরানীগঞ্জের বহুল আলোচিত রাসেল হত্যার আসামীদের ফাঁসির দাবিতে আজ সকাল ১০টায়  জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তার পরিবার  মানববন্ধন করেন। রাসেলের স্ত্রী জানান এই মামলার প্রধান আসামী  আফতাব উদ্দিন রাব্বী জামিনে বের হয়ে। বিভিন্ন লোকজন দিয়ে  মোবাইল ফোনের মাধ্যমে  হত্যার করে ফেলা ও মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এ মানববন্ধনে   উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন পত্রপত্রিকার সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতাসহ মানবাধিকার  কর্মীরা তারা জানান কেরানীগঞ্জের বহুল আলোচিত রাসেল হত্যার প্রধান আসামী আফতাব উদ্দিন  রাব্বীসহ সকলের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকার কেরানীগঞ্জে বহুল আলোচিত ‘রাসেল হতার ঘটনা অনেক নির্মমতাকে হার মানিয়েছে। মামলার মূল পরিকল্পনাকারী শুভাড্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ‘আব্বা বাহিনীর’ প্রধান হার্জী মোঃ ইকবাল হোসেন আজও ধরাছোঁয়ার বাইরে। ‘আব্বা বাহিনীর’ কাজ হচ্ছে ইকবাল চেয়ারম্যানের স্বার্থও মতের বিরুদ্ধে গেলে তাকে টর্চার সেলে নিয়ে নির্জাতন করা ও হত্যা করা। শুভাড্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী ইকবাল হোসেনের পালিত সন্ত্রাসীরা আব্বা বাহিনীর সদস্যরা ১০ জানুয়ারী/২০২৪ ইং রাত ১০ টার সময় ইকবাল চেয়ারম্যানের ভাতিজা রাব্বী  ও আরও ২০ থেকে ২৫ জন সাইফুল ইসলাম রাসেলকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে। ইকবাল চেয়ারম্যানের সাথে এই রাসেল এক সময় কাজ করতো ও তার আজ্ঞাবহ ছিল। তবে চেয়ারম্যানের সকল কুকর্ম ও নারী কেলেঙ্কারী রাসেল এক সময় জানতে পারে। এই জানতে পারাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।
হত্যার পর দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা নং ১৩ তারিখ ১১-০১-২০২৪ ধারা ৩০২/৩৪ পেনাল কোড দায়ের করা হয়। অভিযোগ রয়েছে পুলিশ শুরু থেকে মূল আসামী চেয়ারম্যানের ভাতিজা আফতাব উদ্দিন  রাব্বিকে ‘না ধরা ও আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার ক্ষেএে পক্ষপাতিত্ব করছে। সুভাঢ্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তার আব্বা বাহিনী নামক টর্চার সেলে এ পর্যন্ত প্রচুর লোককে নির্যাতন করেছে। রাসেল হত্যার পর বিষয়টি প্রকাশিত হয়। রাসেল হত্যার পর আসামিদের গ্রেপ্তার ও আইনী ব্যবস্থার বিষয়ে অনেক মানববন্ধন ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে পুলিশ কিছু আসামী গ্রেপ্তার করে। আসামীদের অনেকে দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। তবে মাত ২ থেকে ৩ মাস জেলে থাকার পর মূল আসামীসহ অনেকে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে আসে। কয়েক কোটি টাকা খরচ করে আসামীরা আদালত থেকে জামিন নেয় বলে জানা গেছে। বাদীপক্ষের অভিযোগ রাসেল হত্যায় যারা জড়িত তাদের অনেককে আসামী করা হয় নাই। তারা নিহত রাসেলের স্ত্রীকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে রাসেলের স্ত্রী থানায় জিডি করতে বাধ্য হন। প্রাথমিক অবস্থায় ধারণা করা হয়েছিল রাসেল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী সুভাঢ্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ ইকবাল হোসেন।
তবে সম্প্রতি দেখা যায় রাসেল হত্যা মামলার আসামীরা জামিনে বের হয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী শাহীনের নির্বাচনি কর্মকান্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করছে। অর্থাৎ  হত্যা মামলার আসামী মুল আসামী রাব্বির চাচা ইকবাল চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সকলে একই সুতার গাথা। নিহত রাসেলের পরিবার ও যারা  ইকবাল চেয়ারম্যানের আব্বা বহিনীর’ নির্যাতনের শিকার তারা সকল আসামীর জামিন বাতিলের দাবি জানায় এবং ইকবাল চেয়ারম্যানসহ শাহীন চেয়ারম্যানকেও এই মামলার আসামী করার দাবি জানায়। প্রধানমন্ত্রী কাছে  রাসেলের স্ত্রী  সকল আসামীদে ফাঁসির দাবি জানান।