০৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

হিট স্ট্রোকের ঝুকিতে বৃদ্ধ, শিশু ও খেটেখাওয়া মানুষ

অনলাইন ডেস্ক

দেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষ। বিশেষ করে বৃদ্ধ, শিশু এবং খেটেখাওয়া মানুষের কষ্ট সীমাহীন। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। হিট স্ট্রোকে মৃত্যুও থেমে নেই-এতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শ্রমজীবীরা। প্রচণ্ড রোদে বাইরে কাজ করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। বুধবার হিট স্ট্রোকে আরও ৮ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে ৬ জনই শ্রমিক। চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় নিজ মরিচখেতে কাজ করার সময় সামশুল আলম নামে একজনের মৃত্যু হয়। ভোলার চরফ্যাশনে মোটরসাইকেলচালক মিরাজ হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে মারা যান। বরগুনার তালতলীতে পুকুর খননের সময় হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয় আরেক শ্রমিক মো. নয়া মিয়া ফকিরের। এছাড়া কুমিল্লার বুড়িচং ও বরিশালের আগৈলঝাড়ায় দুই শ্রমিক, বগুড়ার শেরপুরে কৃষক, কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বৃদ্ধ ও রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এক শিক্ষক হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।

এদিকে তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির আশায় কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, ফরিদপুর, ঝিনাইদহ, ফেনী, জয়পুরহাট, রাজবাড়ী ও বরিশালে নামাজ পড়েছেন স্থানীয়রা। পরে আল্লাহর রহমত কামনা করে দাবদাহ থেকে মুক্তি এবং বৃষ্টির জন্য মোনাজাত করা হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার মোংলায় সর্বোচ্চ ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। খুলনা বিভাগের জেলাগুলোসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এসব জেলায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। বাকি জেলাগুলোতে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ছিল। আজও একই অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্য থাকায় মানুষের শরীরে বেশি অস্বস্তি লাগছে। অনেকে এই অস্বস্তি সহ্য করতে পারেন না। আবহাওয়ার পূর্বাভাস সম্পর্কে তিনি জানান, আজ অস্থায়ীভাবে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। বুধবারের মতো আজও তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকবে। সিলেট অঞ্চল ছাড়া আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বেশি বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৯:৩৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১১ বার পড়া হয়েছে

হিট স্ট্রোকের ঝুকিতে বৃদ্ধ, শিশু ও খেটেখাওয়া মানুষ

আপডেট : ০৯:৩৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

দেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষ। বিশেষ করে বৃদ্ধ, শিশু এবং খেটেখাওয়া মানুষের কষ্ট সীমাহীন। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। হিট স্ট্রোকে মৃত্যুও থেমে নেই-এতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শ্রমজীবীরা। প্রচণ্ড রোদে বাইরে কাজ করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। বুধবার হিট স্ট্রোকে আরও ৮ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে ৬ জনই শ্রমিক। চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় নিজ মরিচখেতে কাজ করার সময় সামশুল আলম নামে একজনের মৃত্যু হয়। ভোলার চরফ্যাশনে মোটরসাইকেলচালক মিরাজ হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে মারা যান। বরগুনার তালতলীতে পুকুর খননের সময় হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয় আরেক শ্রমিক মো. নয়া মিয়া ফকিরের। এছাড়া কুমিল্লার বুড়িচং ও বরিশালের আগৈলঝাড়ায় দুই শ্রমিক, বগুড়ার শেরপুরে কৃষক, কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বৃদ্ধ ও রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এক শিক্ষক হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।

এদিকে তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির আশায় কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, ফরিদপুর, ঝিনাইদহ, ফেনী, জয়পুরহাট, রাজবাড়ী ও বরিশালে নামাজ পড়েছেন স্থানীয়রা। পরে আল্লাহর রহমত কামনা করে দাবদাহ থেকে মুক্তি এবং বৃষ্টির জন্য মোনাজাত করা হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার মোংলায় সর্বোচ্চ ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। খুলনা বিভাগের জেলাগুলোসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এসব জেলায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। বাকি জেলাগুলোতে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ছিল। আজও একই অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্য থাকায় মানুষের শরীরে বেশি অস্বস্তি লাগছে। অনেকে এই অস্বস্তি সহ্য করতে পারেন না। আবহাওয়ার পূর্বাভাস সম্পর্কে তিনি জানান, আজ অস্থায়ীভাবে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। বুধবারের মতো আজও তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকবে। সিলেট অঞ্চল ছাড়া আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বেশি বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে।