১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

কুমিল্লার দেবিদ্বারে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

মো:ওমর ফারুক মুন্সী:

শামীম আহম্মেদকে আলিম খন্দকার হত্যা করেনি। দীর্ঘ দিন স্থানীয় একটি চক্র আমাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার চেস্টায় লিপ্ত আছে। এ চক্রটি একই উদ্দেশ্যে ১২ এপ্রিল শুক্রবার রাতে উজানীকন্দি গ্রামে একটি পারিবারিক বিরোধ মিমাংসার সালিশে শামীম আহম্মেদ নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার মিথ্যা অভিযোগ তুলে আব্দুল আলিম খন্দকারের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য সরবরাহ করেছে এবং একই সাথে থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।

সোমবার(২২ এপ্রিল) বিকালে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ১০নং গুনাইঘর ইউনিয়নের উজানীজোড়ার গ্রামে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি করেছেন শামীম হত্যা মামলার প্রধান আসামি আব্দুল আলিম খন্দকারের পিতা মোঃ মুছা খন্দকার। এর আগে মানববন্ধন করে আব্দুল আলিম খন্দকার’কে এই মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি দাবী করেছেন এলাকাবাসী।

মোঃ মুছা খন্দকার আরো বলেন, গত ১২ এপ্রিল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে একটি পারিবারিক সালিশ বৈঠকে আমার ছেলে মো. আলিম খন্দকারসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত হয়ে দুই পরিবারের বিবাদ মিমাংসার চেষ্টা করছিল। সালিশ বৈঠকে বাদ-বিবাদ চলা কালে শামীম আহাম্মদ উত্তেজিত হয়ে বক্তব্য রাখার কারণে সে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে সে রাতেই স্থানীয়রা দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান শেষে বাড়ি নিয়ে আসে। পরদিন ১৩ এপ্রিল শনিবার ভোরে বুকে তার (শামীম আহাম্মদ) ব্যাথা অনুভব হলে তাকে প্রথমে কুমিল্লা এক আত্মীয়র বাসায় নেয়া হয় এবং পরে কুমিল্লা রেল গেইট সংলগ্ন মীম হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঐদিন দুপুর আড়াইটার দিকে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। সকলের ধারণা সে স্ট্রোক করে মারা গেছে। মারা যাওয়ার পর পুলিশ তার সুরতহাল রিপোর্টে কোন রকম মারার চিহ্ন বা দাগ পায়নি। তারপরও আলিম খন্দকার ও সুমন খন্দকারকে আসামী করে শামীম আহাম্মদের স্ত্রী মুর্শিদা আক্তার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। স্বাভাবিক মৃত্যুকে পিটিয়ে হত্যার নাটক সাজিয়েছে সমাজের একটি চিহ্নিত দুষ্টু চক্র। তারা আমার পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্থ করা এবং আর্থিক ফায়দা নেওয়ার জন্য অপতৎপরতা চালিয়েছে। আমার বিশ্বাস ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে সব সত্য উম্মোচিত হবে।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৬:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪
১৯ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লার দেবিদ্বারে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

আপডেট : ০৬:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

শামীম আহম্মেদকে আলিম খন্দকার হত্যা করেনি। দীর্ঘ দিন স্থানীয় একটি চক্র আমাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার চেস্টায় লিপ্ত আছে। এ চক্রটি একই উদ্দেশ্যে ১২ এপ্রিল শুক্রবার রাতে উজানীকন্দি গ্রামে একটি পারিবারিক বিরোধ মিমাংসার সালিশে শামীম আহম্মেদ নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার মিথ্যা অভিযোগ তুলে আব্দুল আলিম খন্দকারের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য সরবরাহ করেছে এবং একই সাথে থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।

সোমবার(২২ এপ্রিল) বিকালে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ১০নং গুনাইঘর ইউনিয়নের উজানীজোড়ার গ্রামে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি করেছেন শামীম হত্যা মামলার প্রধান আসামি আব্দুল আলিম খন্দকারের পিতা মোঃ মুছা খন্দকার। এর আগে মানববন্ধন করে আব্দুল আলিম খন্দকার’কে এই মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি দাবী করেছেন এলাকাবাসী।

মোঃ মুছা খন্দকার আরো বলেন, গত ১২ এপ্রিল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে একটি পারিবারিক সালিশ বৈঠকে আমার ছেলে মো. আলিম খন্দকারসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত হয়ে দুই পরিবারের বিবাদ মিমাংসার চেষ্টা করছিল। সালিশ বৈঠকে বাদ-বিবাদ চলা কালে শামীম আহাম্মদ উত্তেজিত হয়ে বক্তব্য রাখার কারণে সে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে সে রাতেই স্থানীয়রা দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান শেষে বাড়ি নিয়ে আসে। পরদিন ১৩ এপ্রিল শনিবার ভোরে বুকে তার (শামীম আহাম্মদ) ব্যাথা অনুভব হলে তাকে প্রথমে কুমিল্লা এক আত্মীয়র বাসায় নেয়া হয় এবং পরে কুমিল্লা রেল গেইট সংলগ্ন মীম হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঐদিন দুপুর আড়াইটার দিকে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। সকলের ধারণা সে স্ট্রোক করে মারা গেছে। মারা যাওয়ার পর পুলিশ তার সুরতহাল রিপোর্টে কোন রকম মারার চিহ্ন বা দাগ পায়নি। তারপরও আলিম খন্দকার ও সুমন খন্দকারকে আসামী করে শামীম আহাম্মদের স্ত্রী মুর্শিদা আক্তার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। স্বাভাবিক মৃত্যুকে পিটিয়ে হত্যার নাটক সাজিয়েছে সমাজের একটি চিহ্নিত দুষ্টু চক্র। তারা আমার পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্থ করা এবং আর্থিক ফায়দা নেওয়ার জন্য অপতৎপরতা চালিয়েছে। আমার বিশ্বাস ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে সব সত্য উম্মোচিত হবে।