১০:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

জৈন্তাপুরে ১৯ বিজিবি’র অভিযানে প্রায় ৫ কোটি টাকার ভারতীয় চোরাই মালামাল আটক

মো. সাজ উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি, সিলেট

 

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সিলেট সেক্টরের অধীনস্থ জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত জৈন্তাপুর উপজেলায় চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযানে প্রায় ৫ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় চোরাই মালামাল আটক করা হয়েছে। বিজিবি সূত্রে জানা যায়, চোরাচালান প্রতিরোধকল্পে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ১১ আগস্ট (শুক্রবার) রাত ১১:০০ ঘটিকায় জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি) অধীনস্থ জৈন্তাপুর বিওপি’র আওতাধীন সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর বিওপি’র একটি টহল দল সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার সারিঘাট এলাকায় চোরাচালানী মালামাল আটকের উদ্দেশ্যে প্রতিকূল আবহাওয়া ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে ফাঁদ পেতে অবস্থান করে। আনুমানিক রাত ১১:৩০ ঘটিকায় বিজিবি টহল দল কর্তৃক সন্দেহভাজন চোরাচালানী মালামাল বহনকারী একটি ট্রাককে চ্যালেঞ্জ করলে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের বিছনাটেক নামক স্থানে ট্রাক রেখে ট্রাকের চালক দ্রুত পালিয়ে যায়। বিজিবি টহল দল উক্ত ট্রাকটি আটক করে এবং দেখতে পায় চোরাকারবারীরা ট্রাকের উপরিভাগে অভিনব কায়দায় আনুমানিক ০৬ ইঞ্চি পরিমাণ পাথরের চিপ দিয়ে তার নিচে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার শাড়ী ও কসমেটিক্স পাচারের চেষ্টা করছে। চোরাকারবারীরা অভিনব কায়দায় অত্যন্ত সু-কৌশলে বিজিবি’র চোখ ফাঁকি দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চোরাই পণ্য পাচারের চেষ্টা করে। বিজিবি’র টহল দলের তৎপরতা ও দূরদর্শীতার কারণে চোরাকারবারীদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়। বিজিবি টহল উক্ত ট্রাকসহ ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার শাড়ী- ৩,৭৭২ পিস এবং বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় কসমেটিকস- ৩৮,৫১৪ পিস আটক করে। যার আনুমানিক সিজার মূল্য সর্বমোট ৪ কোটি ১০ লক্ষ টাকার উর্ধ্বে। উল্লেখ্য গত এক সপ্তাহে জৈন্তাপুর ও লালাখাল সীমান্তে বিজিবি টহল দল কর্তৃক ট্রলার সহ ভারতীয় গরু-মহিষ- ৪৭টি এবং ভারতীয় চিনি- ১০,৪৫০ কেজি আটক করে যার সর্বমোট সিজার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার মোঃ আসাদুন্নবী, পিএসসি প্রতিবেদককে জানান, বর্তমান সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধকল্পে বিজিবি’র অভিযানিক কর্মকান্ড ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আটককৃত ভারতীয় চোরাই মালামালের পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৩:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩
১৫৩ বার পড়া হয়েছে

জৈন্তাপুরে ১৯ বিজিবি’র অভিযানে প্রায় ৫ কোটি টাকার ভারতীয় চোরাই মালামাল আটক

আপডেট : ০৩:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩

 

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সিলেট সেক্টরের অধীনস্থ জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত জৈন্তাপুর উপজেলায় চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযানে প্রায় ৫ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় চোরাই মালামাল আটক করা হয়েছে। বিজিবি সূত্রে জানা যায়, চোরাচালান প্রতিরোধকল্পে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ১১ আগস্ট (শুক্রবার) রাত ১১:০০ ঘটিকায় জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি) অধীনস্থ জৈন্তাপুর বিওপি’র আওতাধীন সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর বিওপি’র একটি টহল দল সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার সারিঘাট এলাকায় চোরাচালানী মালামাল আটকের উদ্দেশ্যে প্রতিকূল আবহাওয়া ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে ফাঁদ পেতে অবস্থান করে। আনুমানিক রাত ১১:৩০ ঘটিকায় বিজিবি টহল দল কর্তৃক সন্দেহভাজন চোরাচালানী মালামাল বহনকারী একটি ট্রাককে চ্যালেঞ্জ করলে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের বিছনাটেক নামক স্থানে ট্রাক রেখে ট্রাকের চালক দ্রুত পালিয়ে যায়। বিজিবি টহল দল উক্ত ট্রাকটি আটক করে এবং দেখতে পায় চোরাকারবারীরা ট্রাকের উপরিভাগে অভিনব কায়দায় আনুমানিক ০৬ ইঞ্চি পরিমাণ পাথরের চিপ দিয়ে তার নিচে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার শাড়ী ও কসমেটিক্স পাচারের চেষ্টা করছে। চোরাকারবারীরা অভিনব কায়দায় অত্যন্ত সু-কৌশলে বিজিবি’র চোখ ফাঁকি দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চোরাই পণ্য পাচারের চেষ্টা করে। বিজিবি’র টহল দলের তৎপরতা ও দূরদর্শীতার কারণে চোরাকারবারীদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়। বিজিবি টহল উক্ত ট্রাকসহ ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার শাড়ী- ৩,৭৭২ পিস এবং বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় কসমেটিকস- ৩৮,৫১৪ পিস আটক করে। যার আনুমানিক সিজার মূল্য সর্বমোট ৪ কোটি ১০ লক্ষ টাকার উর্ধ্বে। উল্লেখ্য গত এক সপ্তাহে জৈন্তাপুর ও লালাখাল সীমান্তে বিজিবি টহল দল কর্তৃক ট্রলার সহ ভারতীয় গরু-মহিষ- ৪৭টি এবং ভারতীয় চিনি- ১০,৪৫০ কেজি আটক করে যার সর্বমোট সিজার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার মোঃ আসাদুন্নবী, পিএসসি প্রতিবেদককে জানান, বর্তমান সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধকল্পে বিজিবি’র অভিযানিক কর্মকান্ড ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আটককৃত ভারতীয় চোরাই মালামালের পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।