০৫:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

টাঙ্গাইলের সাব্বির এমভি সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে, আতংকে পরিবার

শ‌হিদুল ইসলাম, ধনবাড়ী প্রতি‌নি‌ধি
ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে জিম্মি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর গ্রামের সাব্বিরের বাড়িতে চলছে স্বজনদের আহাজারি। একমাত্র ছেলের জিম্মির খবর পেয়ে স্বজনরা বুক চাপড়ে কাঁদছেন। আর বিলাপ করছেন একমাত্র বোন মিতু আক্তার ভাইয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছেন তাঁর ভাই এবং সকল নাবিক যেন জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হয়ে স্বজনদের কাছে আবার ফেরত আসে।
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে এমভি আবদুল্লাহ নামক পণ্য বহনকারী জাহাজের ২৩ জন নাবিকের মধ্যে রয়েছেন সাব্বির হোসেন। তিনি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে। সহবতপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে এস এস সি পাশ করেন। তিনি টাঙ্গাইলের কাগমারী এম এম আলি কলেজ থেকে ২০১৬ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ভর্তি হন চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমিতে সেখান থেকে কৃতিত্বের সাথে পাশ করে ২০২৩ সালের জুন মাসে এমভি আবদুল্লাহ নামক পণ্য বহনকারী একটি জাহাজে কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি নেন।
সাব্বিরের বাবা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে প্যারালাইসড হয়ে শয্যাশায়ী সাব্বির চাকরি হওয়ার পর তাঁর মা শয্যাশায়ী স্বামীকে নিয়ে সহবতপুর তার বাবার বাড়িতে থাকতেন। তাদের পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি সাব্বির তাঁর কিছু হয়ে গেলে তাদের আর চলার উপায় থাকবে না।
সাব্বিরের বোন ব‌লেন, আমার ভাই সাব্বিরকে জীবিত অবস্থায় সরকার দেশে ফিরিয়ে এনে আমাদের কাছে ফেরত দেয়। সরকার যেভা‌বে হোক  আলোচনা করে ওই খান থেকে যে কোনও উপায়ে মুক্তিপণ দেওয়া হোক কিংবা মুক্তিপণ ছাড়া হোক আমার ভাই কে ফি‌রি‌য়ে আনা হোক।
তাঁকে সহ সকল আটকদের‌কে উদ্ধার করার উদ্যোগ নেওয়া হোক ।
ট্যাগস :
আপডেট : ০২:১৮:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
৬০ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলের সাব্বির এমভি সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে, আতংকে পরিবার

আপডেট : ০২:১৮:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে জিম্মি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর গ্রামের সাব্বিরের বাড়িতে চলছে স্বজনদের আহাজারি। একমাত্র ছেলের জিম্মির খবর পেয়ে স্বজনরা বুক চাপড়ে কাঁদছেন। আর বিলাপ করছেন একমাত্র বোন মিতু আক্তার ভাইয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছেন তাঁর ভাই এবং সকল নাবিক যেন জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হয়ে স্বজনদের কাছে আবার ফেরত আসে।
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে এমভি আবদুল্লাহ নামক পণ্য বহনকারী জাহাজের ২৩ জন নাবিকের মধ্যে রয়েছেন সাব্বির হোসেন। তিনি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে। সহবতপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে এস এস সি পাশ করেন। তিনি টাঙ্গাইলের কাগমারী এম এম আলি কলেজ থেকে ২০১৬ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ভর্তি হন চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমিতে সেখান থেকে কৃতিত্বের সাথে পাশ করে ২০২৩ সালের জুন মাসে এমভি আবদুল্লাহ নামক পণ্য বহনকারী একটি জাহাজে কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি নেন।
সাব্বিরের বাবা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে প্যারালাইসড হয়ে শয্যাশায়ী সাব্বির চাকরি হওয়ার পর তাঁর মা শয্যাশায়ী স্বামীকে নিয়ে সহবতপুর তার বাবার বাড়িতে থাকতেন। তাদের পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি সাব্বির তাঁর কিছু হয়ে গেলে তাদের আর চলার উপায় থাকবে না।
সাব্বিরের বোন ব‌লেন, আমার ভাই সাব্বিরকে জীবিত অবস্থায় সরকার দেশে ফিরিয়ে এনে আমাদের কাছে ফেরত দেয়। সরকার যেভা‌বে হোক  আলোচনা করে ওই খান থেকে যে কোনও উপায়ে মুক্তিপণ দেওয়া হোক কিংবা মুক্তিপণ ছাড়া হোক আমার ভাই কে ফি‌রি‌য়ে আনা হোক।
তাঁকে সহ সকল আটকদের‌কে উদ্ধার করার উদ্যোগ নেওয়া হোক ।