নওগাঁয় ”ধানের বীজতলা” পা দিয়ে নষ্ট করার অভিযোগে ৩ জন শিশুকে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ছাত্রী ফারিয়া কে গুরত্বর আহত অবস্থায় বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় উজ্জল হোসেন (৪০) নামে একজন কে আটক করেছে বদলগাছী থানা পুলিশ। আটককৃত উজ্জ্বল হোসেন বদলগাছীর উপজেলার বালুভরা ইউপির দোনইল পশ্চিমপাড়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জুন বিকেল ৫টায় নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বালুভরা ইউনিয়ন এর দোনইল পশ্চিমপাড়া গ্রামের ফারুক হোসেন এর ৬ ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে ফারিয়া (১২) সহ একই গ্রামের শিশু আব্দুল্লাহ ওরফে রাফি (১০) ও রাতুল (৮) পার্শ্ববর্তী খোলা মাঠে ঘুড়ি উড়ানোর জন্য যায়। এসময় একই গ্রামের আনছার আলীর ছেলে ও মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ জিয়াউর রহমান তার ”আমন ধানের বীজতলা নষ্ট” করার অভিযোগে ফারিয়াকে মারধর করেন এবং আব্দুল্লাহ রাফি ও রাতুলকে মারধর করে টেনে হিছরে তার বাড়িতে ধরে নিয়ে ঘরে বন্ধি করে রাখেন। এসময় খবর পেয়ে ফারিয়ার বাবা মেয়েকে উদ্ধার করে বদলগাছী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। অপরদিকে ঘড়ে আটকে রাখা শিশু দুটি কে উদ্ধার করেন তাদের স্বজন সহ গ্রামের লোকজন।

এঘটনায় ফারিয়ার মা বাদী হয়ে রবিবার ৯ জুলাই থানায় একটি মামলা দায়ের করছেন।
ঘটনার ব্যাপারে ফারিয়ার বাবা ফারুক হোসেন জানান, আমার মেয়ে সহ অপর দু’ জন শিশুকে মিথ্যা অভিযোগে মারধর করার পর আমার মেয়ে ফারিয়াকে ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রাখে এবং অপর দুটি শিশুকে টেনে হিঁছড়ে নিয়ে গিয়ে ঐ মাদ্রাসা শিক্ষক জিয়াউর রহমান তার বাড়িতে বন্দি করে রাখেন।
এব্যাপারে সংবাদকর্মীরা বক্তব্য নিতে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক জিয়াউর রহমানের মুঠোফোনে ফোনে যোগাযোগ করলে মুঠোফোন রিসিভ করে তার স্ত্রী পরিচয়ে এক নারী বলেন, আমরা এখন নওগাঁ সদর হাসপাতালে আছি। প্রতিবেশী বেশ কিছু সন্ত্রাসী আমার স্বামীকে অতর্কিত হামলা করে মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় আমার স্বামীকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছি।
এব্যাপারে নওগাঁর বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আতিয়ার রহমান বলেন, শিশুকে মারধরের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার পরই একজন কে আটক করা হয়েছে। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।