০৮:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

বটিয়াঘাটার ভান্ডারকোটে প্রকাশ্যে চলছে আত্বঘাতী ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

মোঃ রিয়াজ উদ্দীন

 

খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার ০৫ নং ভান্ডারকোট ইউনিয়নের চরঝিনাইখালী এলাকায় স্থানীয় এক আ’লীগ লেবাসধারী ইউপি সদস্যর ভয়াবহ সিন্ডিকেটের ছত্রছায়ায় সরকারি নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে সরকারি খাল থেকে অবৈধভাবে আত্বঘাতী ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে নষ্ট হচ্ছে যাতায়াতের রাস্তা-ঘাট, বিলীন ও ফসলি জমি অদুর ভবিষ্যতে গাছপালা ও বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংসের সম্মুখীন হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। গোপন সূত্রে জানা যায়, দলীয়গত প্রভাবের কারণে ইউপি সদস্য মোঃ মুরাদ মৌলঙ্গী সকলকে ম্যানেজ করার কারণে এই গুরুতর অপরাধে রহস্যজনকভাবে নীরব ভূমিকা পালন করছে স্থানীয় প্রশাসন। খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয় জানা যায় বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী সড়ক, কালভার্ট,বিভিন্ন স্থাপনার সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে নদী, খাল ও পুকুর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা যাবে না। অথচ অত্র ইউপির ০৫ নং ওয়ার্ডের চরঝিনাইখালী এলাকার সরকারি খাল থেকে চরঝিনাইখালী জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ওবায়দুল্লাহ শেখ ওবায়দুলের একান্ত সহযোগী ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ০৫ নং ইউপি সদস্য মুরাদ মৌলঙ্গীর নেতৃত্বে স্থানীয় সাহেব ফকিরের পুত্র মোঃ শাহীন ফকির (২৮), চিহ্নিত সন্ত্রাসী মৃত জব্বার শেখের পুত্র মাসুম শেখ (৩৮), মোঃ আইয়ুব আলী মীরের পুত্র চিহ্নিত পুলিশের সোর্স মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব মীর(২৬) এবং ফকিরহাট বেতাগার কুমারখালীর মোঃ হাফিজুর রহমান দোকানদার (৩৭) মিলে অজ্ঞাত ২/৩ জন লেবার দিয়ে ২-৩ হাজার ফুট ৫ইঞ্চির পাইপ যোগে পার্শবর্তী জেলা বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের কামারখোলায় খুলনা দৌলতপুর এলাকার জনৈক এক ব্যক্তির বাড়ী নির্মানের জন্য নিচু জমিতে ১.২০ (এক লক্ষ্য বিশ হাজার) ফুট বালি ৬ টাকা হারে সর্বমোট ৭ লাখ ২০ হাজার টাকায় অবৈধভাবে এই বালু ভরাট করা হচ্ছে।
এছাড়াও অত্র উপজেলার বিভিন্নস্থানে এই চক্র এভাবে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কাজ চলমান রেখেছে। অনেকেই বলেন, পুলিশ-প্রশাসন মুরাদ মৌলঙ্গীর হাতে থাকে, কোন অবৈধ কর্মকান্ড ঘটাতে আগে থেকেই চুক্তিবদ্ধ হন তিনি। আর চুক্তির কারণে তার বিরুদ্ধে কোন চাপের ছায়া পর্যন্ত আসে না। তাছাড়া এভাবে খাল, পুকুর বা ডোবা থেকে বালু উত্তোলনের সময় সেখানে যে শূন্যস্থান তৈরি হয় তার কারণে আশপাশের ভূমি বা ভূমিতে অবস্থিত রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমি, গাছপালা ও বিভিন্ন স্থাপনা মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারে। আত্বঘাতী ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন যেখানে সম্পূর্ণ অবৈধ সেখানে বটিয়াঘাটা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম.আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ আহমেদ মুঠোফোনে বলেন, সেখানে বটিয়াঘাটা বালু মহাল ইজারা দিয়েছে, যেখানে বালু আছে সেখান থেকেই ওনারা বালু নিবেন।
তাছাড়া ইজারার কাগজ আমার কাছে আছে। কিন্তু এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলমকে ফোন করলে তিনি অবৈধ বালু উত্তোলনের তথ্য দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং যেখানে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে সেখানে তার লোক পাঠিয়ে বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করলেও রহস্যজনকভাবে তার কার্যকরী কোন পদক্ষেপ দেখা মেলে নাই।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৪:৩৪:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩
১২৩ বার পড়া হয়েছে

বটিয়াঘাটার ভান্ডারকোটে প্রকাশ্যে চলছে আত্বঘাতী ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

আপডেট : ০৪:৩৪:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩

 

খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার ০৫ নং ভান্ডারকোট ইউনিয়নের চরঝিনাইখালী এলাকায় স্থানীয় এক আ’লীগ লেবাসধারী ইউপি সদস্যর ভয়াবহ সিন্ডিকেটের ছত্রছায়ায় সরকারি নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে সরকারি খাল থেকে অবৈধভাবে আত্বঘাতী ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে নষ্ট হচ্ছে যাতায়াতের রাস্তা-ঘাট, বিলীন ও ফসলি জমি অদুর ভবিষ্যতে গাছপালা ও বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংসের সম্মুখীন হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। গোপন সূত্রে জানা যায়, দলীয়গত প্রভাবের কারণে ইউপি সদস্য মোঃ মুরাদ মৌলঙ্গী সকলকে ম্যানেজ করার কারণে এই গুরুতর অপরাধে রহস্যজনকভাবে নীরব ভূমিকা পালন করছে স্থানীয় প্রশাসন। খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয় জানা যায় বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী সড়ক, কালভার্ট,বিভিন্ন স্থাপনার সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে নদী, খাল ও পুকুর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা যাবে না। অথচ অত্র ইউপির ০৫ নং ওয়ার্ডের চরঝিনাইখালী এলাকার সরকারি খাল থেকে চরঝিনাইখালী জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ওবায়দুল্লাহ শেখ ওবায়দুলের একান্ত সহযোগী ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ০৫ নং ইউপি সদস্য মুরাদ মৌলঙ্গীর নেতৃত্বে স্থানীয় সাহেব ফকিরের পুত্র মোঃ শাহীন ফকির (২৮), চিহ্নিত সন্ত্রাসী মৃত জব্বার শেখের পুত্র মাসুম শেখ (৩৮), মোঃ আইয়ুব আলী মীরের পুত্র চিহ্নিত পুলিশের সোর্স মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব মীর(২৬) এবং ফকিরহাট বেতাগার কুমারখালীর মোঃ হাফিজুর রহমান দোকানদার (৩৭) মিলে অজ্ঞাত ২/৩ জন লেবার দিয়ে ২-৩ হাজার ফুট ৫ইঞ্চির পাইপ যোগে পার্শবর্তী জেলা বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের কামারখোলায় খুলনা দৌলতপুর এলাকার জনৈক এক ব্যক্তির বাড়ী নির্মানের জন্য নিচু জমিতে ১.২০ (এক লক্ষ্য বিশ হাজার) ফুট বালি ৬ টাকা হারে সর্বমোট ৭ লাখ ২০ হাজার টাকায় অবৈধভাবে এই বালু ভরাট করা হচ্ছে।
এছাড়াও অত্র উপজেলার বিভিন্নস্থানে এই চক্র এভাবে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কাজ চলমান রেখেছে। অনেকেই বলেন, পুলিশ-প্রশাসন মুরাদ মৌলঙ্গীর হাতে থাকে, কোন অবৈধ কর্মকান্ড ঘটাতে আগে থেকেই চুক্তিবদ্ধ হন তিনি। আর চুক্তির কারণে তার বিরুদ্ধে কোন চাপের ছায়া পর্যন্ত আসে না। তাছাড়া এভাবে খাল, পুকুর বা ডোবা থেকে বালু উত্তোলনের সময় সেখানে যে শূন্যস্থান তৈরি হয় তার কারণে আশপাশের ভূমি বা ভূমিতে অবস্থিত রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমি, গাছপালা ও বিভিন্ন স্থাপনা মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারে। আত্বঘাতী ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন যেখানে সম্পূর্ণ অবৈধ সেখানে বটিয়াঘাটা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম.আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ আহমেদ মুঠোফোনে বলেন, সেখানে বটিয়াঘাটা বালু মহাল ইজারা দিয়েছে, যেখানে বালু আছে সেখান থেকেই ওনারা বালু নিবেন।
তাছাড়া ইজারার কাগজ আমার কাছে আছে। কিন্তু এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলমকে ফোন করলে তিনি অবৈধ বালু উত্তোলনের তথ্য দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং যেখানে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে সেখানে তার লোক পাঠিয়ে বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করলেও রহস্যজনকভাবে তার কার্যকরী কোন পদক্ষেপ দেখা মেলে নাই।