০৯:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া এখন সময়ের দাবি-শেখ পরশ

ফয়সাল আহম্মেদ, স্টাফ রিপোর্টার

৬ নভেম্বর, রাজধানীর শ্যামলী এলাকার দুপুর ১২ টায় ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের অন্তর্গত ঢাকা-১৩ আসনের শ্যামলীতে এক পথ সভার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এ সময় শেখ পরশ জিয়াউর রহমানের মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানান।
বিএনপি-জামাত কর্তৃক পুলিশ হত্যা, কাকরাইল মসজিদ ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ও দেশপ্রেমিক সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও অবৈধ অবরোধের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের অন্তর্গত সংসদীয় আসন ভিত্তিক অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত। উক্ত অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৬ নভেম্বর, দুপুর ১২ টায় ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের অন্তর্গত ঢাকা-১৩ আসনের শ্যামলীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। ঢাকা-১৪ সংসদীয় আসনে গাবতলীতে অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। ঢাকা-১৩ আসনের শ্যামলীতে অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল ও সঞ্চালনা করেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন আদাবর থানার যুবলীগের আহবায়ক আরিফুল রহমান তুহিন । এসময় বিশাল বিশাল মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা নেতা কর্মীরা। ১০০ নাম্বার ওয়ার্ড আদাবর থানা যুবলীগের সভাপতি শাহরুখ জাহান পাপ্পু , ওয়ার্ড সহ-সভাপতি বাচ্চু মিয়ার নেতৃত্বে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত হন।
ঢাকা-১৩ সংসদীয় আসনের শ্যামলীতে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আজকে যে ধ্বংসনীলা যে সন্ত্রাসীবাহিনী করছে তাদের আসল পরিচয় কি? তাদের আসল পরিচয় আলবদর, আল-শামস, রাজাকার বাহিনীর সাথে তাদের সখ্যতা। যাদের হাতে লেগে আছে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের দাগ যা এখনও মুছে যায়নি। তাদের দোসর সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপি। যারা এদেশকে একটি পশ্চাদপদ সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর অপশক্তি বলে টেকব্যাক বাংলাদেশ। সুতরাং আমরা পিছনের দিকে যেতে চায় না, আমরা সামনের দিকে ধাবিত হচ্ছি এবং এই সামনের অগ্রযাত্রাই চলমান থাকবে বাংলাদেশে। যতদিন পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এদেশে বিরাজমান ততদিন এই সকল অপশক্তি কোন ক্ষতি সাধণ করতে পারবে না। তারাও রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে এসেছিল। এসে কি করেছে এদেশে জঙ্গিবাদের আবির্ভাব ঘটিয়েছে। এই দেশের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলোকে চরম অপমান ও অবমাননা করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের হাতে পতাকা তুলে দিয়ে। আর সেই পিছনের দিকে ফিরে যেতে চাই না, তারা আজকে ঘরে শান্তিতে ঘুমাচ্ছে দেশের উন্নতি-অগ্রগতি আপনাদের চোখের সামনেই বিরাজমান। তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র ঢাকা শহরের চেহারা দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন কারা এদেশে প্রকৃত উন্নত সাধণ করে। আর সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কারা যারা ’৭৫-এর একটি নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধান ও নারী-শিশু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত, সেই সকল অপশক্তির কাছে এদেশের জনগণ আর ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না। তারা মিথ্যাচার আর অপ-প্রচার করে এদেশে রাজনীতি থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। শহীদদের অবমাননা করেছিল। আমাদের “জয় বাংলা” স্লোগান দিয়ে যে লক্ষ লক্ষ মানুষ দেশের জন্য জীবন দিয়েছিল সেই “জয় বাংলা” স্লোগান তারা নিষিদ্ধ করেছিল। সুতরাং তাদের পরিচয় এদেশের জনগণ তখন বোঝে। তারা তো এদেশে ধ্যান-ধারণাতে বিশ্বাস করে না। তাই তারা তাদের সন্ত্রাসী এবং জঙ্গিরূপ আজকে প্রকাশ করছে। তারা অভিনয় করছে অনেক, ভণ্ডামী এবং প্রতারণাও করেছে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের নামে তারা তাদের সন্ত্রাসী রূপ উন্মোচিত করেছে, তাদের প্রতারকের মুখোশ উন্মোচিত করেছে। ঐ বিদেশে বসে রিমোট টিপে আন্দোলনের ডাক দেয় সেই আন্দোলনে জনগণের কোন শরিক নাই। সেই আন্দোলনে শরিক আছে সেই রাজাকার, আলবদর, আল-শামস, জামাত, মুসলিম লীগের নেতা ও সন্তানেরা। যারা মুক্তিযুদ্ধতে বিশ্বাসী ছিল যাদের পূর্বপুরুষের, বাংলাদেশের ধ্যান-ধারণা-চেতনাতে বিশ্বাসী তারা কখনো দেশের বিরুদ্ধে যাবে না।
তিনি আরও বলেন, যতদিন বিএনপি-জামাত অবরোধ দিবে, যতদিন নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে আমরা সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে রাজপথেই থাকবো। আমরা বার বার দাবি তুলেছি এই সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আসল পরিচয় জানা জনগণের এবং আজকের প্রজন্মের অধিকার। এই অধিকার আমাদেরকে দিতে হবে। আমরা জানতে চাই ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের জিয়াউর রহমানের প্রকৃত ভূমিকা, সে কিভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছে তা জানার জন্য একটি স্বাধীন জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের প্রকৃত মুখোশ উন্মোচিত হওয়া দরকার। তারেক জিয়ার মুখোশ আজকে আপনাদের সামনে পরিষ্কার হচ্ছে, জিয়াউর রহমানও মুখোশধারী, রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, জামাতের দোসর। তার মুখোশ উন্মোচিত হবে।
ঢাকা-১৪ সংসদীয় আসনে গাবতলীতে অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, দেশবিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপি-জামাত অবরোধের নামে সন্ত্রাসী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তারা রাজপথে নেই, মানুষের সাথে নেই। তারা অন্ধকারে থেকেই মানুষের জানমালের ওপর হামলা করছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অসংখ্য যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করেছে। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না। এতে প্রমাণিত হয় যে বিএনপি একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন, একটি জঙ্গি সংগঠন, একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। ইতোপূর্বেও তারা এটার প্রমাণ রেখেছেন। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেশবাসী ভোলে নাই। আসলে বিএনপি জন্মই হয়েছিল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে। ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যাকাণ্ডের সাথে খুনি জিয়া জড়িত। বিএনপির জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত শুধু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেই আসছে। জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক জিয়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামী, ২০১৫ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আসামী, ১৭ই আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার সাথে দুর্নীতিবাদ তারেক জিয়া জড়িত। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল তারা ২৫ হাজার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত যদি এই সন্ত্রাসী কর্মকা- পরিহার না করে, সঠিক পথে ফিরে না আসে তাহলে এদেশের জনগণকে নিয়ে যুবলীগ তাদেরকে রাজপথে কঠোরভাবে প্রতিহত করবে।
এছাড়াও ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের অন্তর্গত ঢাকা-১১ সংসদীয় আসনে সুবাস্তু টাওয়ার, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২ সংসদীয় আসনে যুবলীগ চত্বর, ফার্মগেইট, ঢাকা-১৩ সংসদীয় আসনে শ্যামলী, ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনে মিরপুর-১০ গোল চত্বর, ঢাকা-১৬ সংসদীয় আসনে মিরপুর-১১ বাস স্ট্যান্ড, ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনে মহাখালী কাঁচা বাজার ও ঢাকা-১৮ সংসদীয় আসনে আজমপুর, উত্তরায় এবং ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের অন্তর্গত ঢাকা-২ সংসদীয় আসনে ৫৭নং ওয়ার্ড, কামরাঙ্গীরচর লোহার ব্রীজ, ঢাকা-৪ সংসদীয় আসনে শ্যামপুর ইকো পার্কের সামনে, ঢাকা-৫ সংসদীয় আসনে শনিরআখড়া দনিয়া কলেজের সামনে, ঢাকা-৬ সংসদীয় আসনে ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে, ঢাকা-৭ সংসদীয় আসনে চকবাজার মোড়, ঢাকা-৮ সংসদীয় আসনে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ও ঢাকা-৯ সংসদীয় আসনে কমলাপুর স্কুল এন্ড কলেজ বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্নে ও ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনে ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে সংসদীয় আসন ভিত্তিক অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যান্য সংসদীয় আসন ভিত্তিক কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, হাবিবুর রহমান পবন, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, মোঃ রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, মোঃ সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, এ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মোঃ আব্দুল হাই, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৫:৫৯:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩
৩৬৪ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া এখন সময়ের দাবি-শেখ পরশ

আপডেট : ০৫:৫৯:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩

৬ নভেম্বর, রাজধানীর শ্যামলী এলাকার দুপুর ১২ টায় ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের অন্তর্গত ঢাকা-১৩ আসনের শ্যামলীতে এক পথ সভার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এ সময় শেখ পরশ জিয়াউর রহমানের মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানান।
বিএনপি-জামাত কর্তৃক পুলিশ হত্যা, কাকরাইল মসজিদ ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ও দেশপ্রেমিক সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও অবৈধ অবরোধের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের অন্তর্গত সংসদীয় আসন ভিত্তিক অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত। উক্ত অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৬ নভেম্বর, দুপুর ১২ টায় ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের অন্তর্গত ঢাকা-১৩ আসনের শ্যামলীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। ঢাকা-১৪ সংসদীয় আসনে গাবতলীতে অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। ঢাকা-১৩ আসনের শ্যামলীতে অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল ও সঞ্চালনা করেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন আদাবর থানার যুবলীগের আহবায়ক আরিফুল রহমান তুহিন । এসময় বিশাল বিশাল মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা নেতা কর্মীরা। ১০০ নাম্বার ওয়ার্ড আদাবর থানা যুবলীগের সভাপতি শাহরুখ জাহান পাপ্পু , ওয়ার্ড সহ-সভাপতি বাচ্চু মিয়ার নেতৃত্বে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত হন।
ঢাকা-১৩ সংসদীয় আসনের শ্যামলীতে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আজকে যে ধ্বংসনীলা যে সন্ত্রাসীবাহিনী করছে তাদের আসল পরিচয় কি? তাদের আসল পরিচয় আলবদর, আল-শামস, রাজাকার বাহিনীর সাথে তাদের সখ্যতা। যাদের হাতে লেগে আছে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের দাগ যা এখনও মুছে যায়নি। তাদের দোসর সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপি। যারা এদেশকে একটি পশ্চাদপদ সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর অপশক্তি বলে টেকব্যাক বাংলাদেশ। সুতরাং আমরা পিছনের দিকে যেতে চায় না, আমরা সামনের দিকে ধাবিত হচ্ছি এবং এই সামনের অগ্রযাত্রাই চলমান থাকবে বাংলাদেশে। যতদিন পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এদেশে বিরাজমান ততদিন এই সকল অপশক্তি কোন ক্ষতি সাধণ করতে পারবে না। তারাও রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে এসেছিল। এসে কি করেছে এদেশে জঙ্গিবাদের আবির্ভাব ঘটিয়েছে। এই দেশের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলোকে চরম অপমান ও অবমাননা করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের হাতে পতাকা তুলে দিয়ে। আর সেই পিছনের দিকে ফিরে যেতে চাই না, তারা আজকে ঘরে শান্তিতে ঘুমাচ্ছে দেশের উন্নতি-অগ্রগতি আপনাদের চোখের সামনেই বিরাজমান। তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র ঢাকা শহরের চেহারা দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন কারা এদেশে প্রকৃত উন্নত সাধণ করে। আর সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কারা যারা ’৭৫-এর একটি নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধান ও নারী-শিশু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত, সেই সকল অপশক্তির কাছে এদেশের জনগণ আর ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না। তারা মিথ্যাচার আর অপ-প্রচার করে এদেশে রাজনীতি থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। শহীদদের অবমাননা করেছিল। আমাদের “জয় বাংলা” স্লোগান দিয়ে যে লক্ষ লক্ষ মানুষ দেশের জন্য জীবন দিয়েছিল সেই “জয় বাংলা” স্লোগান তারা নিষিদ্ধ করেছিল। সুতরাং তাদের পরিচয় এদেশের জনগণ তখন বোঝে। তারা তো এদেশে ধ্যান-ধারণাতে বিশ্বাস করে না। তাই তারা তাদের সন্ত্রাসী এবং জঙ্গিরূপ আজকে প্রকাশ করছে। তারা অভিনয় করছে অনেক, ভণ্ডামী এবং প্রতারণাও করেছে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের নামে তারা তাদের সন্ত্রাসী রূপ উন্মোচিত করেছে, তাদের প্রতারকের মুখোশ উন্মোচিত করেছে। ঐ বিদেশে বসে রিমোট টিপে আন্দোলনের ডাক দেয় সেই আন্দোলনে জনগণের কোন শরিক নাই। সেই আন্দোলনে শরিক আছে সেই রাজাকার, আলবদর, আল-শামস, জামাত, মুসলিম লীগের নেতা ও সন্তানেরা। যারা মুক্তিযুদ্ধতে বিশ্বাসী ছিল যাদের পূর্বপুরুষের, বাংলাদেশের ধ্যান-ধারণা-চেতনাতে বিশ্বাসী তারা কখনো দেশের বিরুদ্ধে যাবে না।
তিনি আরও বলেন, যতদিন বিএনপি-জামাত অবরোধ দিবে, যতদিন নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে আমরা সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে রাজপথেই থাকবো। আমরা বার বার দাবি তুলেছি এই সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আসল পরিচয় জানা জনগণের এবং আজকের প্রজন্মের অধিকার। এই অধিকার আমাদেরকে দিতে হবে। আমরা জানতে চাই ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের জিয়াউর রহমানের প্রকৃত ভূমিকা, সে কিভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছে তা জানার জন্য একটি স্বাধীন জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের প্রকৃত মুখোশ উন্মোচিত হওয়া দরকার। তারেক জিয়ার মুখোশ আজকে আপনাদের সামনে পরিষ্কার হচ্ছে, জিয়াউর রহমানও মুখোশধারী, রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, জামাতের দোসর। তার মুখোশ উন্মোচিত হবে।
ঢাকা-১৪ সংসদীয় আসনে গাবতলীতে অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, দেশবিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপি-জামাত অবরোধের নামে সন্ত্রাসী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তারা রাজপথে নেই, মানুষের সাথে নেই। তারা অন্ধকারে থেকেই মানুষের জানমালের ওপর হামলা করছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অসংখ্য যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করেছে। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না। এতে প্রমাণিত হয় যে বিএনপি একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন, একটি জঙ্গি সংগঠন, একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। ইতোপূর্বেও তারা এটার প্রমাণ রেখেছেন। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেশবাসী ভোলে নাই। আসলে বিএনপি জন্মই হয়েছিল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে। ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যাকাণ্ডের সাথে খুনি জিয়া জড়িত। বিএনপির জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত শুধু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেই আসছে। জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক জিয়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামী, ২০১৫ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আসামী, ১৭ই আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার সাথে দুর্নীতিবাদ তারেক জিয়া জড়িত। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল তারা ২৫ হাজার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত যদি এই সন্ত্রাসী কর্মকা- পরিহার না করে, সঠিক পথে ফিরে না আসে তাহলে এদেশের জনগণকে নিয়ে যুবলীগ তাদেরকে রাজপথে কঠোরভাবে প্রতিহত করবে।
এছাড়াও ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের অন্তর্গত ঢাকা-১১ সংসদীয় আসনে সুবাস্তু টাওয়ার, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২ সংসদীয় আসনে যুবলীগ চত্বর, ফার্মগেইট, ঢাকা-১৩ সংসদীয় আসনে শ্যামলী, ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনে মিরপুর-১০ গোল চত্বর, ঢাকা-১৬ সংসদীয় আসনে মিরপুর-১১ বাস স্ট্যান্ড, ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনে মহাখালী কাঁচা বাজার ও ঢাকা-১৮ সংসদীয় আসনে আজমপুর, উত্তরায় এবং ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের অন্তর্গত ঢাকা-২ সংসদীয় আসনে ৫৭নং ওয়ার্ড, কামরাঙ্গীরচর লোহার ব্রীজ, ঢাকা-৪ সংসদীয় আসনে শ্যামপুর ইকো পার্কের সামনে, ঢাকা-৫ সংসদীয় আসনে শনিরআখড়া দনিয়া কলেজের সামনে, ঢাকা-৬ সংসদীয় আসনে ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে, ঢাকা-৭ সংসদীয় আসনে চকবাজার মোড়, ঢাকা-৮ সংসদীয় আসনে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ও ঢাকা-৯ সংসদীয় আসনে কমলাপুর স্কুল এন্ড কলেজ বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্নে ও ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনে ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে সংসদীয় আসন ভিত্তিক অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যান্য সংসদীয় আসন ভিত্তিক কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, হাবিবুর রহমান পবন, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, মোঃ রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, মোঃ সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, এ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মোঃ আব্দুল হাই, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।