১২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

ভেজাল খাদ্যে অতিষ্ঠ জনজীবন

মোছা : সাহানা খাতুন ( আখি), রিপোর্টার,পুঠিয়া রাজশাহী

বতর্মানে বাংলাদেশে ভেজাল খাদ‍্য গ্রহণ করছে সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন জীবনে জেনে ও বুঝে ফলে এক দিকে সাধারণ জনগণের জীবন ব‍‍্যবস্থা নাজাহাল তার ঠিক অন্যদিকে বর্তমানে লিকুয়েড জাতীয় প‍্যাকেট দুধ খেয়ে অসুস্থ হচ্ছে লক্ষ লক্ষ শিশুদের প্রাণ। আপনারা জানলে অবাক হবেন, শিশুদের আমিষের চাহিদা মেটাতে গিয়ে বাজার থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন নিজের হাতে দুধের পরতে বিষের আবরণ। বর্তমানে লিকুয়েড জাতীয় প‍্যাকেট দুধে মেশানো হচ্ছে কী ধরনের পদার্থ যেটি আপনার শিশুর জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ? লিকুয়েড জাতীয় প‍্যাকেট দুধের মধ্যে আমিষের মাত্রা বাড়ানোর জন্য ব‍্যবহার করা হচ্ছে মেলামাইন নামক রাসায়নিক পদার্থ। মেলামাইন হলো এক ধরনের কেমিক্যাল যা ১ লিটার দুধের ভেতর ৪ লিটার পানি মিশিয়ে দুধে পরিণত করে।আর হে পানির মাত্রা বাড়লে আমিষের ঘাটতি দেখা দেয় আর ঠিক তখনি আমিষের মাত্রা বৃদ্ধি করতে দুধের সাথে পানি মিশিয়ে আমিষের মাত্রা ঠিক রাখতে ব‍্যবহারিত হচ্ছে মেলামাইন নামক কেমিক্যাল।
এটু চিন্তা করুণ তো বতর্মান সমাজে দুধের রং গাঢ় করার জন্য এর মধ্যে ব‍্যবহার করা হচ্ছে ইউরিয়া জাতীয় রাসায়ানিক পদার্থ।বর্তমানে লিকুয়েড জাতীয় প‍্যাকেট দুধে ২০০ এম.জি ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা হচ্ছে তাহলে এটু ভেবে দেখবেন আপনি আপনার পরিবারের জন্য টাকা দিয়ে কী কিনে নিয়ে যাচ্ছেন দুধ না বিষ? যেখানে চাষাবাদের জমিতে বেশি মাত্রায় ইউরিয়া সার ব‍্যবহার করা উচিৎ নয় বলে মনে করেন কৃষিবিদরা,আর এই লিকুয়েড প‍্যাকেট দুধে ব‍্যবহারিত হচ্ছে ইউরিয়া জাতীয় সার।
আরো মজার বিষয় হচ্ছে, এই লিকুয়েড প‍্যাকেট দুধ দেখতে যেনো ধবধবে সাদা দেখাই এর মধ্যে প্রয়োগ করা হচ্ছে কষ্টিক সোডা। বলুন তো কষ্টিক সোডা কী জাতীয় পর্দাথ? কষ্টিক সোডা বলতে সহজেই বুঝতে পারবেন এটি বাজারে বিক্রি হওয়া ডিটারজেন্ট পাউডার যা মূলত কাপড় ধোয়া ও টয়লেট পরিস্কার – পরিছন্ন করার কাজে ব‍্যবহার করা হয়, আর এই ডিটারজেন্ট পাউডার ব‍্যবহারিত হচ্ছে লিকুয়েড প‍্যাকেট জাতীয় দুধের মধ্যে। আরো ভয়ংকর একটি বিষয় হলো,আমরা প্রায় সকলেই ফরমালিন নামক পর্দাথের কথা শুনে থাকি কিন্তু আপনরা কী জানেন, বতর্মানে লিকুয়েড জাতীয় প‍্যাকেট দুধে ব‍্যবহার করা হচ্ছে ফরমালিন নামক এই বিষাক্ত পর্দাথ, বাজারে বিক্রিয়কৃত এই লিকুয়েড জাতীয় প‍্যাকেট দুধ যেনো নষ্ট না হয় এবং দূরগন্ধ না বের হয় তার জন্য প্রয়োগ করা হয় এই ফরমালিন নামক পদার্থ কিন্তু ফরমালিন আবিষ্কার করা হয়েছিল মূলত মৃত্যু ব‍্যক্তির দেহ যেনো পচে-গলে না যায় এবং সঙ্গে যেন দূরগন্ধ না ছড়াই এ জন্য।কিন্তু বর্তমানে এই বিষাক্ত পদার্থ একজন সুস্থ মানুষ গন্ধ নিলে শরীলের জন্য হুমকি হয়ে দাড়ায় আর সেখানে ব‍্যবহারিত হচ্ছে লিকুয়েড জাতীয় দুধে ফরমালিন নামক বিষাক্ত পর্দাথ।তাই সবধান এইসব লিকুয়েড প‍্যাকেট জাতীয় দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং এই লিকুয়েড প‍্যাকেট জাতীয় দুধ যেসকল ফেক্টিরতে তৈরী করে তাদের চিহ্নিত করে আইনকে সহায়তা করুণ।
কারণ বাংলায় একটি প্রবাদ আছে”,অন‍্যের গৃহে ঢিল ছুড়লে আপনার গৃহে পাথর পড়বে”তাই যেসকল কারবারিরা এই কাজের সঙ্গেযুক্ত আছেন হয়তো আপনার পরিবারের কেউ নিজের হাতে নিয়ে যাবে আপনার বাসাতে দুধের পরতে বিষের আবরণ।

ট্যাগস :
আপডেট : ১১:৪৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
১০৫ বার পড়া হয়েছে

ভেজাল খাদ্যে অতিষ্ঠ জনজীবন

আপডেট : ১১:৪৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

বতর্মানে বাংলাদেশে ভেজাল খাদ‍্য গ্রহণ করছে সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন জীবনে জেনে ও বুঝে ফলে এক দিকে সাধারণ জনগণের জীবন ব‍‍্যবস্থা নাজাহাল তার ঠিক অন্যদিকে বর্তমানে লিকুয়েড জাতীয় প‍্যাকেট দুধ খেয়ে অসুস্থ হচ্ছে লক্ষ লক্ষ শিশুদের প্রাণ। আপনারা জানলে অবাক হবেন, শিশুদের আমিষের চাহিদা মেটাতে গিয়ে বাজার থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন নিজের হাতে দুধের পরতে বিষের আবরণ। বর্তমানে লিকুয়েড জাতীয় প‍্যাকেট দুধে মেশানো হচ্ছে কী ধরনের পদার্থ যেটি আপনার শিশুর জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ? লিকুয়েড জাতীয় প‍্যাকেট দুধের মধ্যে আমিষের মাত্রা বাড়ানোর জন্য ব‍্যবহার করা হচ্ছে মেলামাইন নামক রাসায়নিক পদার্থ। মেলামাইন হলো এক ধরনের কেমিক্যাল যা ১ লিটার দুধের ভেতর ৪ লিটার পানি মিশিয়ে দুধে পরিণত করে।আর হে পানির মাত্রা বাড়লে আমিষের ঘাটতি দেখা দেয় আর ঠিক তখনি আমিষের মাত্রা বৃদ্ধি করতে দুধের সাথে পানি মিশিয়ে আমিষের মাত্রা ঠিক রাখতে ব‍্যবহারিত হচ্ছে মেলামাইন নামক কেমিক্যাল।
এটু চিন্তা করুণ তো বতর্মান সমাজে দুধের রং গাঢ় করার জন্য এর মধ্যে ব‍্যবহার করা হচ্ছে ইউরিয়া জাতীয় রাসায়ানিক পদার্থ।বর্তমানে লিকুয়েড জাতীয় প‍্যাকেট দুধে ২০০ এম.জি ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা হচ্ছে তাহলে এটু ভেবে দেখবেন আপনি আপনার পরিবারের জন্য টাকা দিয়ে কী কিনে নিয়ে যাচ্ছেন দুধ না বিষ? যেখানে চাষাবাদের জমিতে বেশি মাত্রায় ইউরিয়া সার ব‍্যবহার করা উচিৎ নয় বলে মনে করেন কৃষিবিদরা,আর এই লিকুয়েড প‍্যাকেট দুধে ব‍্যবহারিত হচ্ছে ইউরিয়া জাতীয় সার।
আরো মজার বিষয় হচ্ছে, এই লিকুয়েড প‍্যাকেট দুধ দেখতে যেনো ধবধবে সাদা দেখাই এর মধ্যে প্রয়োগ করা হচ্ছে কষ্টিক সোডা। বলুন তো কষ্টিক সোডা কী জাতীয় পর্দাথ? কষ্টিক সোডা বলতে সহজেই বুঝতে পারবেন এটি বাজারে বিক্রি হওয়া ডিটারজেন্ট পাউডার যা মূলত কাপড় ধোয়া ও টয়লেট পরিস্কার – পরিছন্ন করার কাজে ব‍্যবহার করা হয়, আর এই ডিটারজেন্ট পাউডার ব‍্যবহারিত হচ্ছে লিকুয়েড প‍্যাকেট জাতীয় দুধের মধ্যে। আরো ভয়ংকর একটি বিষয় হলো,আমরা প্রায় সকলেই ফরমালিন নামক পর্দাথের কথা শুনে থাকি কিন্তু আপনরা কী জানেন, বতর্মানে লিকুয়েড জাতীয় প‍্যাকেট দুধে ব‍্যবহার করা হচ্ছে ফরমালিন নামক এই বিষাক্ত পর্দাথ, বাজারে বিক্রিয়কৃত এই লিকুয়েড জাতীয় প‍্যাকেট দুধ যেনো নষ্ট না হয় এবং দূরগন্ধ না বের হয় তার জন্য প্রয়োগ করা হয় এই ফরমালিন নামক পদার্থ কিন্তু ফরমালিন আবিষ্কার করা হয়েছিল মূলত মৃত্যু ব‍্যক্তির দেহ যেনো পচে-গলে না যায় এবং সঙ্গে যেন দূরগন্ধ না ছড়াই এ জন্য।কিন্তু বর্তমানে এই বিষাক্ত পদার্থ একজন সুস্থ মানুষ গন্ধ নিলে শরীলের জন্য হুমকি হয়ে দাড়ায় আর সেখানে ব‍্যবহারিত হচ্ছে লিকুয়েড জাতীয় দুধে ফরমালিন নামক বিষাক্ত পর্দাথ।তাই সবধান এইসব লিকুয়েড প‍্যাকেট জাতীয় দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং এই লিকুয়েড প‍্যাকেট জাতীয় দুধ যেসকল ফেক্টিরতে তৈরী করে তাদের চিহ্নিত করে আইনকে সহায়তা করুণ।
কারণ বাংলায় একটি প্রবাদ আছে”,অন‍্যের গৃহে ঢিল ছুড়লে আপনার গৃহে পাথর পড়বে”তাই যেসকল কারবারিরা এই কাজের সঙ্গেযুক্ত আছেন হয়তো আপনার পরিবারের কেউ নিজের হাতে নিয়ে যাবে আপনার বাসাতে দুধের পরতে বিষের আবরণ।