১২:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

ভোলার লালমোহন থেকে বিলুপ্তির পথে প্যাডেল রিকশা

মো. ছাইফুল ইসলাম(জিহাদ), লালমোহন, ভোলা
ভোলার লালমোহন উপজেলা থেকে প্রায় বিলুপ্তির পথে প্যাডেল রিকশা। একসময় উপজেলার বিভিন্ন অলিগলিতে সর্বত্র’ই চোখে পড়তো এই রিকশা। বর্তমানে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশার দাপটে’ই প্রায় হারিয়ে গেছে প্যাডেল চালিত রিকশা। চরম আর্থিক অনটনে ভুগছেন উপজেলার কিছু রিকশা চালক। দেখা যাচ্ছে যে উপজেলা বানিদের কাছে প্যাডেল চালিত রিকশা এখন অতীত। হাতেগোনা কয়েকটি দেখা গেলেও চাহিদা তেমন নেই। ব্যাটারি চালিত রিকশার দৌলতে হারিয়ে গেলো এই পুরনো ঐতিহ্য।
প্যাডেল রিকশার তুলনায় ভাড়া কম এবং অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া যায় ব্যাটারি চালিত অটো রিকশায় চেপে। ফলে চাহিদা একেবারে’ই কমে গিয়েছে এই পায়ে চেপে যাওয়া প্যাডেল রিকশার। তবুও কয়েকজন রিকশাচালক অভাবের সঙ্গে লড়াই করেও এই পেশাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।
একসময় এই প্যাডেল রিকশা ঘুরিয়ে সংসার চলত শত শত মানুষের। সময়ের সঙ্গে যারা তাল মেলাতে পেরেছেন তারা পরবর্তীতে কিনে নিয়েছেন ব্যাটারি চালিত রিকশা। কিন্তু অনেকের’ই সামর্থ্য নেই। অনেক রিকশা চালকের বয়স হয়েছে। তবুও পেশার টানে এখনো রিকশা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন যাত্রীর অপেক্ষায়।
যান্ত্রিকতার এই আধুনিক যুগে পেশিশক্তির আবিষ্কার হয়েছে ইলেকট্রনিক্স ও সহজলভ্য যানবাহন। সময় ও টাকা বাঁচাতে এই সমস্ত যানবাহনের ওপর নির্ভরশীল বেশিরভাগ মানুষ। এমনিতেই সারাদিন বসে থেকেও ভাড়া জোটে না, তার উপর রাজ্যে বিধিনিষেধের জেরে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন উপজেলার রিকশা চালকরা। অনেক সময় দুবেলা খাবারটুকু ঠিকমতো জোটে না। মেলে না সরকারি সাহায্যও। এভাবেই অভাবের সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রিকশা চালকরা।
ট্যাগস :
আপডেট : ০২:১৩:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
২৬৫ বার পড়া হয়েছে

ভোলার লালমোহন থেকে বিলুপ্তির পথে প্যাডেল রিকশা

আপডেট : ০২:১৩:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
ভোলার লালমোহন উপজেলা থেকে প্রায় বিলুপ্তির পথে প্যাডেল রিকশা। একসময় উপজেলার বিভিন্ন অলিগলিতে সর্বত্র’ই চোখে পড়তো এই রিকশা। বর্তমানে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশার দাপটে’ই প্রায় হারিয়ে গেছে প্যাডেল চালিত রিকশা। চরম আর্থিক অনটনে ভুগছেন উপজেলার কিছু রিকশা চালক। দেখা যাচ্ছে যে উপজেলা বানিদের কাছে প্যাডেল চালিত রিকশা এখন অতীত। হাতেগোনা কয়েকটি দেখা গেলেও চাহিদা তেমন নেই। ব্যাটারি চালিত রিকশার দৌলতে হারিয়ে গেলো এই পুরনো ঐতিহ্য।
প্যাডেল রিকশার তুলনায় ভাড়া কম এবং অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া যায় ব্যাটারি চালিত অটো রিকশায় চেপে। ফলে চাহিদা একেবারে’ই কমে গিয়েছে এই পায়ে চেপে যাওয়া প্যাডেল রিকশার। তবুও কয়েকজন রিকশাচালক অভাবের সঙ্গে লড়াই করেও এই পেশাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।
একসময় এই প্যাডেল রিকশা ঘুরিয়ে সংসার চলত শত শত মানুষের। সময়ের সঙ্গে যারা তাল মেলাতে পেরেছেন তারা পরবর্তীতে কিনে নিয়েছেন ব্যাটারি চালিত রিকশা। কিন্তু অনেকের’ই সামর্থ্য নেই। অনেক রিকশা চালকের বয়স হয়েছে। তবুও পেশার টানে এখনো রিকশা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন যাত্রীর অপেক্ষায়।
যান্ত্রিকতার এই আধুনিক যুগে পেশিশক্তির আবিষ্কার হয়েছে ইলেকট্রনিক্স ও সহজলভ্য যানবাহন। সময় ও টাকা বাঁচাতে এই সমস্ত যানবাহনের ওপর নির্ভরশীল বেশিরভাগ মানুষ। এমনিতেই সারাদিন বসে থেকেও ভাড়া জোটে না, তার উপর রাজ্যে বিধিনিষেধের জেরে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন উপজেলার রিকশা চালকরা। অনেক সময় দুবেলা খাবারটুকু ঠিকমতো জোটে না। মেলে না সরকারি সাহায্যও। এভাবেই অভাবের সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রিকশা চালকরা।