১২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

মেঘনা আর তেঁতুলিয়া নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে ছোট হয়ে আসছে দ্বীপ জেলা ভোলা

মো. মহিউদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি, ভোলা
দেশের বৃহত্তম এই দ্বীপজেলা ভোলা কে রক্ষার জন্য কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করেও ঠেকানো যাচ্ছে না ভাঙ্গন। নদী শাসনের মাধ্যমে স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ না করে পানি উন্নয়ন বোর্ড শুধু জিও ব্যাগ ডাম্পিং  এবং সি. সি.ব্লক দ্বারা নদী তীর আচ্ছাদিত করার মতো অস্থায়ী প্রকল্পেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। কিন্তু সেই সি.  সি. ব্লক আর জিও ব্যাগেও সুফল মিলছে না। গত ৫০ বছরে ২ শত  ৫৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা হাঁরিয়ে গেছে  মানচিত্র থেকে।
চারিদিকে নদী বেষ্টিত দ্বীপজেলা ভোলা ভাঙতে ভাঙতে ক্রমশই ছোট হয়ে আসছে। বদলে যাচ্ছে জেলার মানচিত্র।
স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত কি পরিমান মানুষ যে নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়েছে তার কোন তালিকা নেই স্থানীয় প্রশাসন কিংবা পাউবোর কাছে। তবে স্থানীয়দের মতে এর পরিমান হবে কয়েক লাখ। পাউবো সূত্র থেকে শুধু জানা সম্ভব হয়েছে,৩ হাজার ৪ শত ৪৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ভোলা থেকে গত ৫০ বছরে ২ শত ৫৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রতি বছরই ভেঙ্গে যাচ্ছে   ১ থেকে ২ বর্গকিলোমিটার এলাকা । যদিও ভাঙ্গন বন্ধে গৃহীত হচ্ছে ছোট- বড় স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্প কিন্তু আশানুরুপ ফল মিলছে না।
নদী ভাঙ্গন বন্ধে স্থায়ী পদ্ধতি হচ্ছে নদী  শাসন করে প্রকল্প গ্রহণ করা।  এধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে পদ্মা ও বঙ্গবন্ধুসেতুসহ বিভিন্ন সেতু এলাকার ভাঙ্গন বন্ধের নজির  রয়েছে। কিন্তু ভোলায় নদী শাসনের মতো তেমন  প্রকল্প নেই। আছে শুধু জিও ব্যাগ ডাম্পিং এবং সি. সি. ব্লক দ্বারা নদী তীর আচ্ছাদিত করার  মতো অস্থায়ী প্রকল্প। তজুমদ্দিনে গ্রহণ করা,এমন একটি প্রকল্পের সি. সি. ব্লক ও জিও ব্যাগ সম্পূর্ণরুপে এবং তুলাতুলিতে শহর রক্ষা বাঁধের ব্লকের প্রায় ৮০ ভাগ ব্লক ভেঙ্গে গেছে। ইলিশা রাজাপুর প্রকল্পের ব্লকও কয়েক দফায় ধ্বসে গেছে।এছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকার জিও ব্যাগ ও ব্লক নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে। হুমকির মুখে পড়ছে প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎ।
পাউবোর এই প্রকল্প গুলো শুধু অস্থায়ীই নয় ; সংখ্যায়ও কম। যেখানে জেলার ৭ উপজেলায় মোট নদী তীর রয়েছে ৩ শত ৩৪ কিলোমিটার,এর মধ্যে ভাঙ্গন প্রবণ নদী তীর হচ্ছে ৪০ টি পয়েন্টে  অন্তত ১ শত ১০ কিলোমিটার। আর নদী তীর সংরক্ষণে অস্থায়ী প্রকল্প আছে মাত্র ৪২ কিলোমিটার এলাকায়। বাকী ২ শত ৯২ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। এসব এলাকার মানুষের দিন কাটছে ভাঙ্গন আতঙ্কে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন,নদী ভাঙ্গার বিষয়টি তারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করছে।যেখানে যেটুকু কাজ করা উচিৎ সে অনুযায়ী কাজ চলছে।আতঙ্কিত হবার কিছুই নেই।
ভোলাকে নদী ভাঙ্গার কবল থেকে রক্ষার জন্য গত ১৫ বছরে ২ হাজার ৯ শত  ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে  ১৪ টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।বর্তমানে ৩ হাজার ৪ শত ৩৫ কোটি টাকার ৪ টি প্রকল্পের কাজ চলছে।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৫:৪৭:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
৪১ বার পড়া হয়েছে

মেঘনা আর তেঁতুলিয়া নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে ছোট হয়ে আসছে দ্বীপ জেলা ভোলা

আপডেট : ০৫:৪৭:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
দেশের বৃহত্তম এই দ্বীপজেলা ভোলা কে রক্ষার জন্য কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করেও ঠেকানো যাচ্ছে না ভাঙ্গন। নদী শাসনের মাধ্যমে স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ না করে পানি উন্নয়ন বোর্ড শুধু জিও ব্যাগ ডাম্পিং  এবং সি. সি.ব্লক দ্বারা নদী তীর আচ্ছাদিত করার মতো অস্থায়ী প্রকল্পেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। কিন্তু সেই সি.  সি. ব্লক আর জিও ব্যাগেও সুফল মিলছে না। গত ৫০ বছরে ২ শত  ৫৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা হাঁরিয়ে গেছে  মানচিত্র থেকে।
চারিদিকে নদী বেষ্টিত দ্বীপজেলা ভোলা ভাঙতে ভাঙতে ক্রমশই ছোট হয়ে আসছে। বদলে যাচ্ছে জেলার মানচিত্র।
স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত কি পরিমান মানুষ যে নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়েছে তার কোন তালিকা নেই স্থানীয় প্রশাসন কিংবা পাউবোর কাছে। তবে স্থানীয়দের মতে এর পরিমান হবে কয়েক লাখ। পাউবো সূত্র থেকে শুধু জানা সম্ভব হয়েছে,৩ হাজার ৪ শত ৪৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ভোলা থেকে গত ৫০ বছরে ২ শত ৫৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রতি বছরই ভেঙ্গে যাচ্ছে   ১ থেকে ২ বর্গকিলোমিটার এলাকা । যদিও ভাঙ্গন বন্ধে গৃহীত হচ্ছে ছোট- বড় স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্প কিন্তু আশানুরুপ ফল মিলছে না।
নদী ভাঙ্গন বন্ধে স্থায়ী পদ্ধতি হচ্ছে নদী  শাসন করে প্রকল্প গ্রহণ করা।  এধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে পদ্মা ও বঙ্গবন্ধুসেতুসহ বিভিন্ন সেতু এলাকার ভাঙ্গন বন্ধের নজির  রয়েছে। কিন্তু ভোলায় নদী শাসনের মতো তেমন  প্রকল্প নেই। আছে শুধু জিও ব্যাগ ডাম্পিং এবং সি. সি. ব্লক দ্বারা নদী তীর আচ্ছাদিত করার  মতো অস্থায়ী প্রকল্প। তজুমদ্দিনে গ্রহণ করা,এমন একটি প্রকল্পের সি. সি. ব্লক ও জিও ব্যাগ সম্পূর্ণরুপে এবং তুলাতুলিতে শহর রক্ষা বাঁধের ব্লকের প্রায় ৮০ ভাগ ব্লক ভেঙ্গে গেছে। ইলিশা রাজাপুর প্রকল্পের ব্লকও কয়েক দফায় ধ্বসে গেছে।এছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকার জিও ব্যাগ ও ব্লক নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে। হুমকির মুখে পড়ছে প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎ।
পাউবোর এই প্রকল্প গুলো শুধু অস্থায়ীই নয় ; সংখ্যায়ও কম। যেখানে জেলার ৭ উপজেলায় মোট নদী তীর রয়েছে ৩ শত ৩৪ কিলোমিটার,এর মধ্যে ভাঙ্গন প্রবণ নদী তীর হচ্ছে ৪০ টি পয়েন্টে  অন্তত ১ শত ১০ কিলোমিটার। আর নদী তীর সংরক্ষণে অস্থায়ী প্রকল্প আছে মাত্র ৪২ কিলোমিটার এলাকায়। বাকী ২ শত ৯২ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। এসব এলাকার মানুষের দিন কাটছে ভাঙ্গন আতঙ্কে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন,নদী ভাঙ্গার বিষয়টি তারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করছে।যেখানে যেটুকু কাজ করা উচিৎ সে অনুযায়ী কাজ চলছে।আতঙ্কিত হবার কিছুই নেই।
ভোলাকে নদী ভাঙ্গার কবল থেকে রক্ষার জন্য গত ১৫ বছরে ২ হাজার ৯ শত  ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে  ১৪ টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।বর্তমানে ৩ হাজার ৪ শত ৩৫ কোটি টাকার ৪ টি প্রকল্পের কাজ চলছে।