০৩:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

রংপুরের তারাগঞ্জ রহিমাপুর সপ্রাবিতে দেরিতে উপস্থিত শিক্ষকদের কারন দর্শানোয় বৈষম্য

লাতিফুল সাফি, ক্রাইম রিপোর্টার, রংপুর
দৈনিক চাঁদনী বাজার পত্রিকায় গত ২০ আগস্ট ২০২৩ প্রকাশিত সংবাদের তথ্যানুযায়ী তারাগঞ্জের রহিমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত (১৬ আগস্ট-২৩ইং) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়মানুযায়ী শিক্ষক উপস্থিতি সময় সকাল ০৯.০০টা কিন্তু সকাল ০৯.৩০ পর্যন্ত কোন শিক্ষকেরই দেখা পাওয়া যায়নি।
সংবাদে উপস্থাপিত তথ্যানুযায়ী সকাল ০৯.৩০ মিনিটের পর উক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শ্যামলী রানী ও সেলিনা পারভীনের সাথে সাংবাদিকের স্বাক্ষাৎ মেলে এবং সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে শ্যামলী রানী বলেন, প্রধান শিক্ষক অফিসের কাজে আদালতে গেছেন এবং বাকি ৩ জন শিক্ষক কণিকা রানী রায়, সুমিতা রানী ও শিরিনা আক্তার পথিমধ্যে আছেন।
প্রকাশিত সংবাদের তথ্য মতে, প্রধান শিক্ষক ব্যতীত পাঁচ জন শিক্ষক দেরিতে উপস্থিত হওয়ার দায়ে, গণ কর্মচারী শৃঙ্খলা(নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ-২০১৮ এর পরিপন্থী। অথচ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা ৩ জন শিক্ষকের নামে যথা- কণিকা রানী রায়, সুমিতা রানী রায় এবং সেলিনা পারভীন এর নামে দেরীতে আসার কারন দর্শানোর জন্য জবাব আহ্বান করেন, যাহা পক্ষপাতিত্বমূলক ভাবে প্রাপ্ত দ্বায়িত পালনে বৈষম্য করা হয়েছে বলে অনেকের দাবি।
এমন ঘটনায় প্রধান শিক্ষক মানব শেখর রায় গত (২৭ আগস্ট-২৩ইং) দাপ্তরিক ভাবে স্বাক্ষাৎকালে বলেন, প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে শিক্ষকদের দেরীতে উপস্থিত হওয়ায় কারন দর্শানো নোটিশ ৫ জন শিক্ষকের নামেই বর্তায় মর্মে মতপ্রকাশ করেন। তবে, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার এমন বৈষম্যমুলক নোটিশ প্রদানের বিষয়ে আপনি কোন আলোচনা করেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- জলে বাস করে কুমিরের সাথে লড়াই করা যায়! প্রধান শিক্ষকের এমন হতাশাগ্রস্থ্য বক্তব্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে ঘিরে অনেক নৈতিবাচক দিক ইঙ্গিত করলেও প্রধানশিক্ষকের অজানা ভয়ের বিষয় স্পষ্ট।
উল্লেখ্য যে- প্রকাশিত সংবাদে সেলিনা পারভীন ও শ্যামলী রানীর সাক্ষাৎ মিলে মর্মে সংবাদে স্পষ্ট প্রকাশ আছে। এবং শিরিনা আক্তারকে প্রকাশিত সংবাদে দুই জায়গায় দেরিতে আসার বিষয় উল্লেখ থাকলেও কারণ দর্শানোর জন্য শ্যামলী রানী ও শিরিনা আক্তারকে বাদ দিয়ে কারন দর্শানোর জবাব আহ্বান বৈষম্যমুলক ব্যবস্থাগ্রহণ যা সচেতন মহলে একটি রহস্যময় প্রশ্ন বটে!
এব্যাপরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষাকর্মকর্তা মোবাইল ফোন বলেন- তিনি অসুস্থ্য বাসায় আছেন, বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে এড়িয়ে যান।
এছাড়াও প্রাথমিক সহকারি শিক্ষাকর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন- প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে নিয়মানুযায়ী ৫ জন শিক্ষকই কারন দর্শানোর নোটিশ পায়, টিও ম্যাডাম কেন এমনটা করেছেন বলতে পারছি না, তবে কথা বলে জানাতে পারবো।
উল্লেখিত ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, নিয়মানুযায়ী বৈষম্য হয়েছে, তবে এটা ঠিক হয়নি।ঠিক আছে আমি ওনার(টি,ও) সাথে কথা বলবো।
উল্লেখ্য যে, ধামাচাপা দিতে শিক্ষিকা শিরিনা আক্তার থেকে নোটিশ বিহীন জবাব নিয়েছেন মর্মে তথ্য পাওয়া গেছে(তথ্য সংরক্ষিত)। এ ব্যাপারে আজ (২৯ আগস্ট-২৩ইং) উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে, তিনি রাগান্বিত কণ্ঠে বলেন, আপনাদের যা খুশি করেন। আমি আপনাদের সাথে এতো কথা বলতে পারবো না। এবং সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন কটূকথা বলেন।
চলামান পর্ব…১
ট্যাগস :
আপডেট : ০৪:০৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩
২১৩ বার পড়া হয়েছে

রংপুরের তারাগঞ্জ রহিমাপুর সপ্রাবিতে দেরিতে উপস্থিত শিক্ষকদের কারন দর্শানোয় বৈষম্য

আপডেট : ০৪:০৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩
দৈনিক চাঁদনী বাজার পত্রিকায় গত ২০ আগস্ট ২০২৩ প্রকাশিত সংবাদের তথ্যানুযায়ী তারাগঞ্জের রহিমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত (১৬ আগস্ট-২৩ইং) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়মানুযায়ী শিক্ষক উপস্থিতি সময় সকাল ০৯.০০টা কিন্তু সকাল ০৯.৩০ পর্যন্ত কোন শিক্ষকেরই দেখা পাওয়া যায়নি।
সংবাদে উপস্থাপিত তথ্যানুযায়ী সকাল ০৯.৩০ মিনিটের পর উক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শ্যামলী রানী ও সেলিনা পারভীনের সাথে সাংবাদিকের স্বাক্ষাৎ মেলে এবং সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে শ্যামলী রানী বলেন, প্রধান শিক্ষক অফিসের কাজে আদালতে গেছেন এবং বাকি ৩ জন শিক্ষক কণিকা রানী রায়, সুমিতা রানী ও শিরিনা আক্তার পথিমধ্যে আছেন।
প্রকাশিত সংবাদের তথ্য মতে, প্রধান শিক্ষক ব্যতীত পাঁচ জন শিক্ষক দেরিতে উপস্থিত হওয়ার দায়ে, গণ কর্মচারী শৃঙ্খলা(নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ-২০১৮ এর পরিপন্থী। অথচ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা ৩ জন শিক্ষকের নামে যথা- কণিকা রানী রায়, সুমিতা রানী রায় এবং সেলিনা পারভীন এর নামে দেরীতে আসার কারন দর্শানোর জন্য জবাব আহ্বান করেন, যাহা পক্ষপাতিত্বমূলক ভাবে প্রাপ্ত দ্বায়িত পালনে বৈষম্য করা হয়েছে বলে অনেকের দাবি।
এমন ঘটনায় প্রধান শিক্ষক মানব শেখর রায় গত (২৭ আগস্ট-২৩ইং) দাপ্তরিক ভাবে স্বাক্ষাৎকালে বলেন, প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে শিক্ষকদের দেরীতে উপস্থিত হওয়ায় কারন দর্শানো নোটিশ ৫ জন শিক্ষকের নামেই বর্তায় মর্মে মতপ্রকাশ করেন। তবে, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার এমন বৈষম্যমুলক নোটিশ প্রদানের বিষয়ে আপনি কোন আলোচনা করেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- জলে বাস করে কুমিরের সাথে লড়াই করা যায়! প্রধান শিক্ষকের এমন হতাশাগ্রস্থ্য বক্তব্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে ঘিরে অনেক নৈতিবাচক দিক ইঙ্গিত করলেও প্রধানশিক্ষকের অজানা ভয়ের বিষয় স্পষ্ট।
উল্লেখ্য যে- প্রকাশিত সংবাদে সেলিনা পারভীন ও শ্যামলী রানীর সাক্ষাৎ মিলে মর্মে সংবাদে স্পষ্ট প্রকাশ আছে। এবং শিরিনা আক্তারকে প্রকাশিত সংবাদে দুই জায়গায় দেরিতে আসার বিষয় উল্লেখ থাকলেও কারণ দর্শানোর জন্য শ্যামলী রানী ও শিরিনা আক্তারকে বাদ দিয়ে কারন দর্শানোর জবাব আহ্বান বৈষম্যমুলক ব্যবস্থাগ্রহণ যা সচেতন মহলে একটি রহস্যময় প্রশ্ন বটে!
এব্যাপরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষাকর্মকর্তা মোবাইল ফোন বলেন- তিনি অসুস্থ্য বাসায় আছেন, বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে এড়িয়ে যান।
এছাড়াও প্রাথমিক সহকারি শিক্ষাকর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন- প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে নিয়মানুযায়ী ৫ জন শিক্ষকই কারন দর্শানোর নোটিশ পায়, টিও ম্যাডাম কেন এমনটা করেছেন বলতে পারছি না, তবে কথা বলে জানাতে পারবো।
উল্লেখিত ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, নিয়মানুযায়ী বৈষম্য হয়েছে, তবে এটা ঠিক হয়নি।ঠিক আছে আমি ওনার(টি,ও) সাথে কথা বলবো।
উল্লেখ্য যে, ধামাচাপা দিতে শিক্ষিকা শিরিনা আক্তার থেকে নোটিশ বিহীন জবাব নিয়েছেন মর্মে তথ্য পাওয়া গেছে(তথ্য সংরক্ষিত)। এ ব্যাপারে আজ (২৯ আগস্ট-২৩ইং) উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে, তিনি রাগান্বিত কণ্ঠে বলেন, আপনাদের যা খুশি করেন। আমি আপনাদের সাথে এতো কথা বলতে পারবো না। এবং সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন কটূকথা বলেন।
চলামান পর্ব…১