০১:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

সুস্থ্যধারার রাজনীতি ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি আলোকিত, উন্নত,   স্মার্ট বাংলদেশ বিনির্মানে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে চাই -এ্যাডভোকেট সাফায়েত হোসেন সজীব

মো.জাহিদুর রহমান
এ বছরের শেষেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে দেশের সর্ববৃহত রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। পাশাপাশি আরেকটি বৃহত দল বিএনপি বহু বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকার কারণে দলের মধ্যে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। দেশব্যাপী আন্দোলন, মিছিল মিটিং ছাড়াও জ্বালাও পোড়াও এমনকি জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের দারস্ত হচ্ছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে  আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতয় আসার। বড় দলগুলোর পাশাপাশি দেশের তৃতীয় বৃহত্তর রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টিসহ সকলেই নিজ নিজ প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ বিগত তিন টার্ম একক ক্ষমতায় থাকার কারণে দলের মধ্যে কিছুটা মতবিরোধ দেখা  দেয়াতে তারাও এখন  ঘর গোছাচ্ছে। মন্ত্রী-এমপিরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। দলের নীতিনির্ধারকেরা প্রার্থী মনোনয়নের জন্য  খুঁজছে ক্লীন ইমেজ, শিক্ষিত ও জনবান্ধব প্রার্থী। ইতোমধ্যে আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায়ে গভীর পর্যবেক্ষণ করছেন যাতে আগামী নির্বাচনে অধিকতর গ্রহণযোগ্য ও ক্লীন ইমেজের প্রার্থীকে নমিনেশন দিয়ে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করা যায়।
  সকল দলগুলোর নির্বাচিত মন্ত্রী-এমপিরা এতদিনের ভুলক্রটির জন্য সাধারণ জনগণকে নিয়ে বিভিন্ন সভা সেমিনার করছেন। ঘর গোছাতে ব্যস্ত সবাই। শুধু শহরেই নয় গ্রাম-গঞ্জে হাট বাজারেও দিনভর চলছে রাজনৈতিক আলাপালোচনা। চায়ের দোকান সরগরম থাকে সর্বক্ষণ নির্বাচনী আলাপালোনায়। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ফেস্টুন,ব্যানারের মাধ্যমে এলাকার জনগণকে বিভিন্ন উৎসব পার্বনে শুভেচছা ও দোয়া কামনা করছেন।
সকল এলাকার মতো প্রচার প্রচারণায় পিছিয়ে নেই বরিশাল-৩    আসন অর্থাৎ (মুলাদী- বাবুগঞ্জ)-ও। এখানেও বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া।এবারের নির্বাচনে সিনিয়র  নেতাদের পাশাপাশি তরুন ও উচ্চশিক্ষিতরা এগিয়ে এসেছে। এবারে  মুলাদী-বাবুগঞ্জের রাজনীতিতে কয়েকজন তরুন,উদীয়মান ও উচ্চশিক্ষিত রাজনীতিকদের প্রচার, প্রচারণা ও কার্যক্রম লক্ষ্য করা যাচ্ছে।  তারা হলেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট মো. সাফায়েত হোসেন সজীব, জাহাঙ্গীর কবির নানকের সাবেক এপিএস মো. মিজানুর রহমান, আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন খশরু, বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী এমদাদুল হক দুলাল, মুলাদী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. তারিকুল হাসান মিঠু প্রমুখ। সকলেই সাধ্যমতো প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে পদবীর চালিয়ে যাচ্ছেন। সকল প্রার্থীদের তুলনায় এ্যাডভোকেট সাফায়েত হোসেন সজিব অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।   তিনি  একজন সৎ,  মেধাবী, সদালাপী, সদাহোস্যজ্জল ও মানবদরদী ব্যক্তিত্ব।  তিনি আপন সম্মোহনী  ক্ষমতার দ্বারা অতিসহজেই যেকারো মন জয় করতে পারেন। নিজস্ব ক্লিন ইমেজ দ্বারা এলকার মানুষের মাঝে সাড়া জাগিয়ে  জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ভোটের মাধ্যমে জয়লাভ করতে চান। জনগণের মাঝে বৈষম্যহীন,সুস্থ্য ধারার রাজনীতি ফিরিয়ে আনাসহ  একটি উন্নত জনপদে পরিনত করার অভিপ্রায় নিয়ে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। । স্বাধীনতা পরবর্তী যতটি নির্বাচন হয়েছে,   বেশীরভাগ সময় বিরোধী দল বা ছোট দলের প্রার্থী জয়লাভ করেছে ফলে অন্যান্য এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হলেও এ এলাকা রয়েগেছে অবহেলিত ও অনুন্নত। কিন্তু এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুলাদী -বাবুগঞ্জে এক নতুন মাত্রার যোগ হয়েছে  তরুন রাজনীতিক। তাই এলাকার জনগণের মধ্যেও তরুন এই রাজনীতিককে নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ-এর মধ্যেও নানান জল্পনাকল্পনা। তবে সকলের আশা  এ্যাডভোকেট সাফায়েত হোসেন সজীব দলীয় মনোনায়ন লাভ করুক। সম্প্রতি  মুলাদী-বাবুগঞ্জের রাজনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে  জরিপে দেখা যায় সকল প্রার্থীদের তুলনায় সাফায়েত হোসেন সজীব সকলের চেয়ে এগিয়ে।
নিজ এলাকা মুলাদীর সকল স্তরের লোকের কাছে একজন পছন্দের ব্যক্তিত্ব।  সকলেই বলেন, তিনি অত্যন্ত ভদ্র, পরোপকারী, মানবদরদী, সৎ,নিষ্ঠাবান ও সদাহাস্যজ্বল একজন প্রিয় মানুষ। এলাকার সকলের দাবী বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন সাফায়েত হোসেন সজিবকেই নমিনেশন দেন।
দলমত নির্বিশেষে এ্যাডভোকেট সাফায়েত হোসেন সজিব সকলের কাছে অত্যন্ত প্রিয় একজন মানুষ। তাঁর সম্পর্কে বাটা মারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম বলেন, সজীব ভাই একজন মানবদরদী মানুষ। তিনি গরীর দুঃখী মানুষের জন্য সর্বদা দ্বার খোলা। মহামারী করোনাকালীন সময় অনেককে খাদ্য আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি মানবতার ফেরি ওয়ালা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। আইনজীবী হিসেবেও গরীব মানুষকে বিনামূল্যে আইনী সহায়তা দিয়ে থাকেন। সর্বোপরি একজন মানবিক মানুষ। তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে মুলাদী বাবুগঞ্জের সকল স্তরের জনগন তাঁকে চায়। সকলের মুখে রব উঠেছে, ” সুখে দুঃখে যাকে পাই, সে আমাদের সজীব ভাই। তিনি যদি নির্বাচিত হন, তাহলে সর্বপ্রথম কাজ থাকবে গরীব দুঃখী মানুষের আশা পূরণ করা।
এ্যাডভোকেট সজীব সম্পর্কে বাবুগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রহমতপুর গ্রামের আসমা পারভীন বলেন, সজীব ভাই একজন মানবদরদী, সদাহাস্যোজ্জল ও সুন্দর মনের মানুষ। তিনি একজন উচ্চশিক্ষিত, সাদা মনের মানুষ। তিনি একজন নিরহংকার মানুষ, আমরা যখন তখন তাঁর কাছে নিজেদের দাবী-দাওয়ার কথা জানাতে পারবো।  সর্বোপরি একজন ক্লীন ইমেজের লোক,এলাকার উন্নয়নে তাঁর মতো নির্লোভ মানুষ খুবই প্রয়োজন।  তিনি নমিনেশন পেলে আমাদের মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করবো এবং  তাঁকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী জানাই, তিনি যেন “হীরা চিনতে ভুল করেন না। এলাকার সকলের পক্ষথেকে দাবী জানাই, সজীব ভাইকে যেন নমিনেশন দেন। পাশাপাশি সজীব ভাইয়ের কাছে আমার দাবী  নির্বাচিত হলে তিনি যেন আমাদেরকে ভুলে না যান। আপনারা জানেন, রহমতপুর ইউনিয়নটি অনেক অনুন্নত, এখানে এখনো কাঁচা রাস্তা রয়েছে, বর্ষাকালে এলাকার মানুষের যাতায়াতে অনেক অসুবিধা হয়। তিনি নির্বাচিত হলে তিনি যেন অত্র এলাকার রাস্তাঘাটগুলো পাকা করার ব্যবস্থা করেন। এছাড়াও  কিছু কিছু লোক মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত যাদের কারণে এলাকার যুবসমাজ ধ্বংস হচ্ছে,আমার দাবী তিনি যেন এসব মাদককারবারীদের নির্মুল করে, সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনেন।
বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ  খানপুরায় চা খেতে খেতে কয়েক জন বয়স্ক লোকের সাথে কথা হয়, তারাও বলেন, সজিব অত্যন্ত ভদ্র, সৎ,  মানবদরদী ও উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি, আমরা চাই আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নমিনেশন পান।
ব্যক্তিগত পরিচিতি: এ্যাডভোকেট সাফায়েত হোসেন সজীব ১৯৭৮ সালে ৪ এপ্রিল, বরিশাল জেলার মুলাদী থানার কাজিরচর গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম মো. সরোয়ার হোসেন, মাতার নাম রেনু বেগম।
রাজনৈতিক পরিচিতি: এ্যাডভোকেট সাফায়েত হোসেন সজীব বয়সে তরুন হলেও রাজনীতিতে তিনি অনেক প্রবীন। রাজনীতিতে তাঁর রয়েছে বর্ণাঢ্য কর্মময় ও ঈর্ষানীয় ক্যারিয়ার। ছোটবেলা থেকে তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী,  ভদ্র ও মানবদরদী। অত্র এলাকার মানুষের দুঃখ দুর্দশা তাঁর হৃদয়ে নাড়া দিত। সর্বদা মনের মধ্যে ঘুরপাক খেত কিভাবে মানুষের সেবা করা যায়। দেশের মানুষের সেবা করার অভিপ্রায় নিয়েই মূলতঃ তাঁর  রাজনীতিতে আসা। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন-এর নির্বাচিত কার্যনির্বাহী সদস্য। ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, সদস্য বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবি পরিষদ, সাবেক এ্যাসিস্টান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর, সাবেক সহ-সভাপতি বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদ,কেন্দ্রীয় কমিটি। সাবেক ছাত্রলীগ সদস্য, ঢাকা কলেজ। আগাগোড়াই একজন আওয়ামী ঘরনার লোক।
 ছাত্রজীবন থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে  বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। দেশের বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। এছাড়াও এলাকার রাজনীতির সাথেও আমার সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাছাড়া  বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বার এ্যাসোসিয়েশনের  নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। তাই তিনি আশাবাদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাকে চিনেন, তিনি আশা করেন আগামী নির্বাচনে তিনু নমিনেশন পাবেন।
তিনি অনেক আগে থেকেই এলাকার উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। এলাকার বহু মসজিদ, মাদ্রাসা ও স্কুলের উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় অসহায় দরিদ্র মানুষকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।  গত ২০১৯ -২০২০ সালে মহামারী করোনার সময় অনেক অনেক দরিদ্র ও সাধারণ মানুষকে আর্থিক সহায়তা ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।
বাবুগঞ্জ মুলাদীর ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশের সকল এলাকায় ব্যাপক উন্নতি সাধিত হলেও সেতুলনায় অত্রএলাকা চোখেপড়ার মতো তেমন কোন উন্নতি হয়নি। এর মূল কারণ হলো এখানকার বেশীরভাগ এমপিই ছিলেন বিরোধী দলের বা ছোট দলের তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ব্যাপক উন্নতি হয়নি। আমি যদি আওয়ামীলীগের মনোনায়ন পেয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে অত্র এলাকার রাস্তা-ঘাট,ব্রীজ,কালভার্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করবো। পাশাপাশি অত্র এলাকায় দলমত নির্বিশেষে বৈষম্যহীন, সুস্থ ধারার রাজনীতি ফিরিয়ে আনবো। এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিষণ ৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন,  আলোকিত জাতি গঠন তথা উন্নত রাষ্ট্র বিনির্মানে কার্যকরী ভূমিকা রাখবো। এলাকার উন্নয়নে একজন সৎ নাগরিকের ভূমিকা পালন করবো।  অন্যায়ভাবে ও জোরপূর্বক কারো জমি দখল বন্ধ করবো।  এছাড়া এলাকায় বহুবছর ধরে চলে আস শালিস প্রথা অবসান ঘটাবো। আর্থিক লেনদেন ও পক্ষপাতিত্বের গ্রাম্য বিচারব্যবস্থার  ফলে অসহায় মানুষ সঠিক বিচার পায় না আমি নির্বাচিত হলে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করবো, তারা হলেন এলাকার মসজিদের ইমাম, মুসলিম ছাড়া অন্যধর্মের একজন ধর্মীয় নেতা সদস্য, স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, একজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। এই পাঁচজন মিলে সঠিক ও ন্যায়নিষ্ঠ  ভাবে বিচার করবে।
তিনি আরও বলেন, আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে, সর্বপ্রথম মীরগঞ্জ ব্রীজটির কাজ করবো। এ ব্রীজটির কারণে বহুবছর এ এলাকার লোক ভোগান্তি পোহাচ্ছে। ব্রীজ না থাকায় এলাকার লোকজন নদী পার হতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়,তাছাড়া খেয়াঘাটের ডাক নিয়ে প্রতি বছর মারামারি ঝগড়া বিবাদ হয়। এ ব্রীজটি হলে অত্র এলাকার মানুষের বহুদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হবে।
পরিশেষে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সকল দলের অংশগ্রহণে। মুলাদী বাবুগঞ্জবাসীর কাছে দোয়া কামনা করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁকে যেন নমিনেশন দেন এবং অত্র এলাকার রাস্তাঘাট, পুল,ব্রীজ, স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারেন। পাশাপাশি আমি যেন মুলাদী বাবুগঞ্জ থানাকে যেন উনয়নের রোলমডেলে পরিনত করতে পারি।
সর্বোপরি একজন মানবদরদী ও নিষ্ঠাবান সেবক হয়ে দেশের একজন সুনাগরিকের ন্যায় দ্বায়িত্ব পালন করতে চাই।
ট্যাগস :
আপডেট : ১২:৫৩:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০২৩
৫৩৪ বার পড়া হয়েছে

সুস্থ্যধারার রাজনীতি ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি আলোকিত, উন্নত,   স্মার্ট বাংলদেশ বিনির্মানে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে চাই -এ্যাডভোকেট সাফায়েত হোসেন সজীব

আপডেট : ১২:৫৩:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০২৩
এ বছরের শেষেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে দেশের সর্ববৃহত রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। পাশাপাশি আরেকটি বৃহত দল বিএনপি বহু বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকার কারণে দলের মধ্যে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। দেশব্যাপী আন্দোলন, মিছিল মিটিং ছাড়াও জ্বালাও পোড়াও এমনকি জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের দারস্ত হচ্ছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে  আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতয় আসার। বড় দলগুলোর পাশাপাশি দেশের তৃতীয় বৃহত্তর রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টিসহ সকলেই নিজ নিজ প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ বিগত তিন টার্ম একক ক্ষমতায় থাকার কারণে দলের মধ্যে কিছুটা মতবিরোধ দেখা  দেয়াতে তারাও এখন  ঘর গোছাচ্ছে। মন্ত্রী-এমপিরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। দলের নীতিনির্ধারকেরা প্রার্থী মনোনয়নের জন্য  খুঁজছে ক্লীন ইমেজ, শিক্ষিত ও জনবান্ধব প্রার্থী। ইতোমধ্যে আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায়ে গভীর পর্যবেক্ষণ করছেন যাতে আগামী নির্বাচনে অধিকতর গ্রহণযোগ্য ও ক্লীন ইমেজের প্রার্থীকে নমিনেশন দিয়ে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করা যায়।
  সকল দলগুলোর নির্বাচিত মন্ত্রী-এমপিরা এতদিনের ভুলক্রটির জন্য সাধারণ জনগণকে নিয়ে বিভিন্ন সভা সেমিনার করছেন। ঘর গোছাতে ব্যস্ত সবাই। শুধু শহরেই নয় গ্রাম-গঞ্জে হাট বাজারেও দিনভর চলছে রাজনৈতিক আলাপালোচনা। চায়ের দোকান সরগরম থাকে সর্বক্ষণ নির্বাচনী আলাপালোনায়। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ফেস্টুন,ব্যানারের মাধ্যমে এলাকার জনগণকে বিভিন্ন উৎসব পার্বনে শুভেচছা ও দোয়া কামনা করছেন।
সকল এলাকার মতো প্রচার প্রচারণায় পিছিয়ে নেই বরিশাল-৩    আসন অর্থাৎ (মুলাদী- বাবুগঞ্জ)-ও। এখানেও বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া।এবারের নির্বাচনে সিনিয়র  নেতাদের পাশাপাশি তরুন ও উচ্চশিক্ষিতরা এগিয়ে এসেছে। এবারে  মুলাদী-বাবুগঞ্জের রাজনীতিতে কয়েকজন তরুন,উদীয়মান ও উচ্চশিক্ষিত রাজনীতিকদের প্রচার, প্রচারণা ও কার্যক্রম লক্ষ্য করা যাচ্ছে।  তারা হলেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট মো. সাফায়েত হোসেন সজীব, জাহাঙ্গীর কবির নানকের সাবেক এপিএস মো. মিজানুর রহমান, আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন খশরু, বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী এমদাদুল হক দুলাল, মুলাদী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. তারিকুল হাসান মিঠু প্রমুখ। সকলেই সাধ্যমতো প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে পদবীর চালিয়ে যাচ্ছেন। সকল প্রার্থীদের তুলনায় এ্যাডভোকেট সাফায়েত হোসেন সজিব অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।   তিনি  একজন সৎ,  মেধাবী, সদালাপী, সদাহোস্যজ্জল ও মানবদরদী ব্যক্তিত্ব।  তিনি আপন সম্মোহনী  ক্ষমতার দ্বারা অতিসহজেই যেকারো মন জয় করতে পারেন। নিজস্ব ক্লিন ইমেজ দ্বারা এলকার মানুষের মাঝে সাড়া জাগিয়ে  জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ভোটের মাধ্যমে জয়লাভ করতে চান। জনগণের মাঝে বৈষম্যহীন,সুস্থ্য ধারার রাজনীতি ফিরিয়ে আনাসহ  একটি উন্নত জনপদে পরিনত করার অভিপ্রায় নিয়ে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। । স্বাধীনতা পরবর্তী যতটি নির্বাচন হয়েছে,   বেশীরভাগ সময় বিরোধী দল বা ছোট দলের প্রার্থী জয়লাভ করেছে ফলে অন্যান্য এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হলেও এ এলাকা রয়েগেছে অবহেলিত ও অনুন্নত। কিন্তু এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুলাদী -বাবুগঞ্জে এক নতুন মাত্রার যোগ হয়েছে  তরুন রাজনীতিক। তাই এলাকার জনগণের মধ্যেও তরুন এই রাজনীতিককে নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ-এর মধ্যেও নানান জল্পনাকল্পনা। তবে সকলের আশা  এ্যাডভোকেট সাফায়েত হোসেন সজীব দলীয় মনোনায়ন লাভ করুক। সম্প্রতি  মুলাদী-বাবুগঞ্জের রাজনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে  জরিপে দেখা যায় সকল প্রার্থীদের তুলনায় সাফায়েত হোসেন সজীব সকলের চেয়ে এগিয়ে।
নিজ এলাকা মুলাদীর সকল স্তরের লোকের কাছে একজন পছন্দের ব্যক্তিত্ব।  সকলেই বলেন, তিনি অত্যন্ত ভদ্র, পরোপকারী, মানবদরদী, সৎ,নিষ্ঠাবান ও সদাহাস্যজ্বল একজন প্রিয় মানুষ। এলাকার সকলের দাবী বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন সাফায়েত হোসেন সজিবকেই নমিনেশন দেন।
দলমত নির্বিশেষে এ্যাডভোকেট সাফায়েত হোসেন সজিব সকলের কাছে অত্যন্ত প্রিয় একজন মানুষ। তাঁর সম্পর্কে বাটা মারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম বলেন, সজীব ভাই একজন মানবদরদী মানুষ। তিনি গরীর দুঃখী মানুষের জন্য সর্বদা দ্বার খোলা। মহামারী করোনাকালীন সময় অনেককে খাদ্য আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি মানবতার ফেরি ওয়ালা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। আইনজীবী হিসেবেও গরীব মানুষকে বিনামূল্যে আইনী সহায়তা দিয়ে থাকেন। সর্বোপরি একজন মানবিক মানুষ। তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে মুলাদী বাবুগঞ্জের সকল স্তরের জনগন তাঁকে চায়। সকলের মুখে রব উঠেছে, ” সুখে দুঃখে যাকে পাই, সে আমাদের সজীব ভাই। তিনি যদি নির্বাচিত হন, তাহলে সর্বপ্রথম কাজ থাকবে গরীব দুঃখী মানুষের আশা পূরণ করা।
এ্যাডভোকেট সজীব সম্পর্কে বাবুগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রহমতপুর গ্রামের আসমা পারভীন বলেন, সজীব ভাই একজন মানবদরদী, সদাহাস্যোজ্জল ও সুন্দর মনের মানুষ। তিনি একজন উচ্চশিক্ষিত, সাদা মনের মানুষ। তিনি একজন নিরহংকার মানুষ, আমরা যখন তখন তাঁর কাছে নিজেদের দাবী-দাওয়ার কথা জানাতে পারবো।  সর্বোপরি একজন ক্লীন ইমেজের লোক,এলাকার উন্নয়নে তাঁর মতো নির্লোভ মানুষ খুবই প্রয়োজন।  তিনি নমিনেশন পেলে আমাদের মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করবো এবং  তাঁকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী জানাই, তিনি যেন “হীরা চিনতে ভুল করেন না। এলাকার সকলের পক্ষথেকে দাবী জানাই, সজীব ভাইকে যেন নমিনেশন দেন। পাশাপাশি সজীব ভাইয়ের কাছে আমার দাবী  নির্বাচিত হলে তিনি যেন আমাদেরকে ভুলে না যান। আপনারা জানেন, রহমতপুর ইউনিয়নটি অনেক অনুন্নত, এখানে এখনো কাঁচা রাস্তা রয়েছে, বর্ষাকালে এলাকার মানুষের যাতায়াতে অনেক অসুবিধা হয়। তিনি নির্বাচিত হলে তিনি যেন অত্র এলাকার রাস্তাঘাটগুলো পাকা করার ব্যবস্থা করেন। এছাড়াও  কিছু কিছু লোক মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত যাদের কারণে এলাকার যুবসমাজ ধ্বংস হচ্ছে,আমার দাবী তিনি যেন এসব মাদককারবারীদের নির্মুল করে, সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনেন।
বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ  খানপুরায় চা খেতে খেতে কয়েক জন বয়স্ক লোকের সাথে কথা হয়, তারাও বলেন, সজিব অত্যন্ত ভদ্র, সৎ,  মানবদরদী ও উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি, আমরা চাই আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নমিনেশন পান।
ব্যক্তিগত পরিচিতি: এ্যাডভোকেট সাফায়েত হোসেন সজীব ১৯৭৮ সালে ৪ এপ্রিল, বরিশাল জেলার মুলাদী থানার কাজিরচর গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম মো. সরোয়ার হোসেন, মাতার নাম রেনু বেগম।
রাজনৈতিক পরিচিতি: এ্যাডভোকেট সাফায়েত হোসেন সজীব বয়সে তরুন হলেও রাজনীতিতে তিনি অনেক প্রবীন। রাজনীতিতে তাঁর রয়েছে বর্ণাঢ্য কর্মময় ও ঈর্ষানীয় ক্যারিয়ার। ছোটবেলা থেকে তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী,  ভদ্র ও মানবদরদী। অত্র এলাকার মানুষের দুঃখ দুর্দশা তাঁর হৃদয়ে নাড়া দিত। সর্বদা মনের মধ্যে ঘুরপাক খেত কিভাবে মানুষের সেবা করা যায়। দেশের মানুষের সেবা করার অভিপ্রায় নিয়েই মূলতঃ তাঁর  রাজনীতিতে আসা। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন-এর নির্বাচিত কার্যনির্বাহী সদস্য। ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, সদস্য বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবি পরিষদ, সাবেক এ্যাসিস্টান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর, সাবেক সহ-সভাপতি বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদ,কেন্দ্রীয় কমিটি। সাবেক ছাত্রলীগ সদস্য, ঢাকা কলেজ। আগাগোড়াই একজন আওয়ামী ঘরনার লোক।
 ছাত্রজীবন থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে  বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। দেশের বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। এছাড়াও এলাকার রাজনীতির সাথেও আমার সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাছাড়া  বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বার এ্যাসোসিয়েশনের  নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। তাই তিনি আশাবাদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাকে চিনেন, তিনি আশা করেন আগামী নির্বাচনে তিনু নমিনেশন পাবেন।
তিনি অনেক আগে থেকেই এলাকার উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। এলাকার বহু মসজিদ, মাদ্রাসা ও স্কুলের উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় অসহায় দরিদ্র মানুষকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।  গত ২০১৯ -২০২০ সালে মহামারী করোনার সময় অনেক অনেক দরিদ্র ও সাধারণ মানুষকে আর্থিক সহায়তা ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।
বাবুগঞ্জ মুলাদীর ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশের সকল এলাকায় ব্যাপক উন্নতি সাধিত হলেও সেতুলনায় অত্রএলাকা চোখেপড়ার মতো তেমন কোন উন্নতি হয়নি। এর মূল কারণ হলো এখানকার বেশীরভাগ এমপিই ছিলেন বিরোধী দলের বা ছোট দলের তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ব্যাপক উন্নতি হয়নি। আমি যদি আওয়ামীলীগের মনোনায়ন পেয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে অত্র এলাকার রাস্তা-ঘাট,ব্রীজ,কালভার্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করবো। পাশাপাশি অত্র এলাকায় দলমত নির্বিশেষে বৈষম্যহীন, সুস্থ ধারার রাজনীতি ফিরিয়ে আনবো। এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিষণ ৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন,  আলোকিত জাতি গঠন তথা উন্নত রাষ্ট্র বিনির্মানে কার্যকরী ভূমিকা রাখবো। এলাকার উন্নয়নে একজন সৎ নাগরিকের ভূমিকা পালন করবো।  অন্যায়ভাবে ও জোরপূর্বক কারো জমি দখল বন্ধ করবো।  এছাড়া এলাকায় বহুবছর ধরে চলে আস শালিস প্রথা অবসান ঘটাবো। আর্থিক লেনদেন ও পক্ষপাতিত্বের গ্রাম্য বিচারব্যবস্থার  ফলে অসহায় মানুষ সঠিক বিচার পায় না আমি নির্বাচিত হলে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করবো, তারা হলেন এলাকার মসজিদের ইমাম, মুসলিম ছাড়া অন্যধর্মের একজন ধর্মীয় নেতা সদস্য, স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, একজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। এই পাঁচজন মিলে সঠিক ও ন্যায়নিষ্ঠ  ভাবে বিচার করবে।
তিনি আরও বলেন, আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে, সর্বপ্রথম মীরগঞ্জ ব্রীজটির কাজ করবো। এ ব্রীজটির কারণে বহুবছর এ এলাকার লোক ভোগান্তি পোহাচ্ছে। ব্রীজ না থাকায় এলাকার লোকজন নদী পার হতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়,তাছাড়া খেয়াঘাটের ডাক নিয়ে প্রতি বছর মারামারি ঝগড়া বিবাদ হয়। এ ব্রীজটি হলে অত্র এলাকার মানুষের বহুদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হবে।
পরিশেষে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সকল দলের অংশগ্রহণে। মুলাদী বাবুগঞ্জবাসীর কাছে দোয়া কামনা করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁকে যেন নমিনেশন দেন এবং অত্র এলাকার রাস্তাঘাট, পুল,ব্রীজ, স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারেন। পাশাপাশি আমি যেন মুলাদী বাবুগঞ্জ থানাকে যেন উনয়নের রোলমডেলে পরিনত করতে পারি।
সর্বোপরি একজন মানবদরদী ও নিষ্ঠাবান সেবক হয়ে দেশের একজন সুনাগরিকের ন্যায় দ্বায়িত্ব পালন করতে চাই।