০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হামলা, আহত ৫

তাসদিকুল হাসান, জবি প্রতিনিধি
নারী শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করার কারণে বাখাটেদের মার খেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী।  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবহনকারী উল্কা-৩ বাস বনানী এলাকায় পৌঁছালে পাশ দিয়েই চলাচল করা সৌখিন পরিবহনের একটি বাসের হেলপার কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত করে কটূ কথা বলেন। সেই সময় বাসের কয়েকজন ছাত্র তার প্রতিবাদ করে এই ঘটনার জন্য সৌখিন পরিবহন বাসের অভিযুক্ত হেলপারকে ক্ষমা চাইতে বলেন। পরে বনানী থেকে উল্কা-২ বাসটি মহাখালী বাসট্যান্ড এলাকায় এলে সৌখিন পরিবহনের ওই বাসের হেলপার, ড্রাইভার ও সুপারভাইজারের নেতৃত্বে বাসট্যান্ডের শতাধিক হেলপার ও ড্রাইভার শিক্ষার্থীদের ওপর রড ও লাঠি নিয়ে বর্বর হামলা চালায়। তাদের আক্রমণে আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী  হলেন ইতিহাস বিভাগের নাইম ইসলাম, আইন বিভাগের রক্তিম ইউসুফ ও শেখ সাব্বির আহমেদ সজল, ভূগোল বিভাগের জুনায়েদ আহমেদ জিদান, রসায়ন বিভাগের সজিব শাহরিয়ার। গুরুতর আহত এক শিক্ষার্থীর মাথায় চারটি সেলাই ও হাতে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায়  আনতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করেছেন আহত শিক্ষার্থীরা।
ঘটনার বিষয়ে উল্কা-৩ বাসের ড্রাইভার বলেন, আমি গাড়ি ঠিক লাইনেই চালাচ্ছিলাম। বনানী সিগনালে সৌখিন বাস থেকে স্টাফ কন্ডাক্টররা ভার্সিটির বাসে ইভটিজিং করে। পরে মহখালি কাউন্টারে আসলে রড পাইপ দিয়ে হামলা করা হয় এতে ৫/৬ জন আহত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক নিউটন হাওলাদার জানান, “এ বিষয়ে ঐ স্থানীয় থানার এক পুলিশ সদস্যের সাথে কথা হয়েছে। তিনি সম্পূর্ণ সহযোগীতা করবেন জানিয়েছেন। বাসের তথ্য ও হামলাকারীদের সঠিক তথ্য না পাওয়ায় এখন সিসি ক্যামেরা এর মাধ্যমে শনাক্ত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করেছে। আমরা মামলা করার পদক্ষেপ নিচ্ছি।”
ট্যাগস :
আপডেট : ০৫:৫৭:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
১৭০ বার পড়া হয়েছে

ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হামলা, আহত ৫

আপডেট : ০৫:৫৭:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
নারী শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করার কারণে বাখাটেদের মার খেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী।  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবহনকারী উল্কা-৩ বাস বনানী এলাকায় পৌঁছালে পাশ দিয়েই চলাচল করা সৌখিন পরিবহনের একটি বাসের হেলপার কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত করে কটূ কথা বলেন। সেই সময় বাসের কয়েকজন ছাত্র তার প্রতিবাদ করে এই ঘটনার জন্য সৌখিন পরিবহন বাসের অভিযুক্ত হেলপারকে ক্ষমা চাইতে বলেন। পরে বনানী থেকে উল্কা-২ বাসটি মহাখালী বাসট্যান্ড এলাকায় এলে সৌখিন পরিবহনের ওই বাসের হেলপার, ড্রাইভার ও সুপারভাইজারের নেতৃত্বে বাসট্যান্ডের শতাধিক হেলপার ও ড্রাইভার শিক্ষার্থীদের ওপর রড ও লাঠি নিয়ে বর্বর হামলা চালায়। তাদের আক্রমণে আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী  হলেন ইতিহাস বিভাগের নাইম ইসলাম, আইন বিভাগের রক্তিম ইউসুফ ও শেখ সাব্বির আহমেদ সজল, ভূগোল বিভাগের জুনায়েদ আহমেদ জিদান, রসায়ন বিভাগের সজিব শাহরিয়ার। গুরুতর আহত এক শিক্ষার্থীর মাথায় চারটি সেলাই ও হাতে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায়  আনতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করেছেন আহত শিক্ষার্থীরা।
ঘটনার বিষয়ে উল্কা-৩ বাসের ড্রাইভার বলেন, আমি গাড়ি ঠিক লাইনেই চালাচ্ছিলাম। বনানী সিগনালে সৌখিন বাস থেকে স্টাফ কন্ডাক্টররা ভার্সিটির বাসে ইভটিজিং করে। পরে মহখালি কাউন্টারে আসলে রড পাইপ দিয়ে হামলা করা হয় এতে ৫/৬ জন আহত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক নিউটন হাওলাদার জানান, “এ বিষয়ে ঐ স্থানীয় থানার এক পুলিশ সদস্যের সাথে কথা হয়েছে। তিনি সম্পূর্ণ সহযোগীতা করবেন জানিয়েছেন। বাসের তথ্য ও হামলাকারীদের সঠিক তথ্য না পাওয়ায় এখন সিসি ক্যামেরা এর মাধ্যমে শনাক্ত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করেছে। আমরা মামলা করার পদক্ষেপ নিচ্ছি।”