০২:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

৭ জানুয়ারী আওয়ামীলীগ ভোট ডাকাতির হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছে – ডা. শাহাদাত হোসেন

রিপন চৌধুরী বিশেষ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামীলীগের অবৈধ ক্ষমতার মেয়াদ বাড়াতে পূর্বনির্ধারিত ফলাফল ঘোষণার পাতানো ডামি নির্বাচন নিয়ে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। শেখ হাসিনার ভাগবাটোয়ারার নির্বাচনে কে জিতবে, তার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ২৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে এক মতবিনিময় সভায় স্বীকার করেছেন যে, ২০১৮ সালে রাতে ভোট হয়েছিল। এবারের নির্বাচনে বহু এলাকায় ডামি প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরাই প্রকাশ্যে স্বীকার করছেন কীভাবে ১৮ সালে রাতে ভোট ডাকাতি করেছিল। এবারও নির্বাচনকে ঘিরে ভয়ংকর অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো শেখ হাসিনা সরকার আবারও গায়ের জোরে একতরফা ভোটহীন আরও একটি পাতানো নির্বাচনের চেষ্টা করছে। আগামী ৭ জানুয়ারীর ভুয়া নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগ ভোট ডাকাতির হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছে। মানুষের ভোটাধিকার ধ্বংস করার জন্য আওয়ামীলীগ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বুকে স্থান পাবে। তিনি শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে মুরাদপুর এন মোহাম্মদ, মির্জা পুল ও শোলক বহর এলাকায় সরকার পতনের একদফা দাবি ও ৭ জানুয়ারীর নির্বাচন বর্জনে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জনমত তৈরির লক্ষ্যে পাঁচলাইশ থানা বিএনপির গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন। তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, দোকানদার ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে আসন ভাগাভাগির একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পাতানো নির্বাচনে আওয়ামী প্রার্থী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন, রাষ্ট্রযন্ত্র, প্রিসাইডিং অফিসার সব একাকার হয়ে গেছে। তারা ছলেবলে কৌশলে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেছে। কোনো কোনো প্রার্থী হুমকি দিচ্ছে, ভোট কেন্দ্রে না গেলে নাগরিক সুবিধা বাতিল করা হবে। কিন্তু সরকার যত যাই করুক, কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। মাফিয়াচক্রের জন্য অনিবার্য পতন অপেক্ষা করছে। ৭ জানুয়ারি জনগণ শেখ হাসিনাকে লাল কার্ড দেখিয়ে বিদায় করবে। গণতন্ত্রকামী মানুষের চলমান আন্দোলন এগিয়ে যাবে, জনগণের বিজয় হবে। এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইস্কান্দার মির্জা, পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ূন, শোলক বহর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কাজী শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক হাসান উসমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, থানা বিএনপির সহ সভাপতি লেদু মেম্বার, আবদুল মান্নান, শাহজাহান বাবুল, পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সি. যুগ্ম সম্পাদক এম এ হামিদ দিদার, শোলক বহর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. হাসান, তৌহিদুল ইসলাম রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আকবর, মহানগর যুবদল নেতা আলিফ উদ্দিন রুবেল, মো. সেলিম প্রমূখ। এছাড়া মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবদুল হালিম শাহ আলমের নেতৃত্বে লালখান বাজার ইস্পাহানি মোড়, মতিঝর্ণা কাঁচা বাজার, বাটালী রোড ও টাইগার পাস এলাকায় লিফলেট বিতরণ করা হয়। এতে অংশ নেন মহানগর যুবদলের কোষাধক্ষ নূর হোসেন উজ্জল, থানা বিএনপি নেতা জানে আলম বাচা, থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো, জাবেদ। তাছাড়া উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইন্জি. বেলায়েত হোসেন, জেলা বিএনপি নেতা আজমত আলী বাহাদুর, গাজী হানিফ, মোশারফ হোসেন আকবর, এম এ হালিমের নেতৃত্বে রিয়াজুদ্দিন বাজার এলাকায় ও মহানগর মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনির নেতৃত্বে রামপুর ওয়ার্ডের নয়াবাজার এলাকায় মহিলাদলের লিফলেট বিতরণ, আকবর শাহ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাঈনুদ্দীন চৌধুরী মাঈনু ও কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রফিক উদ্দীন চৌধুরীর নেতৃত্বে কাট্টলী কমিউনিটি সেন্টার ও বিশ্বাস পাড়া এলাকায় লিফলেট বিতরণ করা হয়। এতে অংশ নেন আকবর শাহ থানা বিএনপির সি. সহ সভাপতি মহসীন তালুকদার, কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন, মহানগর যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম, থানা যুবদলের আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন টুনু, নগর ছাত্রদলের সদস্য আব্বাস রিপন, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি ফজলুল হক সুমন, পাহাড়তলী থানা যুবদলের সদস্য সচিব শওকত খাঁন রাজু ও বন্দর থানা যুবদলের সি. যুগ্ম আহবায়ক মো. ইয়াছিনের নেতৃত্বে পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজার ও বন্দর নিমতলা এলাকায়, মহানগর যুবদলের সি. যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসাইনের নেতৃত্বে চান্দগাঁও বণিক পাড়া ও উত্তর চান্দগাঁও এলাকায়, খুলশী থানা যুবদলের আহবায়ক হেলাল হোসেন ও নগর যুবদলের সহ সম্পাদক হোসেন উজ জামান, আবু কালাম, বাদশা আলমগীর ও জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ফয়েস লেক এলাকায়, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক এম. আবু বক্কর রাজু, চান্দগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাজিদ হাসান রনি ও সদস্য সচিব মো. শহীদুজ্জামানের নেতৃত্বে বহদ্দারহাট এলাকায়, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন চৌধুরী ও খুলশী থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. মিল্টনের নেতৃত্বে বড়পুল ও নয়াবাজার এলাকায়, কোতোয়ালী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এন মোহাম্মদ রিমনের নেতৃত্বে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন করা হয়।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৮:৫৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
২২৫ বার পড়া হয়েছে

৭ জানুয়ারী আওয়ামীলীগ ভোট ডাকাতির হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছে – ডা. শাহাদাত হোসেন

আপডেট : ০৮:৫৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামীলীগের অবৈধ ক্ষমতার মেয়াদ বাড়াতে পূর্বনির্ধারিত ফলাফল ঘোষণার পাতানো ডামি নির্বাচন নিয়ে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। শেখ হাসিনার ভাগবাটোয়ারার নির্বাচনে কে জিতবে, তার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ২৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে এক মতবিনিময় সভায় স্বীকার করেছেন যে, ২০১৮ সালে রাতে ভোট হয়েছিল। এবারের নির্বাচনে বহু এলাকায় ডামি প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরাই প্রকাশ্যে স্বীকার করছেন কীভাবে ১৮ সালে রাতে ভোট ডাকাতি করেছিল। এবারও নির্বাচনকে ঘিরে ভয়ংকর অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো শেখ হাসিনা সরকার আবারও গায়ের জোরে একতরফা ভোটহীন আরও একটি পাতানো নির্বাচনের চেষ্টা করছে। আগামী ৭ জানুয়ারীর ভুয়া নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগ ভোট ডাকাতির হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছে। মানুষের ভোটাধিকার ধ্বংস করার জন্য আওয়ামীলীগ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বুকে স্থান পাবে। তিনি শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে মুরাদপুর এন মোহাম্মদ, মির্জা পুল ও শোলক বহর এলাকায় সরকার পতনের একদফা দাবি ও ৭ জানুয়ারীর নির্বাচন বর্জনে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জনমত তৈরির লক্ষ্যে পাঁচলাইশ থানা বিএনপির গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন। তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, দোকানদার ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে আসন ভাগাভাগির একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পাতানো নির্বাচনে আওয়ামী প্রার্থী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন, রাষ্ট্রযন্ত্র, প্রিসাইডিং অফিসার সব একাকার হয়ে গেছে। তারা ছলেবলে কৌশলে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেছে। কোনো কোনো প্রার্থী হুমকি দিচ্ছে, ভোট কেন্দ্রে না গেলে নাগরিক সুবিধা বাতিল করা হবে। কিন্তু সরকার যত যাই করুক, কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। মাফিয়াচক্রের জন্য অনিবার্য পতন অপেক্ষা করছে। ৭ জানুয়ারি জনগণ শেখ হাসিনাকে লাল কার্ড দেখিয়ে বিদায় করবে। গণতন্ত্রকামী মানুষের চলমান আন্দোলন এগিয়ে যাবে, জনগণের বিজয় হবে। এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইস্কান্দার মির্জা, পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ূন, শোলক বহর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কাজী শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক হাসান উসমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, থানা বিএনপির সহ সভাপতি লেদু মেম্বার, আবদুল মান্নান, শাহজাহান বাবুল, পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সি. যুগ্ম সম্পাদক এম এ হামিদ দিদার, শোলক বহর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. হাসান, তৌহিদুল ইসলাম রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আকবর, মহানগর যুবদল নেতা আলিফ উদ্দিন রুবেল, মো. সেলিম প্রমূখ। এছাড়া মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবদুল হালিম শাহ আলমের নেতৃত্বে লালখান বাজার ইস্পাহানি মোড়, মতিঝর্ণা কাঁচা বাজার, বাটালী রোড ও টাইগার পাস এলাকায় লিফলেট বিতরণ করা হয়। এতে অংশ নেন মহানগর যুবদলের কোষাধক্ষ নূর হোসেন উজ্জল, থানা বিএনপি নেতা জানে আলম বাচা, থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো, জাবেদ। তাছাড়া উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইন্জি. বেলায়েত হোসেন, জেলা বিএনপি নেতা আজমত আলী বাহাদুর, গাজী হানিফ, মোশারফ হোসেন আকবর, এম এ হালিমের নেতৃত্বে রিয়াজুদ্দিন বাজার এলাকায় ও মহানগর মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনির নেতৃত্বে রামপুর ওয়ার্ডের নয়াবাজার এলাকায় মহিলাদলের লিফলেট বিতরণ, আকবর শাহ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাঈনুদ্দীন চৌধুরী মাঈনু ও কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রফিক উদ্দীন চৌধুরীর নেতৃত্বে কাট্টলী কমিউনিটি সেন্টার ও বিশ্বাস পাড়া এলাকায় লিফলেট বিতরণ করা হয়। এতে অংশ নেন আকবর শাহ থানা বিএনপির সি. সহ সভাপতি মহসীন তালুকদার, কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন, মহানগর যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম, থানা যুবদলের আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন টুনু, নগর ছাত্রদলের সদস্য আব্বাস রিপন, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি ফজলুল হক সুমন, পাহাড়তলী থানা যুবদলের সদস্য সচিব শওকত খাঁন রাজু ও বন্দর থানা যুবদলের সি. যুগ্ম আহবায়ক মো. ইয়াছিনের নেতৃত্বে পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজার ও বন্দর নিমতলা এলাকায়, মহানগর যুবদলের সি. যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসাইনের নেতৃত্বে চান্দগাঁও বণিক পাড়া ও উত্তর চান্দগাঁও এলাকায়, খুলশী থানা যুবদলের আহবায়ক হেলাল হোসেন ও নগর যুবদলের সহ সম্পাদক হোসেন উজ জামান, আবু কালাম, বাদশা আলমগীর ও জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ফয়েস লেক এলাকায়, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক এম. আবু বক্কর রাজু, চান্দগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাজিদ হাসান রনি ও সদস্য সচিব মো. শহীদুজ্জামানের নেতৃত্বে বহদ্দারহাট এলাকায়, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন চৌধুরী ও খুলশী থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. মিল্টনের নেতৃত্বে বড়পুল ও নয়াবাজার এলাকায়, কোতোয়ালী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এন মোহাম্মদ রিমনের নেতৃত্বে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন করা হয়।