০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে মনোহরদীর জামদানি শিল্পীদের

প্রতিনিধির নাম

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের জামদানি শিল্পীরা।উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের বর্তমানে জামদানি পল্লীতে প্রায় ২৫ টি তাঁতে শতাধিক পরিবার জামদানি শাড়ি তৈরির কাজে জড়িত।সুতার গুণগত মানও ডিজাইন প্রকারভেদ বিভিন্ন দামের জামদানি শাড়ি তৈরি করে থাকেন এখানকার জামদানি শিল্পীরা।প্রতিটি জামদানি শাড়ি ৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানে তৈরি করা হয়।একসঙ্গে দু`জন তাঁতি কাজ করে প্রতিটি শাড়ি তৈরি করতে ১৫ দিন থেকে এক মাস সময় লাগে।এতে জামদানি শিল্পীদের মুজুরি খরচ পড়ে প্রায় ৩ থেকে ১২ হাজার টাকা।দৌলতপুর জামদানি পল্লীতে গিয়ে দেখা`যায়,রোজা শুরু থেকেই তাঁত প্রধান এলাকাগুলো কর্মমুখর হয়ে উঠেছে।জামদানি কাপড় তৈরির কাজে ব্যস্ত এখানকার জামদানি শিল্পীরা।জামদানি সুতি, জামদানি শাড়ির ওপরে বর্ণিল সুতার কাজ করা হচ্ছে।এছাড়া কাপড়ের ওপর প্রিন্টি এবং রঙ তুলির আঁচড়ে হাতে করা হচ্ছে নান্দনিক ও মনোমুগ্ধকর নানা নকশা।আর বিভিন্ন নকশার তৈরি কাপড়ের চাহিদা ও সোনাম ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

উপজেলার দৌলতপুরের তৈরি জামদানি শাড়ি সরবরাহ করা হচ্ছে রাজধানী ঢাকার অভিজাত বিপণী বিতানগুলোতেও।অধিক মজুরির আশায় দিন- রাত কাজ করে যাচ্ছেন জামদানি শাড়ির শিল্পীরা।জামদানি পল্লী ঘুরে জানা গেছে, দৌলতপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাব জামদানি পল্লী থেকে জামদানি শাড়ি তৈরির কাজ শিখে ১৯৮৮ সালে নিজ উদ্যােগে দৌলতপুরে একটি তাঁত স্থাপন করে জামদানি শাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেন।চাহিদা থাকায় ও লাভজনক হওয়ায় পরিবারের অন্যদের যুক্ত করেন জামদানি শাড়ি তৈরির কাজে।তাকে অনুসরণ করে অনেকে নিজ নিজ বাড়িতে তাঁত স্থাপন করেন।এভাবে দৌলতপুর ইউনিয়নে জামদানি শাড়ি তৈরির প্রসার ঘটে।জামদানি শাড়ির শিল্পী আব্দুল খালেক মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান বাজারে এই কাজ করে যে মজুরি পাওয়া যায়, তা খুব একটা বেশি নয়।জামদানি শিল্পীদের তেমন পুঁজি না থাকায় এবং সূতার দাম বেশি  হওয়ার কারনে আমাদের মজুরি কম।

ট্যাগস :
আপডেট : ১০:০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩
৭৬ বার পড়া হয়েছে

ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে মনোহরদীর জামদানি শিল্পীদের

আপডেট : ১০:০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের জামদানি শিল্পীরা।উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের বর্তমানে জামদানি পল্লীতে প্রায় ২৫ টি তাঁতে শতাধিক পরিবার জামদানি শাড়ি তৈরির কাজে জড়িত।সুতার গুণগত মানও ডিজাইন প্রকারভেদ বিভিন্ন দামের জামদানি শাড়ি তৈরি করে থাকেন এখানকার জামদানি শিল্পীরা।প্রতিটি জামদানি শাড়ি ৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানে তৈরি করা হয়।একসঙ্গে দু`জন তাঁতি কাজ করে প্রতিটি শাড়ি তৈরি করতে ১৫ দিন থেকে এক মাস সময় লাগে।এতে জামদানি শিল্পীদের মুজুরি খরচ পড়ে প্রায় ৩ থেকে ১২ হাজার টাকা।দৌলতপুর জামদানি পল্লীতে গিয়ে দেখা`যায়,রোজা শুরু থেকেই তাঁত প্রধান এলাকাগুলো কর্মমুখর হয়ে উঠেছে।জামদানি কাপড় তৈরির কাজে ব্যস্ত এখানকার জামদানি শিল্পীরা।জামদানি সুতি, জামদানি শাড়ির ওপরে বর্ণিল সুতার কাজ করা হচ্ছে।এছাড়া কাপড়ের ওপর প্রিন্টি এবং রঙ তুলির আঁচড়ে হাতে করা হচ্ছে নান্দনিক ও মনোমুগ্ধকর নানা নকশা।আর বিভিন্ন নকশার তৈরি কাপড়ের চাহিদা ও সোনাম ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

উপজেলার দৌলতপুরের তৈরি জামদানি শাড়ি সরবরাহ করা হচ্ছে রাজধানী ঢাকার অভিজাত বিপণী বিতানগুলোতেও।অধিক মজুরির আশায় দিন- রাত কাজ করে যাচ্ছেন জামদানি শাড়ির শিল্পীরা।জামদানি পল্লী ঘুরে জানা গেছে, দৌলতপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাব জামদানি পল্লী থেকে জামদানি শাড়ি তৈরির কাজ শিখে ১৯৮৮ সালে নিজ উদ্যােগে দৌলতপুরে একটি তাঁত স্থাপন করে জামদানি শাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেন।চাহিদা থাকায় ও লাভজনক হওয়ায় পরিবারের অন্যদের যুক্ত করেন জামদানি শাড়ি তৈরির কাজে।তাকে অনুসরণ করে অনেকে নিজ নিজ বাড়িতে তাঁত স্থাপন করেন।এভাবে দৌলতপুর ইউনিয়নে জামদানি শাড়ি তৈরির প্রসার ঘটে।জামদানি শাড়ির শিল্পী আব্দুল খালেক মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান বাজারে এই কাজ করে যে মজুরি পাওয়া যায়, তা খুব একটা বেশি নয়।জামদানি শিল্পীদের তেমন পুঁজি না থাকায় এবং সূতার দাম বেশি  হওয়ার কারনে আমাদের মজুরি কম।