০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

এবার অমিক্রনের উপধরন যেসব প্রশ্ন সামনে এনেছে

প্রতিনিধির নাম

করোনার অমিক্রন ধরন

বিজ্ঞাপন

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, এই উপধরন নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাজ্যের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি (ইউকেএইচএসএ)। চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনে যুক্তরাজ্যে এই উপধরনে আক্রান্ত ৪০০ জনের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্বের আরও ৪০টি দেশে এই উপধরন শনাক্ত হয়েছে। যেসব দেশে এই বিএ.২ উপধরনে আক্রান্ত রোগী অপেক্ষাকৃত বেশি সেগুলো হলো ভারত, ডেনমার্ক, সুইডেন।
বিশ্বজুড়ে এখন করোনার প্রভাব বিস্তারকারী ভেরিয়েন্ট হলো বিএ.১। এটি মূলত অমিক্রন। কিন্তু সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া বিএ.২-কে পর্যবেক্ষণে রেখেছে ইউকেএইচএসএ। কর্তৃপক্ষ বলছে, অমিক্রনের জিন বিন্যাসের পরিবর্তন নিয়ে এখনো কিছু অনিশ্চয়তা রয়েছে। এর কারণেই উপধরনটি পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন। বিএন.২-এর সংক্রমণ সুনির্দিষ্ট হারে বাড়ছে। ভারত ও ডেনমার্কে এর সংক্রমণ বেশি বাড়ছে।

এ প্রসঙ্গে ফ্রান্সের রোগতত্ত্ববিদ অ্যান্টোইন ফ্লাহল্ট বলছেন, ‘এই উপধরনের বিস্তারের ক্ষমতা আমাদের বিস্মিত করছে। এটি এশিয়া ছড়াচ্ছে। আর ডেনমার্কে সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন এই উপধরন। এই উপধরন কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে এবং রূপান্তরিত হচ্ছে, তা বিজ্ঞানীদেরই নির্ধারণ করতে হবে।’

বিএন.২ উপধরনকে এখনো উদ্বেগজনক হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়নি। তবে ফ্রান্সের ওই বিশেষজ্ঞ বলছেন, দেশগুলোকে এ নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বিজ্ঞানীরা এই উপধরন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে তাঁদের নজরদারি জোরদার করেছেন।

রোগতত্ত্ববিদ অ্যান্টোইন ফ্লাহল্ট বলছেন, ‘আমাদের আগ্রহের কারণ হলো, এই উপধরনের নতুন কোনো বৈশিষ্ট্য রয়েছে কি না।’ ফ্রান্সে বিএ.২-এর সংক্রমিত রোগী বাড়ছে।

এই উপধরন নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েছে। আর এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞানীরা।

এই উপধরন প্রসঙ্গে লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ টম পিকক বলেন, ভারত ও ডেনমার্ক থেকে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তা থেকে প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে যে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ক্ষেত্রে বিএ.১-এর সঙ্গে বিএ.২-এর খুব বেশি পার্থক্য নেই। তিনি বলেন, এই উপধরনের বিরুদ্ধে টিকা কাজ করে কি না, এই প্রশ্ন তোলা উচিত হবে না।

পিকক বলেন, বিএ.১-এর তুলনায় বিএ.২-এর সংক্রমণের ক্ষমতা কতটা বেশি, এ বিষয়ে খুব বেশি তথ্য তাঁদের কাছে নেই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি এ-ও বলেন, ‘এই সংক্রমণের ক্ষমতা নিয়ে আমরা কিছু ইঙ্গিত দিতে পারি বা পর্যবেক্ষণ তুলে ধরতে পারি।’

পিকক বলেন, ‘অমিক্রনের কারণে করোনার যে ঢেউ আঘাত হেনেছে, তাতে বিএ.২-এর বড় কোনো প্রভাব আছে কি না, আমি নিশ্চিত না। বিএ.১ ও বিএ.২-এর বিরুদ্ধে করোনার টিকার যে কার্যকারিতা, তার পার্থক্য খুব কমই হতে পারে।’

যুক্তরাজ্যের এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘অমিক্রনের কারণে অনেক দেশই সংক্রমণের চূড়া স্পর্শ করেছে। আবার অনেক দেশে সংক্রমণ সর্বোচ্চ চূড়া স্পর্শের পথে। আমি বেশ অবাক হব, যদি এই বিএ.২-এর কারণে আরেকটি ঢেউ আসে।’

ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভার ভেরান বলেন, অন্যান্য ভেরিয়েন্ট যেভাবে প্রভাব ফেলেছে, বিএ.২ ঠিক তেমন প্রভাব ফেলতে পারবে না।

ট্যাগস :
আপডেট : ১১:০২:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২
১৯৩ বার পড়া হয়েছে

এবার অমিক্রনের উপধরন যেসব প্রশ্ন সামনে এনেছে

আপডেট : ১১:০২:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২
বিজ্ঞাপন

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, এই উপধরন নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাজ্যের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি (ইউকেএইচএসএ)। চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনে যুক্তরাজ্যে এই উপধরনে আক্রান্ত ৪০০ জনের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্বের আরও ৪০টি দেশে এই উপধরন শনাক্ত হয়েছে। যেসব দেশে এই বিএ.২ উপধরনে আক্রান্ত রোগী অপেক্ষাকৃত বেশি সেগুলো হলো ভারত, ডেনমার্ক, সুইডেন।
বিশ্বজুড়ে এখন করোনার প্রভাব বিস্তারকারী ভেরিয়েন্ট হলো বিএ.১। এটি মূলত অমিক্রন। কিন্তু সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া বিএ.২-কে পর্যবেক্ষণে রেখেছে ইউকেএইচএসএ। কর্তৃপক্ষ বলছে, অমিক্রনের জিন বিন্যাসের পরিবর্তন নিয়ে এখনো কিছু অনিশ্চয়তা রয়েছে। এর কারণেই উপধরনটি পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন। বিএন.২-এর সংক্রমণ সুনির্দিষ্ট হারে বাড়ছে। ভারত ও ডেনমার্কে এর সংক্রমণ বেশি বাড়ছে।

এ প্রসঙ্গে ফ্রান্সের রোগতত্ত্ববিদ অ্যান্টোইন ফ্লাহল্ট বলছেন, ‘এই উপধরনের বিস্তারের ক্ষমতা আমাদের বিস্মিত করছে। এটি এশিয়া ছড়াচ্ছে। আর ডেনমার্কে সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন এই উপধরন। এই উপধরন কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে এবং রূপান্তরিত হচ্ছে, তা বিজ্ঞানীদেরই নির্ধারণ করতে হবে।’

বিএন.২ উপধরনকে এখনো উদ্বেগজনক হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়নি। তবে ফ্রান্সের ওই বিশেষজ্ঞ বলছেন, দেশগুলোকে এ নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বিজ্ঞানীরা এই উপধরন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে তাঁদের নজরদারি জোরদার করেছেন।

রোগতত্ত্ববিদ অ্যান্টোইন ফ্লাহল্ট বলছেন, ‘আমাদের আগ্রহের কারণ হলো, এই উপধরনের নতুন কোনো বৈশিষ্ট্য রয়েছে কি না।’ ফ্রান্সে বিএ.২-এর সংক্রমিত রোগী বাড়ছে।

এই উপধরন নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েছে। আর এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞানীরা।

এই উপধরন প্রসঙ্গে লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ টম পিকক বলেন, ভারত ও ডেনমার্ক থেকে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তা থেকে প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে যে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ক্ষেত্রে বিএ.১-এর সঙ্গে বিএ.২-এর খুব বেশি পার্থক্য নেই। তিনি বলেন, এই উপধরনের বিরুদ্ধে টিকা কাজ করে কি না, এই প্রশ্ন তোলা উচিত হবে না।

পিকক বলেন, বিএ.১-এর তুলনায় বিএ.২-এর সংক্রমণের ক্ষমতা কতটা বেশি, এ বিষয়ে খুব বেশি তথ্য তাঁদের কাছে নেই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি এ-ও বলেন, ‘এই সংক্রমণের ক্ষমতা নিয়ে আমরা কিছু ইঙ্গিত দিতে পারি বা পর্যবেক্ষণ তুলে ধরতে পারি।’

পিকক বলেন, ‘অমিক্রনের কারণে করোনার যে ঢেউ আঘাত হেনেছে, তাতে বিএ.২-এর বড় কোনো প্রভাব আছে কি না, আমি নিশ্চিত না। বিএ.১ ও বিএ.২-এর বিরুদ্ধে করোনার টিকার যে কার্যকারিতা, তার পার্থক্য খুব কমই হতে পারে।’

যুক্তরাজ্যের এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘অমিক্রনের কারণে অনেক দেশই সংক্রমণের চূড়া স্পর্শ করেছে। আবার অনেক দেশে সংক্রমণ সর্বোচ্চ চূড়া স্পর্শের পথে। আমি বেশ অবাক হব, যদি এই বিএ.২-এর কারণে আরেকটি ঢেউ আসে।’

ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভার ভেরান বলেন, অন্যান্য ভেরিয়েন্ট যেভাবে প্রভাব ফেলেছে, বিএ.২ ঠিক তেমন প্রভাব ফেলতে পারবে না।