১০:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

যাত্রীর জীবন রক্ষার্থে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের লন্ডন ফ্লাইট বুলগেরিয়ার সোফিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করে জরুরী অবতরণ করে।

মো. জাহিদুর রহমান
গত ০১/১২/২০২৩ তারিখে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ২০১ ফ্লাইট টি সিলেট হতে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ফ্লাইটের মধ্যে একজন যাত্রীর হটাৎ উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়। কেবিন ক্রুরা উক্ত যাত্রীর অসুস্থতার বিষয়টি ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন কে জানালে, ফ্লাইটের মধ্যে কোন ডাক্তার আছেন কিনা তার জন্য ককপিট থেকে এনাউন্সমেন্ট করা হয়। একজন ডাক্তার যাত্রী উক্ত রোগীকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেন। ফ্লাইটের মধ্যে উক্ত অসুস্থ যাত্রীকে নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সাপ্লাই করা হয় এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রদান করা হয়। যাত্রীর শারিরীক অবস্থার আরও অবনতি হলে উক্ত ডাক্তার যাত্রী ক্যাপ্টেন কে জানান যে, অসুস্থ যাত্রী কে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করাতে হবে। ক্যাপ্টেন যাত্রীর জীবন রক্ষার্থে ফ্লাইটটি বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়াতে অবস্থিত সোফিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করে জরুরী অবতরণ করে। বিমান সুত্রে জানা যায় যে,  উক্ত ফ্লাইটের পাইলট ইন কমান্ড (পি আই সি) ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক হোসেন কে ফ্লাইটর মধ্যে ডাক্তার যখন জানান যে, রোগী কে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে, তখনই তারা ফ্লাইট টি ডাইভার্ট করে নিকটতম এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সোফিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের এটিসি’র সাথে যোগাযোগ করে মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করা হয়। ফ্লাইট ডাইভার্ট করে সোফিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে রেকর্ড ২৫ মিনিটের মধ্যে অবতরণ করে। সোফিয়া এয়ারপোর্টের ডাক্তার ফ্লাইট ডাইভার্ট করে সময়মতো  রোগীকে আনার জন্য বিমানের পাইলটদের প্রশংসা করেন।
উল্লেখ্য উক্ত যাত্রী (৮৪ বছর) সিলেট থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন। তার কাছে মেডিক্যাল সার্টিফিকেটে ফিট টু ফ্লাই ছিল।
উক্ত ফ্লাইটের পাইলট ইন কমান্ড (পি আই সি) ছিলেন ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক হোসেন ( তিনি বিমানের চিফ অব প্লানিং এন্ড শিডিউলিং), সেকেন্ড ক্যাপ্টেন ছিলেন ক্যাপ্টেন এনাম ( তিনি বিমানের চিফ অব ফ্লাইট সেইফটি) ও ফার্ট অফিসার ছিল এফ ও ইশতি।  উল্লেখ্য, অসুস্থ যাত্রীর জীবন রক্ষার্থে ফ্লাইট সোফিয়াতে ডাইভার্ট করায় বিমানের উক্ত বোইং ড্রিমলাইনার ৭৮৭ ফ্লাইট  লন্ডনের হিথ্রো এয়ারপোর্টে পৌঁছাতে ৩ ঘন্টা বিলম্ব হয়।
ট্যাগস :
আপডেট : ১০:৪৬:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩
১৪৮ বার পড়া হয়েছে

যাত্রীর জীবন রক্ষার্থে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের লন্ডন ফ্লাইট বুলগেরিয়ার সোফিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করে জরুরী অবতরণ করে।

আপডেট : ১০:৪৬:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩
গত ০১/১২/২০২৩ তারিখে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ২০১ ফ্লাইট টি সিলেট হতে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ফ্লাইটের মধ্যে একজন যাত্রীর হটাৎ উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়। কেবিন ক্রুরা উক্ত যাত্রীর অসুস্থতার বিষয়টি ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন কে জানালে, ফ্লাইটের মধ্যে কোন ডাক্তার আছেন কিনা তার জন্য ককপিট থেকে এনাউন্সমেন্ট করা হয়। একজন ডাক্তার যাত্রী উক্ত রোগীকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেন। ফ্লাইটের মধ্যে উক্ত অসুস্থ যাত্রীকে নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সাপ্লাই করা হয় এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রদান করা হয়। যাত্রীর শারিরীক অবস্থার আরও অবনতি হলে উক্ত ডাক্তার যাত্রী ক্যাপ্টেন কে জানান যে, অসুস্থ যাত্রী কে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করাতে হবে। ক্যাপ্টেন যাত্রীর জীবন রক্ষার্থে ফ্লাইটটি বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়াতে অবস্থিত সোফিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করে জরুরী অবতরণ করে। বিমান সুত্রে জানা যায় যে,  উক্ত ফ্লাইটের পাইলট ইন কমান্ড (পি আই সি) ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক হোসেন কে ফ্লাইটর মধ্যে ডাক্তার যখন জানান যে, রোগী কে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে, তখনই তারা ফ্লাইট টি ডাইভার্ট করে নিকটতম এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সোফিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের এটিসি’র সাথে যোগাযোগ করে মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করা হয়। ফ্লাইট ডাইভার্ট করে সোফিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে রেকর্ড ২৫ মিনিটের মধ্যে অবতরণ করে। সোফিয়া এয়ারপোর্টের ডাক্তার ফ্লাইট ডাইভার্ট করে সময়মতো  রোগীকে আনার জন্য বিমানের পাইলটদের প্রশংসা করেন।
উল্লেখ্য উক্ত যাত্রী (৮৪ বছর) সিলেট থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন। তার কাছে মেডিক্যাল সার্টিফিকেটে ফিট টু ফ্লাই ছিল।
উক্ত ফ্লাইটের পাইলট ইন কমান্ড (পি আই সি) ছিলেন ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক হোসেন ( তিনি বিমানের চিফ অব প্লানিং এন্ড শিডিউলিং), সেকেন্ড ক্যাপ্টেন ছিলেন ক্যাপ্টেন এনাম ( তিনি বিমানের চিফ অব ফ্লাইট সেইফটি) ও ফার্ট অফিসার ছিল এফ ও ইশতি।  উল্লেখ্য, অসুস্থ যাত্রীর জীবন রক্ষার্থে ফ্লাইট সোফিয়াতে ডাইভার্ট করায় বিমানের উক্ত বোইং ড্রিমলাইনার ৭৮৭ ফ্লাইট  লন্ডনের হিথ্রো এয়ারপোর্টে পৌঁছাতে ৩ ঘন্টা বিলম্ব হয়।