০৮:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ফওজিয়া ইয়াসমিনকে মেঘদূত-এর সম্মাননা প্রদান

প্রতিনিধির নাম
সংগীত জীবনের ৬৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশের অন্যতম কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী ফওজিয়া ইয়াসমিনকে সম্মাননা প্রদান করেছে সাহিত্য ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠন ‘মেঘদূত’। এ উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার (২২ জুন) শিল্পীর জন্মদিনে রাজধানী ঢাকার কাঁটাবন কবিতা ক্যাফেতে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মেঘদূত সভাপতি, কবি ও গবেষক রাশেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্পীকে শুভেচ্ছা স্মারক, উপহার, উত্তরীয় ও মানপত্র প্রদান করেন মেঘদূতের সদস্যগণ। বাকশিল্পী মুনমুন খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক রীনাত ফওজিয়া। মানপত্র পাঠ করেন কবি ও কথাসাহিত্যিক খান আফিফা লুনা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেঘদূতের সাধারণ সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক তাহেরা আফরোজ।
শিল্পীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন ‘রূপবান’ খ্যাত চিত্রনায়িকা সুজাতা আজিম। অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন মেঘদূত লেখক পর্ষদের সদস্য মাহবুবা হক, কামরুল ইসলাম চৌধুরী ও দীপন সরকার
ষাট ও সত্তর দশকে ফওজিয়া ইয়াসমিনের গাওয়া বিভিন্ন গান নিয়ে হাজির হন এই যুগের শিল্পীরা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পীর কন্যা রীনাত ফওজিয়া, বাঁধন ইয়াসমিন, তাপস ইকবাল, লুৎফুন নাহার পাখি, সাফিকা নাসরিন মিমি, রাবেয়া বসরী, এরশাদুর রহমান ও শিশুশিল্পী সামারা।
ষাটের দশকে আধুনিক বাংলা গানের জগতে দাপটের সঙ্গে যারা রাজত্ব করে বেড়িয়েছেন, তাদের মধ্যে ফওজিয়া ইয়াসমিন অন্যতম। আজ পুতুলের গায়ে হলুদ- কাল পুতুলের বিয়ে, মন তো নয় আর আয়না, এই ক্ষণ চলে যায় যাক না, মধু রাতি বুঝি চলে যায়, তুমি আসবে ভালোবাসবে, ও পাখি পরান খুলে গেয়ে যা, একি জ্বালা হইলো রে আমার, চলো না কোথাও ঘুরে আসি, যা যারে যা পাখি ইত্যাদি অনবদ্য গানগুলো তাঁর কণ্ঠ থেকেই শ্রোতার কানে পৌঁছেছে। বর্তমান সময়েও এ গানগুলো শ্রোতাদের কাছে অনেক জনপ্রিয়।
ফওজিয়া ইয়াসমিন ২০০৬ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বার্ষিক গুণীজন সংবর্ধনা এবং ১৯৮৭ সালে অলক্ত সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার পান। তিনি প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী নিলুফার ইয়াসমিন ও সাবিনা ইয়াসমিনের বড় বোন।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৬:০০:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩
১৪০ বার পড়া হয়েছে

কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ফওজিয়া ইয়াসমিনকে মেঘদূত-এর সম্মাননা প্রদান

আপডেট : ০৬:০০:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩
সংগীত জীবনের ৬৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশের অন্যতম কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী ফওজিয়া ইয়াসমিনকে সম্মাননা প্রদান করেছে সাহিত্য ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠন ‘মেঘদূত’। এ উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার (২২ জুন) শিল্পীর জন্মদিনে রাজধানী ঢাকার কাঁটাবন কবিতা ক্যাফেতে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মেঘদূত সভাপতি, কবি ও গবেষক রাশেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্পীকে শুভেচ্ছা স্মারক, উপহার, উত্তরীয় ও মানপত্র প্রদান করেন মেঘদূতের সদস্যগণ। বাকশিল্পী মুনমুন খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক রীনাত ফওজিয়া। মানপত্র পাঠ করেন কবি ও কথাসাহিত্যিক খান আফিফা লুনা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেঘদূতের সাধারণ সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক তাহেরা আফরোজ।
শিল্পীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন ‘রূপবান’ খ্যাত চিত্রনায়িকা সুজাতা আজিম। অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন মেঘদূত লেখক পর্ষদের সদস্য মাহবুবা হক, কামরুল ইসলাম চৌধুরী ও দীপন সরকার
ষাট ও সত্তর দশকে ফওজিয়া ইয়াসমিনের গাওয়া বিভিন্ন গান নিয়ে হাজির হন এই যুগের শিল্পীরা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পীর কন্যা রীনাত ফওজিয়া, বাঁধন ইয়াসমিন, তাপস ইকবাল, লুৎফুন নাহার পাখি, সাফিকা নাসরিন মিমি, রাবেয়া বসরী, এরশাদুর রহমান ও শিশুশিল্পী সামারা।
ষাটের দশকে আধুনিক বাংলা গানের জগতে দাপটের সঙ্গে যারা রাজত্ব করে বেড়িয়েছেন, তাদের মধ্যে ফওজিয়া ইয়াসমিন অন্যতম। আজ পুতুলের গায়ে হলুদ- কাল পুতুলের বিয়ে, মন তো নয় আর আয়না, এই ক্ষণ চলে যায় যাক না, মধু রাতি বুঝি চলে যায়, তুমি আসবে ভালোবাসবে, ও পাখি পরান খুলে গেয়ে যা, একি জ্বালা হইলো রে আমার, চলো না কোথাও ঘুরে আসি, যা যারে যা পাখি ইত্যাদি অনবদ্য গানগুলো তাঁর কণ্ঠ থেকেই শ্রোতার কানে পৌঁছেছে। বর্তমান সময়েও এ গানগুলো শ্রোতাদের কাছে অনেক জনপ্রিয়।
ফওজিয়া ইয়াসমিন ২০০৬ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বার্ষিক গুণীজন সংবর্ধনা এবং ১৯৮৭ সালে অলক্ত সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার পান। তিনি প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী নিলুফার ইয়াসমিন ও সাবিনা ইয়াসমিনের বড় বোন।