কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদের সিন্দুকে পাওয়া গেলো ৭ কোটি ৭৮ লক্ষ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। এই মসজিদটি শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির উপর গড়ে উঠেছিল। বর্তমানে তা সম্প্রসারিত হয়ে ৩.৮৮ একর জমির উপর পাগলা মসজিদটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স হিসাবে গড়ে উঠেছে।
অসংখ্য মানুষ তাদের মনের বাসনা পূরন, রোগ ব্যাধি হতে মুক্তি এবং বিপদ-আপদ থেকে রেহাই পাওয়া এই বিশ্বাসে স্থানীয়রা ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে কিশোরগঞ্জ ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় দীর্ঘ ০৪ মাস ১১ দিন পর পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বিপিএম-সেবা, পিপিএম (বার) এর উপস্থিতিতে পর্যায়ক্রমে মসজিদের ৯টি দান সিন্দুকের সবগুলো খোলার মধ্য দিয়ে গণনার কাজ শুরু হয়। গণনা শেষে এবার সবোর্চ্চ রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লক্ষ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়।
এছাড়াও প্রতিদিন দানসিন্দুকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারের পাশাপাশি গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ফল-ফলাদি, কোরআন শরিফ ইত্যাদি অনেকের মানত হিসাবে মসজিদ নিলাম ঘরে দান করে যান।
এতে পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খুলে পাওয়া টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা এবং অন্যান্য দান (যেমন- স্বর্ণালঙ্কার,গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ফল-ফলাদি ইত্যাদি) জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় নিলামে বিক্রি করা হয়।
এই গণনা কাজে পাগলা মসজিদ মাদ্রাসার ১৩৮ জন ছাত্র এবং রূপালী ব্যাংকের ৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে মোট ১৯৮ জন কাজ করেন। এর পাশাপাশি এই মসজিদ- মাদ্রাসার ৩০ জন কর্মকর্তা- কর্মচারী তাদের সহায়তা করেন।
এর আগে সর্বশেষ গত বছর ০৯ ডিসেম্বর এই মসজিদের দানসিন্দুক গুলো খোলা হয়েছিল। তাতে ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে গণনা শেষে ছয় কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।